রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের সরকারি কোয়াটারে থাকা ফ্রিজ, টিভি আসবাবপত্র, এসিসহ মূল্যবান মালামাল লুট হয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে দায়িদের চিহ্নিত করে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে এ ঘটনায় অভিযোগের তীর কলেজের অফিস পিয়ন গোলাম মোস্তফা গোলাপের দিকে। রংপুর মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা গেছে, কলেজ ক্যাম্পাসে কলেজের অধ্যক্ষের বিলাস বহুল কোয়াটার রয়েছে। সেখানে প্রায় দু বছর বসবাস করার পর অবসরজনিত কারণে বাসাটি ছেড়ে দেন সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নুরন্নবী লাইজু। তিনি বাসার চাবিসহ সমস্ত মালামাল কলেজের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বুঝে দেন। কিন্তু সাবেক অধ্যক্ষ বাসা ছেড়ে দেবার পর পরেই বাসভবনে থাকা এসি, ফ্রিজ, মূল্যবান আসবাবপত্র লুট হয়ে গেছে। বিষয়টি জানাজানি হয় কলেজের অধীন সব সম্পদের স্টোর কিপার শাহানা বেগম অফিসের লোকজন নিয়ে ওই বাসার গেটের তালা খুলে দেখতে পান ২/৩টি সিলিং ফ্যান ছাড়া আর কোন মালামাল অধ্যক্ষের বাসায় নেই। সব মালামাল লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে কলেজের স্টোর বিভাগের দায়িত্বে থাকা শাহানা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদকে জানান, অধ্যক্ষের বাসায় গিয়ে ২/৩টি সিলিং ফ্যান ছাড়া আর কোন মালামাল তিনি পাননি। মালামালগুলো কিভাবে খোয়া গেল তা তিনি জানেন না। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেডিকেল কলেজের একাধিক কর্মচারী জানান, অধ্যক্ষের বাসার এসি মেডিকেল কলেজের অফিস পিয়ন গোলাম মোস্তফার বাসায় দেখা গেছে। এছাড়া অধ্যক্ষের বাসার অন্য মালামালও তিনি নিয়ে গেছেন। সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নুরন্নবী লাইজুর সার্বক্ষণিক সঙ্গী হিসেবে তিনি থাকতেন। এমনকি তার বাসাতেও তার সার্বক্ষণিক যাতায়াত রয়েছে। এই অফিস পিয়ন গোলাপের বিরুদ্ধে কলেজে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জোর করে অর্থ আদায়সহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। রংপুর নগরীর ধাপ এলাকায় তার বিলাস বহুল বাড়িসহ বেনামে বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাট রয়েছে। কর্মচারীদের অভিযোগ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ পদে যিনি দায়িত্ব নেন তাকেই কৌশলে ম্যানেজ করে কলেজে একছত্র অধিপত্য বিস্তার করে শিক্ষার্থীদের ভর্তি থেকে শুরু করে সব ধরনের কাগজপত্র তার কাছে সংরক্ষণ করেন তিনি।
এ ব্যাপারে কর্মচারীরা বহুবার অভিযোগ করেও কোন কাজ হয়নি। এবার অধ্যক্ষের বাসার মালামাল সরিয়ে নিজের বাসায় নিলেও কেউই তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পাচ্ছে না। এ ব্যাপারে অফিস পিয়ন গোলাপের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অফিসের কিছু অসৎ কর্মচারী তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মিথ্যা কুৎসা রটাচ্ছে। তিনি কোন মালামাল নেননি বলে দাবি করেন। তবে অধ্যক্ষের বাস ভবনের মুল্যবান মালামাল লুটপাটের ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ পুরো ঘটনা ধামা চাপা দেবার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে রংপুর মেডিকেল কলেজের বর্তমান অধ্যাক্ষ অধ্যাপক ডা. বিমল চন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অধ্যক্ষের বাসভবনটি বসবাসের অনুপোযোগী। সেখানে মালামাল ছিল কিনা তিনি জানেন না।
মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল ২০২২
রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের সরকারি কোয়াটারে থাকা ফ্রিজ, টিভি আসবাবপত্র, এসিসহ মূল্যবান মালামাল লুট হয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে দায়িদের চিহ্নিত করে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে এ ঘটনায় অভিযোগের তীর কলেজের অফিস পিয়ন গোলাম মোস্তফা গোলাপের দিকে। রংপুর মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা গেছে, কলেজ ক্যাম্পাসে কলেজের অধ্যক্ষের বিলাস বহুল কোয়াটার রয়েছে। সেখানে প্রায় দু বছর বসবাস করার পর অবসরজনিত কারণে বাসাটি ছেড়ে দেন সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নুরন্নবী লাইজু। তিনি বাসার চাবিসহ সমস্ত মালামাল কলেজের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বুঝে দেন। কিন্তু সাবেক অধ্যক্ষ বাসা ছেড়ে দেবার পর পরেই বাসভবনে থাকা এসি, ফ্রিজ, মূল্যবান আসবাবপত্র লুট হয়ে গেছে। বিষয়টি জানাজানি হয় কলেজের অধীন সব সম্পদের স্টোর কিপার শাহানা বেগম অফিসের লোকজন নিয়ে ওই বাসার গেটের তালা খুলে দেখতে পান ২/৩টি সিলিং ফ্যান ছাড়া আর কোন মালামাল অধ্যক্ষের বাসায় নেই। সব মালামাল লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে কলেজের স্টোর বিভাগের দায়িত্বে থাকা শাহানা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদকে জানান, অধ্যক্ষের বাসায় গিয়ে ২/৩টি সিলিং ফ্যান ছাড়া আর কোন মালামাল তিনি পাননি। মালামালগুলো কিভাবে খোয়া গেল তা তিনি জানেন না। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেডিকেল কলেজের একাধিক কর্মচারী জানান, অধ্যক্ষের বাসার এসি মেডিকেল কলেজের অফিস পিয়ন গোলাম মোস্তফার বাসায় দেখা গেছে। এছাড়া অধ্যক্ষের বাসার অন্য মালামালও তিনি নিয়ে গেছেন। সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নুরন্নবী লাইজুর সার্বক্ষণিক সঙ্গী হিসেবে তিনি থাকতেন। এমনকি তার বাসাতেও তার সার্বক্ষণিক যাতায়াত রয়েছে। এই অফিস পিয়ন গোলাপের বিরুদ্ধে কলেজে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জোর করে অর্থ আদায়সহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। রংপুর নগরীর ধাপ এলাকায় তার বিলাস বহুল বাড়িসহ বেনামে বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাট রয়েছে। কর্মচারীদের অভিযোগ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ পদে যিনি দায়িত্ব নেন তাকেই কৌশলে ম্যানেজ করে কলেজে একছত্র অধিপত্য বিস্তার করে শিক্ষার্থীদের ভর্তি থেকে শুরু করে সব ধরনের কাগজপত্র তার কাছে সংরক্ষণ করেন তিনি।
এ ব্যাপারে কর্মচারীরা বহুবার অভিযোগ করেও কোন কাজ হয়নি। এবার অধ্যক্ষের বাসার মালামাল সরিয়ে নিজের বাসায় নিলেও কেউই তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পাচ্ছে না। এ ব্যাপারে অফিস পিয়ন গোলাপের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অফিসের কিছু অসৎ কর্মচারী তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মিথ্যা কুৎসা রটাচ্ছে। তিনি কোন মালামাল নেননি বলে দাবি করেন। তবে অধ্যক্ষের বাস ভবনের মুল্যবান মালামাল লুটপাটের ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ পুরো ঘটনা ধামা চাপা দেবার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে রংপুর মেডিকেল কলেজের বর্তমান অধ্যাক্ষ অধ্যাপক ডা. বিমল চন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অধ্যক্ষের বাসভবনটি বসবাসের অনুপোযোগী। সেখানে মালামাল ছিল কিনা তিনি জানেন না।