উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবিতে এবার গণঅনশনের ঘোষণা দিয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর থেকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেন তারা। এখন পর্যন্ত তিনজন শিক্ষার্থী গণঅনশন করতে সই করেছেন। এরা হলেন- ইফতেখার আল মাহমুদ, সামিউল এহসান শাফিন, ছামিরা ফারজানা।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, উপাচার্যকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে আমরা আন্দোলনে নামি। ২৩ জন শিক্ষার্থী তিনদিন ধরে কিছু না খেয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। কিন্তু তিনি এখন পর্যন্ত পদত্যাগ করেননি। শিক্ষামন্ত্রী ঢাকায় আলোচনা করার জন্য আমন্ত্রণ জানালেও আমাদের পক্ষে ঢাকা যাওয়ার মতো অবস্থা নেই। কারণ প্রতিনিধি দলে আছেন অনশনরত এক শিক্ষার্থী। তাই আমরা শিক্ষামন্ত্রীকে আহ্বান জানাই, তিনি যদি একটু সময় বের করে আমাদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন।
৭৫ ঘণ্টা টানা অনশন করে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা যখন মৃত্যুর দোরগোড়ায়, তখনো উপাচার্য পদত্যাগ করেননি উল্লেখ তারা বলেন, অনশনরতদের মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়তে দেখে গণঅনশনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অনশনরত অবস্থায় কারও মৃত্যু হলে তার দায়ভার উপাচার্যকেই নিতে হবে।
তারা আরও বলেন, উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন বিনা উস্কানিতে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ দিয়ে লাঠিচার্জ করিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের ওপর রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করিয়েছেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। আহতরা যখন হাসপাতালে লাইন ধরছে, তখন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন গণমাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ঘোষণা করেন। এই ঘটনার বানোয়াট মনগড়া বর্ণনা দেন। এই ন্যক্কারজনক ঘটনায় তিনি শিক্ষার্থীদের দায়ী করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে একেবারে শুরু থেকেই কোনো সন্দেহ নেই যে, ভিসি মিথ্যুক-নির্লজ্জ ও অযোগ্য ব্যক্তি!
উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগপত্র স্বচক্ষে না দেখা পর্যন্ত অনশন চলমান থাকবে বলেও জানান শিক্ষার্থীরা। এসময় আন্দোলনকারী সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও বাইরের শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ না করার অনুরোধ জানান তারা।
গত ১৬ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের নির্বিচার লাঠিচার্জ আর সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ার পরে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাস। গত বুধবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুর পৌঁনে ৩টা থেকে ২৪ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশনে বসেন। এর মধ্যে একজনের বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় তিনি অনশন শুরুর পরের দিনই বাড়ি চলে যান। এখন পর্যন্ত ২৩ অনশনকারীর ১৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বাকি ৭ শিক্ষার্থী উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন।
শনিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২২
উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবিতে এবার গণঅনশনের ঘোষণা দিয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর থেকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেন তারা। এখন পর্যন্ত তিনজন শিক্ষার্থী গণঅনশন করতে সই করেছেন। এরা হলেন- ইফতেখার আল মাহমুদ, সামিউল এহসান শাফিন, ছামিরা ফারজানা।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, উপাচার্যকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে আমরা আন্দোলনে নামি। ২৩ জন শিক্ষার্থী তিনদিন ধরে কিছু না খেয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। কিন্তু তিনি এখন পর্যন্ত পদত্যাগ করেননি। শিক্ষামন্ত্রী ঢাকায় আলোচনা করার জন্য আমন্ত্রণ জানালেও আমাদের পক্ষে ঢাকা যাওয়ার মতো অবস্থা নেই। কারণ প্রতিনিধি দলে আছেন অনশনরত এক শিক্ষার্থী। তাই আমরা শিক্ষামন্ত্রীকে আহ্বান জানাই, তিনি যদি একটু সময় বের করে আমাদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন।
৭৫ ঘণ্টা টানা অনশন করে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা যখন মৃত্যুর দোরগোড়ায়, তখনো উপাচার্য পদত্যাগ করেননি উল্লেখ তারা বলেন, অনশনরতদের মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়তে দেখে গণঅনশনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অনশনরত অবস্থায় কারও মৃত্যু হলে তার দায়ভার উপাচার্যকেই নিতে হবে।
তারা আরও বলেন, উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন বিনা উস্কানিতে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ দিয়ে লাঠিচার্জ করিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের ওপর রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করিয়েছেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। আহতরা যখন হাসপাতালে লাইন ধরছে, তখন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন গণমাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ঘোষণা করেন। এই ঘটনার বানোয়াট মনগড়া বর্ণনা দেন। এই ন্যক্কারজনক ঘটনায় তিনি শিক্ষার্থীদের দায়ী করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে একেবারে শুরু থেকেই কোনো সন্দেহ নেই যে, ভিসি মিথ্যুক-নির্লজ্জ ও অযোগ্য ব্যক্তি!
উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগপত্র স্বচক্ষে না দেখা পর্যন্ত অনশন চলমান থাকবে বলেও জানান শিক্ষার্থীরা। এসময় আন্দোলনকারী সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও বাইরের শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ না করার অনুরোধ জানান তারা।
গত ১৬ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের নির্বিচার লাঠিচার্জ আর সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ার পরে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাস। গত বুধবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুর পৌঁনে ৩টা থেকে ২৪ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশনে বসেন। এর মধ্যে একজনের বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় তিনি অনশন শুরুর পরের দিনই বাড়ি চলে যান। এখন পর্যন্ত ২৩ অনশনকারীর ১৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বাকি ৭ শিক্ষার্থী উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন।