নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত, খাবারের মান ভালো করাসহ বিভিন্ন দাবিতে
ঘন ঘন লোড শেডিং বন্ধ ও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহ, খাবার মান বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বেরোবি) একমাত্র ছাত্রী হল বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা হলের সামনে অবস্থান ও বিক্ষোভ করেছে। তারা হলের প্রভোষ্টের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সাথে রুঢ় আচরন করার অভিযোগ তোলে। রোববার দুপুরেও শিক্ষার্থীদের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছিলো।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, হলের মধ্যে বিদ্যুৎ সমস্যা লেগেই আছে।ঘন ঘন লোড শেডিং আর অনেকক্ষন ধরে বিদ্যুত না থাকার একদিকে তাদের লেখাপড়ায় ব্যাঘাত ঘটছে অন্যদিকে রমজান শুরু হবার পর থেকে বিকাল বেলা বিদ্যুৎ থাকেনা। বিষয়টি নিয়ে হলের অফিসে বারবার জানানো হলেও কোন সমাধান করা হয়নি। পরে বাধ্য হয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রভোস্ট তানিয়া তোফাজকে ফোন দেয় তারা। ফোন পেয়ে হল প্রভোস্ট শিক্ষার্থীদের সাথে রূঢ় আচরণ করেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার পরেই শিক্ষার্থীরা হল থেকে বেরিয়ে এসে হলের সামনে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহের দাবিতে অবস্থান করে বিক্ষোভ শুরু করে। হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আশফিয়া , সাবরিনা সহ অনেকেই অভিযোগ করেন বিদ্যুতের লোড শেডিং আছে তার মধ্যে প্রতিদিন বিকলের দিকে অথবা ইফতার করার আগে বিদ্যুত থাকেনা। তারা বলের এ ব্যাপারে হলের সাথে সংশ্লিষ্ঠদের বহুবার বলেও কোন কাজ হচ্ছেনা। অন্যদিকে রমজান মাসেও হলের খাবারের মান খুবই খারাপ হচ্ছে এ ব্যাপাে র অভিয্গো করেও কোন সুরাহা না হওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে হর থেকে বের হয়ে বিক্ষোভে নেমেছে। তাদের দাবি পুরন না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষনা দেন।
এ ঘটনার খবর পেয়ে প্রক্টরিয়াল বডি, প্রভোষ্ট বডিসহ ছাত্র ছাত্র পরামর্শক দপ্তরের পরিচবালক বহিরাঙ্গন কার্যক্রমের দপ্তরের পরিচালক সহ অন্যান্য কর্মকর্তার া ঘটনা স্থলে শিক্ষার্থীদের দাবি পুরনের আশ্বাস দিলেও শিক্ষার্থীরা রাজি না হলেও পরে সকলের অনুরোধে হলে ফিরে যায়।
এ দিকে কয়কজন কর্মকর্তা কর্মচারী জানান বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের বেশির ভাগ কক্ষে অবৈধ হিটার অবৈধ ভাবে ব্যবহার হচ্ছে। এ ব্যাপারে হিটার ব্যবহার না করার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা সত্বেও কোন কাজ হয়নি। ফলে বিদ্যুতের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। তবে হলের শিক্ষার্থীরা এসব অভিযোগ মিথ্যা বলে উল্টো হল কতৃপক্ষের দায়িত্বহীনতার কারন্ইে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। ঘন ঘন লোড শেডিং বন্ধ বিকেলের পর বিদ্যুত না থাকা হলের ক্যান্টিনে নি¤œমানের খবার সরবরাহের ব্যাপারে অভিযোগ করে কোন প্রতিকার না পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করায় তারা নানান বাহানা শুরু করেছে।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেন, আন্দোলনের কথা শুনে আমি প্রথমে সহকারী প্রক্টরকে পাঠিয়েছি। পরে আমি নিজেও সেখানে যাই। শিক্ষার্থীদের দাবীগুলো সব যৌক্তিক ছিল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সব সমস্যার সমাধান করা হবে। তিনি বলেন বিদ্যুতের যে সমস্যা ছিলো তা ইতিমধ্যে সমাধান করা হয়েছে আশা করছি বাকী সমস্যাও সমাধান হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।
হলের প্রভোষ্ট তানিয়া তোফাজ বলেন, শিক্ষার্থীরা আগামীকাল তাদের দাবিগুলো লিখিতভাবে জানালে আমরা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে সমাধানের ব্যবস্থা করব। শিক্ষার্থীদের সাথে রূঢ় আচরণের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা আনঅফিসিয়ালি।
নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত, খাবারের মান ভালো করাসহ বিভিন্ন দাবিতে
রোববার, ১০ এপ্রিল ২০২২
ঘন ঘন লোড শেডিং বন্ধ ও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহ, খাবার মান বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বেরোবি) একমাত্র ছাত্রী হল বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা হলের সামনে অবস্থান ও বিক্ষোভ করেছে। তারা হলের প্রভোষ্টের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সাথে রুঢ় আচরন করার অভিযোগ তোলে। রোববার দুপুরেও শিক্ষার্থীদের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছিলো।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, হলের মধ্যে বিদ্যুৎ সমস্যা লেগেই আছে।ঘন ঘন লোড শেডিং আর অনেকক্ষন ধরে বিদ্যুত না থাকার একদিকে তাদের লেখাপড়ায় ব্যাঘাত ঘটছে অন্যদিকে রমজান শুরু হবার পর থেকে বিকাল বেলা বিদ্যুৎ থাকেনা। বিষয়টি নিয়ে হলের অফিসে বারবার জানানো হলেও কোন সমাধান করা হয়নি। পরে বাধ্য হয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রভোস্ট তানিয়া তোফাজকে ফোন দেয় তারা। ফোন পেয়ে হল প্রভোস্ট শিক্ষার্থীদের সাথে রূঢ় আচরণ করেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার পরেই শিক্ষার্থীরা হল থেকে বেরিয়ে এসে হলের সামনে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহের দাবিতে অবস্থান করে বিক্ষোভ শুরু করে। হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আশফিয়া , সাবরিনা সহ অনেকেই অভিযোগ করেন বিদ্যুতের লোড শেডিং আছে তার মধ্যে প্রতিদিন বিকলের দিকে অথবা ইফতার করার আগে বিদ্যুত থাকেনা। তারা বলের এ ব্যাপারে হলের সাথে সংশ্লিষ্ঠদের বহুবার বলেও কোন কাজ হচ্ছেনা। অন্যদিকে রমজান মাসেও হলের খাবারের মান খুবই খারাপ হচ্ছে এ ব্যাপাে র অভিয্গো করেও কোন সুরাহা না হওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে হর থেকে বের হয়ে বিক্ষোভে নেমেছে। তাদের দাবি পুরন না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষনা দেন।
এ ঘটনার খবর পেয়ে প্রক্টরিয়াল বডি, প্রভোষ্ট বডিসহ ছাত্র ছাত্র পরামর্শক দপ্তরের পরিচবালক বহিরাঙ্গন কার্যক্রমের দপ্তরের পরিচালক সহ অন্যান্য কর্মকর্তার া ঘটনা স্থলে শিক্ষার্থীদের দাবি পুরনের আশ্বাস দিলেও শিক্ষার্থীরা রাজি না হলেও পরে সকলের অনুরোধে হলে ফিরে যায়।
এ দিকে কয়কজন কর্মকর্তা কর্মচারী জানান বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের বেশির ভাগ কক্ষে অবৈধ হিটার অবৈধ ভাবে ব্যবহার হচ্ছে। এ ব্যাপারে হিটার ব্যবহার না করার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা সত্বেও কোন কাজ হয়নি। ফলে বিদ্যুতের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। তবে হলের শিক্ষার্থীরা এসব অভিযোগ মিথ্যা বলে উল্টো হল কতৃপক্ষের দায়িত্বহীনতার কারন্ইে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। ঘন ঘন লোড শেডিং বন্ধ বিকেলের পর বিদ্যুত না থাকা হলের ক্যান্টিনে নি¤œমানের খবার সরবরাহের ব্যাপারে অভিযোগ করে কোন প্রতিকার না পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করায় তারা নানান বাহানা শুরু করেছে।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেন, আন্দোলনের কথা শুনে আমি প্রথমে সহকারী প্রক্টরকে পাঠিয়েছি। পরে আমি নিজেও সেখানে যাই। শিক্ষার্থীদের দাবীগুলো সব যৌক্তিক ছিল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সব সমস্যার সমাধান করা হবে। তিনি বলেন বিদ্যুতের যে সমস্যা ছিলো তা ইতিমধ্যে সমাধান করা হয়েছে আশা করছি বাকী সমস্যাও সমাধান হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।
হলের প্রভোষ্ট তানিয়া তোফাজ বলেন, শিক্ষার্থীরা আগামীকাল তাদের দাবিগুলো লিখিতভাবে জানালে আমরা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে সমাধানের ব্যবস্থা করব। শিক্ষার্থীদের সাথে রূঢ় আচরণের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা আনঅফিসিয়ালি।