আবহমান বাংলার আপামর জনতার মননে ও সত্ত্বায় মিশে আছে অসাম্প্রদায়িকতার কলতান। বাংলার মানুষকে এক সুতোয় বাঁধতে রয়েছে অজস্র উৎসব। এই উৎসবের একটি হল চৈত্র সংক্রান্তি। বাংলার লোকসংস্কৃতিতে চৈত্রের শেষদিনকে ঘিরে পালা-পার্বণসহ বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে চৈত্র সংক্রান্তি পালন সময়ের পালাবদলে একটি লোকউৎসবে পরিণত হয়েছে। আর পরের দিনই বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন হওয়ায় চৈত্র সংক্রান্তির উৎসবও বেশ গুরুত্ব বহন করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্মুক্ত লাইব্রেরিতে চৈত্র সংক্রান্তিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চৈত্র সংক্রান্তি উৎসব। আজ বুধবার (১৩ এপ্রিল) রাত ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মূল ফটকের সামনে উন্মুক্ত লাইব্রেরিতে অনুষ্ঠিত হবে এই উৎসব।
এতে পালাগান পরিবেশন করবেন প্রখ্যাত সূফী সাধক আরিফ দেওয়ান, রোজিনা দেওয়ান ও গাজীর পট।
পালাগানের আয়োজক বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সমাজসেবা বিষয়ক উপ-সম্পাদক ও ডাকসুর সাবেক সদস্য তানভীর হাসান সৈকত সংবাদকে বলেন, "ভাষা ও সংস্কৃতিকে ভিত্তি করে গত শতাব্দীর মাঝামাঝিতে হওয়া বেশ কয়েকটি আন্দোলনের কারণে রুচিশীল, অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ কয়েকটি প্রজন্ম তৈরি হয়েছিল। তবে পঁচাত্তর পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঘূর্ণাবর্তে প্রতিক্রিয়াশীলরা ধর্ম ও সংস্কৃতিকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়। যার ফলাফল আমরা জাতি হিসেবে এখনো পাচ্ছি।"
তিনি আরো বলেন, "প্রতিবাদ, মিছিল কিংবা ভাষণ দিয়ে মগজের দুর্ভিক্ষ, অন্ধত্ব বড়জোর আড়াল করা যায় কিন্তু দূর করা যায় না। দূর করতে হলে প্রয়োজন ধারাবাহিক সাংস্কৃতিক লড়াই। সেই তাড়না থেকেই চৈত্রের শেষ দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন উন্মুক্ত লাইব্রেরিতে আমরা আয়োজন করেছি চৈত্র সংক্রান্তি উৎসব ১৪২৮।"
বুধবার, ১৩ এপ্রিল ২০২২
আবহমান বাংলার আপামর জনতার মননে ও সত্ত্বায় মিশে আছে অসাম্প্রদায়িকতার কলতান। বাংলার মানুষকে এক সুতোয় বাঁধতে রয়েছে অজস্র উৎসব। এই উৎসবের একটি হল চৈত্র সংক্রান্তি। বাংলার লোকসংস্কৃতিতে চৈত্রের শেষদিনকে ঘিরে পালা-পার্বণসহ বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে চৈত্র সংক্রান্তি পালন সময়ের পালাবদলে একটি লোকউৎসবে পরিণত হয়েছে। আর পরের দিনই বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন হওয়ায় চৈত্র সংক্রান্তির উৎসবও বেশ গুরুত্ব বহন করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্মুক্ত লাইব্রেরিতে চৈত্র সংক্রান্তিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চৈত্র সংক্রান্তি উৎসব। আজ বুধবার (১৩ এপ্রিল) রাত ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মূল ফটকের সামনে উন্মুক্ত লাইব্রেরিতে অনুষ্ঠিত হবে এই উৎসব।
এতে পালাগান পরিবেশন করবেন প্রখ্যাত সূফী সাধক আরিফ দেওয়ান, রোজিনা দেওয়ান ও গাজীর পট।
পালাগানের আয়োজক বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সমাজসেবা বিষয়ক উপ-সম্পাদক ও ডাকসুর সাবেক সদস্য তানভীর হাসান সৈকত সংবাদকে বলেন, "ভাষা ও সংস্কৃতিকে ভিত্তি করে গত শতাব্দীর মাঝামাঝিতে হওয়া বেশ কয়েকটি আন্দোলনের কারণে রুচিশীল, অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ কয়েকটি প্রজন্ম তৈরি হয়েছিল। তবে পঁচাত্তর পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঘূর্ণাবর্তে প্রতিক্রিয়াশীলরা ধর্ম ও সংস্কৃতিকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়। যার ফলাফল আমরা জাতি হিসেবে এখনো পাচ্ছি।"
তিনি আরো বলেন, "প্রতিবাদ, মিছিল কিংবা ভাষণ দিয়ে মগজের দুর্ভিক্ষ, অন্ধত্ব বড়জোর আড়াল করা যায় কিন্তু দূর করা যায় না। দূর করতে হলে প্রয়োজন ধারাবাহিক সাংস্কৃতিক লড়াই। সেই তাড়না থেকেই চৈত্রের শেষ দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন উন্মুক্ত লাইব্রেরিতে আমরা আয়োজন করেছি চৈত্র সংক্রান্তি উৎসব ১৪২৮।"