ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সঙ্গে ব্যবসায়ী, কর্মচারী ও হকারদের সংঘর্ষের ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা)।
ডুজা বলেছে, সাংবাদিক নির্যাতন ও লাঞ্ছনার এসব ঘটনার মাধ্যমে সংবিধানস্বীকৃত গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে পদদলিত করা হয়েছে। এসব ঘটনায় ব্যবস্থা দাবি করেছে ডুজা।
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে এই দাবি জানান ডুজার সভাপতি মামুন তুষার ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম।
যৌথ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, নিউ মার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের সময় দীপ্ত টিভির সাংবাদিক আসিফ সুমিত, মানবজমিনের শুভ্র দেব, ডেইলি স্টারের প্রবীর দাস ও বাংলা ট্রিবিউনের শাহেদ শফিকসহ আরও বেশ কয়েকজন সাংবাদিক হামলা ও লাঞ্ছনার শিকার হন। বিবাদমান দুই পক্ষের সমর্থকরা যেভাবে সাংবাদিকদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছেন, তা কোনো সভ্য সমাজে কাম্য হতে পারে না। এ ঘটনার মাধ্যমে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধান দ্বারা স্বীকৃত গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে পদদলিত করা হয়েছে৷ এই ঘটনা একইসঙ্গে মানবাধিকার লঙ্ঘনের নির্মম দৃষ্টান্ত।
“নিউ মার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের সময় সাংবাদিক নির্যাতন ও লাঞ্ছনার ঘটনার বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে৷ কিন্তু আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করলাম, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ-প্রশাসন বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো মাথা-ব্যথা নেই৷ গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে কোনো ধরনের তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না৷ এটি অনুমেয় যে নির্যাতিত-লাঞ্ছিত সাংবাদিকেরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের সমর্থন না পেলে আইনি জটিলতায় নিজেদের জড়াতে চাইবেন না৷”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি মনে করে, অতীতে সাংবাদিক নির্যাতনের বিভিন্ন ঘটনায় কোনো বিচার বা প্রশাসনিক পদক্ষেপের উদাহরণ না থাকায় সাংবাদিকদের ওপর হামলা প্রতিনিয়তই ঘটে চলেছে৷ নিউ মার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনার সময় সাংবাদিকদের নির্যাতন-লাঞ্ছনার ঘটনাসহ অতীতে ঘটে যাওয়া এ ধরনের ঘটনায় ব্যবস্থা নিয়ে রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সাংবিধানিক অঙ্গীকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি৷
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তৃপক্ষের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে, আপনারা প্রয়োজনীয় সব ধরনের সমর্থন নিয়ে নির্যাতিত-লাঞ্ছিত সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়াবেন৷ কারণ প্রতিশ্রুতিশীল ও দক্ষ সাংবাদিকরাই গণমাধ্যমের প্রাণশক্তি৷ তারা ভালো থাকলে গণমাধ্যমও ভালো থাকবে৷ রাষ্ট্র ও সরকারের প্রতি আমাদের উদাত্ত আহ্বান, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সাংবিধানিক অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সাংবাদিক নির্যাতন ও লাঞ্ছনার ঘটনার প্রতিকারে প্রয়োজনে পৃথক আদালত গঠন করা হোক৷ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে গণমাধ্যমের অসামান্য ভূমিকাকে বিবেচনায় নিয়ে সাংবাদিক নির্যাতন ও লাঞ্ছনার বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরিতে রাষ্ট্রীয়ভাবে উদ্যোগ নেওয়া হোক৷
ছবি: সংগৃহীত
শুক্রবার, ২২ এপ্রিল ২০২২
রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সঙ্গে ব্যবসায়ী, কর্মচারী ও হকারদের সংঘর্ষের ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা)।
ডুজা বলেছে, সাংবাদিক নির্যাতন ও লাঞ্ছনার এসব ঘটনার মাধ্যমে সংবিধানস্বীকৃত গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে পদদলিত করা হয়েছে। এসব ঘটনায় ব্যবস্থা দাবি করেছে ডুজা।
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে এই দাবি জানান ডুজার সভাপতি মামুন তুষার ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম।
যৌথ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, নিউ মার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের সময় দীপ্ত টিভির সাংবাদিক আসিফ সুমিত, মানবজমিনের শুভ্র দেব, ডেইলি স্টারের প্রবীর দাস ও বাংলা ট্রিবিউনের শাহেদ শফিকসহ আরও বেশ কয়েকজন সাংবাদিক হামলা ও লাঞ্ছনার শিকার হন। বিবাদমান দুই পক্ষের সমর্থকরা যেভাবে সাংবাদিকদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছেন, তা কোনো সভ্য সমাজে কাম্য হতে পারে না। এ ঘটনার মাধ্যমে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধান দ্বারা স্বীকৃত গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে পদদলিত করা হয়েছে৷ এই ঘটনা একইসঙ্গে মানবাধিকার লঙ্ঘনের নির্মম দৃষ্টান্ত।
“নিউ মার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের সময় সাংবাদিক নির্যাতন ও লাঞ্ছনার ঘটনার বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে৷ কিন্তু আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করলাম, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ-প্রশাসন বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো মাথা-ব্যথা নেই৷ গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে কোনো ধরনের তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না৷ এটি অনুমেয় যে নির্যাতিত-লাঞ্ছিত সাংবাদিকেরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের সমর্থন না পেলে আইনি জটিলতায় নিজেদের জড়াতে চাইবেন না৷”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি মনে করে, অতীতে সাংবাদিক নির্যাতনের বিভিন্ন ঘটনায় কোনো বিচার বা প্রশাসনিক পদক্ষেপের উদাহরণ না থাকায় সাংবাদিকদের ওপর হামলা প্রতিনিয়তই ঘটে চলেছে৷ নিউ মার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনার সময় সাংবাদিকদের নির্যাতন-লাঞ্ছনার ঘটনাসহ অতীতে ঘটে যাওয়া এ ধরনের ঘটনায় ব্যবস্থা নিয়ে রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সাংবিধানিক অঙ্গীকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি৷
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তৃপক্ষের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে, আপনারা প্রয়োজনীয় সব ধরনের সমর্থন নিয়ে নির্যাতিত-লাঞ্ছিত সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়াবেন৷ কারণ প্রতিশ্রুতিশীল ও দক্ষ সাংবাদিকরাই গণমাধ্যমের প্রাণশক্তি৷ তারা ভালো থাকলে গণমাধ্যমও ভালো থাকবে৷ রাষ্ট্র ও সরকারের প্রতি আমাদের উদাত্ত আহ্বান, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সাংবিধানিক অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সাংবাদিক নির্যাতন ও লাঞ্ছনার ঘটনার প্রতিকারে প্রয়োজনে পৃথক আদালত গঠন করা হোক৷ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে গণমাধ্যমের অসামান্য ভূমিকাকে বিবেচনায় নিয়ে সাংবাদিক নির্যাতন ও লাঞ্ছনার বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরিতে রাষ্ট্রীয়ভাবে উদ্যোগ নেওয়া হোক৷