শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) রোববার (১৬ জানুয়ারি) আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দীন আহমেদ ও এক পুলিশ সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনার পর অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের আজ দুপুরের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনের সামনে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরে তা পুরো ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ে। জানা যায়, বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, প্রক্টরিয়াল বডি ও কর্মকর্তারা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কাছে আসেন। তারা তালা খুলে দিতে শিক্ষার্থীদের বারবার অনুরোধ করেন। শিক্ষার্থীরা অপারগতা প্রকাশ করে তাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বাকবিতন্ডায় জড়ান। এ সময় কোষাধ্যক্ষ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করে বলেন, ভেতরে অবরুদ্ধ থাকায় উপাচার্য অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাকে বাসায় নিয়ে যেতে হবে। তখন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি মেনে নেয়ার জন্য আহ্বান জানান। এ সময় শিক্ষার্থীদের সরে যাওয়ার অনুরোধ করলে পুলিশের সঙ্গেও বাকবিতন্ডায় জড়ান শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ শুরু করলে শিক্ষার্থীরাও পাল্টা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা শুরু করে। প্রায় ২৫ মিনিট উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ। পরে শিক্ষার্থীরা সরে গেলে তালা ভেঙে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর উপাচার্যকে উদ্ধার করে পুলিশ তার বাসভবনে নিয়ে যায়। এরপর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক ও কর্মকর্তা জানান, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে কার্যালয়ের সামনে দেখামাত্র ঘিরে ফেলে। শিক্ষার্থীরা তাকে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা চালান। উপাচার্যের সঙ্গে থাকা শিক্ষক-কর্মকর্তাদের টানাহেঁচড়া করেন। পরে ৫ মিনিট উভয়পক্ষে ধাক্কা-ধাক্কি চলে। এ সময় শিক্ষক-কর্মকর্তারা প্রাচীর তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে নিয়ে যায় উপাচার্যকে। এ সময় আন্দোলনকারীদের হাতে শিক্ষক-কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মী লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে জানা যায়। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের দাবি, উপাচার্যকে লাঞ্ছিত করার কোন ঘটনা ঘটেনি। তাকে দেখে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা দাবি মেনে নেয়ার জন্য স্লোগান দিয়ে পথ অবরোধ করেছিলেন। এর আগে বিকেল পৌনে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মহিবুল আলম, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দীন আহমেদ, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. আলমগীর কবীরসহ অন্য শিক্ষকরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন। এ সময় তারা শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়েছেন জানিয়ে এক সপ্তাহের সময় চান। কিন্তু আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করে ‘ভুয়া, ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে শিক্ষকরা আন্দোলনস্থল ত্যাগ করেন। এরপর আন্দোলনকারীরা শিক্ষকদের পিছু নিয়ে স্লোগান দিয়ে চেতনা-৭১ এর সামনে গিয়ে পুনরায় ফিরে এসে উপাচার্য কার্যালয়ের দিকে এগিয়ে আসেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেনি। শিক্ষকরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা পুলিশের ওপর চড়াও হন। ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে হামলাও চালান। এতে তিনিসহ পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন।
তিনি বলেন, পুলিশ আত্মরক্ষার্থে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বর্তমানে পুলিশ ক্যাম্পাসে অবস্থান করছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানান তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমরা খুবই মর্মাহত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। শিক্ষকরা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সব দাবি মানার আশ্বাস দিলেও তারা শিক্ষকদের সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ করেন। এরপর উপাচার্য ভবনের সামনে গিয়ে উপাচার্যকে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করেন। উপাচার্যকে রক্ষা করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলায় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
শিক্ষার্থীদের তিনদফা দাবি মেনে না নেয়ার আগ পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য সব বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) রাত থেকে প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ লিজার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ করছে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের আবাসিক ছাত্রীরা। তাদের সঙ্গে আরও শিক্ষার্থী একাত্মতা পোষণ করে আন্দোলনে সম্পৃক্ত অন্য শিক্ষার্থীদের একটা অংশ।
আন্দোলন চলাকালে শনিবার ছাত্রলীগের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরপরে রাতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেয় তারা।
রোববার চতুর্থবারের মতো আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। সকালে তারা ক্যাম্পাসের গোল চত্বরে জড়ো হয়ে আন্দোলন শুরু করে। সেসময় ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষকদের পরিবহন প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
সর্বশেষ রাত ৮টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে ক্যাম্পাস এবং এর পাশ্ববর্তী এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
রোববার, ১৬ জানুয়ারী ২০২২
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) রোববার (১৬ জানুয়ারি) আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দীন আহমেদ ও এক পুলিশ সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনার পর অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের আজ দুপুরের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনের সামনে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরে তা পুরো ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ে। জানা যায়, বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, প্রক্টরিয়াল বডি ও কর্মকর্তারা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কাছে আসেন। তারা তালা খুলে দিতে শিক্ষার্থীদের বারবার অনুরোধ করেন। শিক্ষার্থীরা অপারগতা প্রকাশ করে তাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বাকবিতন্ডায় জড়ান। এ সময় কোষাধ্যক্ষ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করে বলেন, ভেতরে অবরুদ্ধ থাকায় উপাচার্য অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাকে বাসায় নিয়ে যেতে হবে। তখন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি মেনে নেয়ার জন্য আহ্বান জানান। এ সময় শিক্ষার্থীদের সরে যাওয়ার অনুরোধ করলে পুলিশের সঙ্গেও বাকবিতন্ডায় জড়ান শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ শুরু করলে শিক্ষার্থীরাও পাল্টা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা শুরু করে। প্রায় ২৫ মিনিট উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ। পরে শিক্ষার্থীরা সরে গেলে তালা ভেঙে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর উপাচার্যকে উদ্ধার করে পুলিশ তার বাসভবনে নিয়ে যায়। এরপর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক ও কর্মকর্তা জানান, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে কার্যালয়ের সামনে দেখামাত্র ঘিরে ফেলে। শিক্ষার্থীরা তাকে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা চালান। উপাচার্যের সঙ্গে থাকা শিক্ষক-কর্মকর্তাদের টানাহেঁচড়া করেন। পরে ৫ মিনিট উভয়পক্ষে ধাক্কা-ধাক্কি চলে। এ সময় শিক্ষক-কর্মকর্তারা প্রাচীর তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে নিয়ে যায় উপাচার্যকে। এ সময় আন্দোলনকারীদের হাতে শিক্ষক-কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মী লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে জানা যায়। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের দাবি, উপাচার্যকে লাঞ্ছিত করার কোন ঘটনা ঘটেনি। তাকে দেখে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা দাবি মেনে নেয়ার জন্য স্লোগান দিয়ে পথ অবরোধ করেছিলেন। এর আগে বিকেল পৌনে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মহিবুল আলম, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দীন আহমেদ, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. আলমগীর কবীরসহ অন্য শিক্ষকরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন। এ সময় তারা শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়েছেন জানিয়ে এক সপ্তাহের সময় চান। কিন্তু আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করে ‘ভুয়া, ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে শিক্ষকরা আন্দোলনস্থল ত্যাগ করেন। এরপর আন্দোলনকারীরা শিক্ষকদের পিছু নিয়ে স্লোগান দিয়ে চেতনা-৭১ এর সামনে গিয়ে পুনরায় ফিরে এসে উপাচার্য কার্যালয়ের দিকে এগিয়ে আসেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেনি। শিক্ষকরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা পুলিশের ওপর চড়াও হন। ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে হামলাও চালান। এতে তিনিসহ পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন।
তিনি বলেন, পুলিশ আত্মরক্ষার্থে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বর্তমানে পুলিশ ক্যাম্পাসে অবস্থান করছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানান তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমরা খুবই মর্মাহত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। শিক্ষকরা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সব দাবি মানার আশ্বাস দিলেও তারা শিক্ষকদের সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ করেন। এরপর উপাচার্য ভবনের সামনে গিয়ে উপাচার্যকে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করেন। উপাচার্যকে রক্ষা করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলায় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
শিক্ষার্থীদের তিনদফা দাবি মেনে না নেয়ার আগ পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য সব বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) রাত থেকে প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ লিজার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ করছে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের আবাসিক ছাত্রীরা। তাদের সঙ্গে আরও শিক্ষার্থী একাত্মতা পোষণ করে আন্দোলনে সম্পৃক্ত অন্য শিক্ষার্থীদের একটা অংশ।
আন্দোলন চলাকালে শনিবার ছাত্রলীগের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরপরে রাতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেয় তারা।
রোববার চতুর্থবারের মতো আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। সকালে তারা ক্যাম্পাসের গোল চত্বরে জড়ো হয়ে আন্দোলন শুরু করে। সেসময় ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষকদের পরিবহন প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
সর্বশেষ রাত ৮টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে ক্যাম্পাস এবং এর পাশ্ববর্তী এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।