alt

ক্যাম্পাস

ক্ষমা চেয়ে বড় শাস্তি থেকে পার পেলেন যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত ঢাবি অধ্যাপক

ঢাবি প্রতিনিধি: : সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের ‘প্রাথমিক সত্যতা’ মিললেও বড় ধরনের শাস্তির মুখোমুখি হচ্ছেন না তিনি। তার বিরুদ্ধে আনীত ছাত্রীকে যৌন-নিপীড়ন সংক্রান্ত অভিযোগপত্রটি ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের’ কাছে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিভাগীয় একাডেমিক কমিটি। তবে একাডেমিক সবধরনের কার্যক্রম থেকে তাকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকছে। এছাড়া বিভাগীয় চেয়ারম্যানের কাছে দোষ স্বীকার করে নেওয়ার পরও গণমাধ্যমে ড. বিশ্বজিৎ ঘোষের মন্তব্যগুলো নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করছেন বাংলা বিভাগের শিক্ষকরা।

গত ১৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয় বিভাগটির একাডেমিক কমিটি।

গত ১৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত একাডমিক কমিটির সভার কার্যবিবরণী থেকে জানা যায়, গত ১৬ এপ্রিল অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে ঘটনার বিষয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পাশাপাশি ‘তাকে রক্ষা’ করার জন্য তিনটি প্রস্তাব করেন। প্রস্তাবগুলো হলো— ১. অভিযোগকারীর পত্র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে না পাঠানোর অনুরোধ, ২. শিক্ষার্থীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার প্রস্তাব এবং ৩. স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার আগ্রহ ব্যক্ত।

পরদিন ১৭ এপ্রিল অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ বিভাগ বরাবর তিনটি আলাদা চিঠি লিখিত আকারে পাঠান। একটি চিঠি চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, দ্বিতীয় চিঠি সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং তৃতীয় চিঠি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে উপাচার্য বরাবর স্বেচ্ছা অবসরের আবেদন করে লেখা।

এর আগে, দ্বিতীয় বর্ষের এক নারী শিক্ষার্থীকে যৌন-নিপীড়নের অভিযোগের দায়ে গত ২৯ মার্চ একাডেমিক কমিটির এক সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষককের বিরুদ্ধে বিভাগের সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যহতি প্রদান, বরাদ্দকৃত বিভাগীয় কক্ষ বাতিলসহ কয়েকটি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলা বিভাগ। গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে একটি ছিল— ‘আরও বৃহত্তর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করা হবে কি না সেটি অভিযোগকারীর সম্মতি সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক।’

তবে অভিযোগকারী শিক্ষার্থী বিভাগ কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থায় ‘সন্তুষ্ট ও ভয়মুক্ত’ উল্লেখ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগপত্রটি প্রেরণের অনিচ্ছা প্রকাশ করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে একাডমিক কমিটির সভায় উপস্থিত ১৭ জন শিক্ষক অভিযোগপত্র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন।

এদিকে, বিভাগ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইতোমধ্যেই অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ সংশ্লিষ্ট সেমিস্টারের মিডটার্মের উত্তরপত্র ও বিভাগীয় কক্ষের চাবি যথাসময়ে বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছেন বলে বাংলা বিভাগের একাধিক সূত্র সংবাদকে নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান সৈয়দ আজিজুল হক এবং বিশ্বজিৎ ঘোষের মুঠোফোনে একাধিক কল করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

ছবি

জাবিতে উপড়ে ফেলা হলো অর্ধশতাধিক গাছ

ছবি

বিচার না হওয়া ও ‘স্বচ্ছতার অভাব’—জাকসু নির্বাচন পেছানোর পেছনে নানা ব্যাখ্যা

রাবিতে প্রেমঘটিত হতাশায় শিক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা প্রচেষ্টা’

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে কমিশন গঠনের আশ্বাস, ঘোষণা আসতে পারে সোমবার

ছবি

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ঢাবিতে বিশেষ ভর্তি সুবিধা

ছবি

সাম্য হত্যা: তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি

ছবি

রাবির বঙ্গবন্ধু হলের নাম এখন ‘বিজয়-২৪’

ছবি

চবিতে ক্লাস করতে আসা বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর, মুচলেকা নিয়ে ছাড়

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি গঠন

ছবি

সরকারি সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসক অধ্যাপক ইলিয়াস

ছবি

রায় বাতিলসহ ৬ দফা দাবিতে হাইকোর্টে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের অবস্থান

দাবি মানার প্রতিশ্রুতিতে আন্দোলন স্থগিত করেন জবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

ছবি

যমুনার উদ্দেশে জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের লং মার্চ শুরু

ছবি

ছুরিকাঘাতে ঢাবি ছাত্রদল নেতা সাম্যের মৃত্যু, বিক্ষোভ

ছবি

বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পরীক্ষা স্থগিত

ছবি

প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে জবি শিক্ষার্থীদের ‘লং মার্চ’ ঘোষণা

ছবি

চায়ের দোকানের মালিকানা নিয়ে ঝামেলা, তালা ঝুলিয়ে ‘দিলেন জবি ছাত্রদল নেতা’

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের খবরে ঢাবিতে স্লোগানে মুখর রাত

আবু সাঈদের জীবন দান দেশের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দার্শনিক ঘটনা: ফরহাদ মজহার

ছবি

কুয়েট উপাচার্যের দায়িত্বে হযরত আলী

ছবি

রাকসু নির্বাচন: ধীরগতি, ঝুলে আছে বিধিমালা ও ভোটার তালিকা

ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: গভীর রাতে রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ

ছবি

৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ভোট ৩১ জুলাই

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: চার মাসে চারজনের আত্মহত্যা, প্রবণতা কি বাড়ছে? কী করছে কাউন্সেলিং সেন্টার?

ছবি

গলায় ফাঁস দিয়ে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, পুলিশ হেফাজতে ১

ছবি

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হলো ইউআইইউ

ছবি

কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার

ছবি

জবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বুকশেলফ প্রদান

ছবি

পিএসসি সংস্কারে ৮ দফা দাবি জবি শিক্ষার্থীদের

ছবি

জবি রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ দাবি: ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম, কুশপুত্তলিকা দাহ

ছবি

‘এলাকার কলেজে পড়লে পারতে, … গেট আউট’, জবি শিক্ষার্থীকে রেজিস্ট্রার

ছবি

কুয়েট শিক্ষার্থীদের অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহারের অনুরোধ শিক্ষা উপদেষ্টার

ছবি

বাউবিতে ‘উন্মুক্ত ও দূরশিক্ষণের জন্য মিডিয়া ও ডিজিটাল প্রোডাকশন কৌশল’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ

ছবি

‎জবি শিক্ষার্থীদের কাঁথা-বালিশ কর্মসূচি ঘোষণা

কুয়েট উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল

ছবি

খাগড়াছড়িতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী অপহরণ, ইউপিডিএফের বিরুদ্ধে অভিযোগ

tab

ক্যাম্পাস

ক্ষমা চেয়ে বড় শাস্তি থেকে পার পেলেন যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত ঢাবি অধ্যাপক

ঢাবি প্রতিনিধি:

সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের ‘প্রাথমিক সত্যতা’ মিললেও বড় ধরনের শাস্তির মুখোমুখি হচ্ছেন না তিনি। তার বিরুদ্ধে আনীত ছাত্রীকে যৌন-নিপীড়ন সংক্রান্ত অভিযোগপত্রটি ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের’ কাছে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিভাগীয় একাডেমিক কমিটি। তবে একাডেমিক সবধরনের কার্যক্রম থেকে তাকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকছে। এছাড়া বিভাগীয় চেয়ারম্যানের কাছে দোষ স্বীকার করে নেওয়ার পরও গণমাধ্যমে ড. বিশ্বজিৎ ঘোষের মন্তব্যগুলো নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করছেন বাংলা বিভাগের শিক্ষকরা।

গত ১৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয় বিভাগটির একাডেমিক কমিটি।

গত ১৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত একাডমিক কমিটির সভার কার্যবিবরণী থেকে জানা যায়, গত ১৬ এপ্রিল অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে ঘটনার বিষয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পাশাপাশি ‘তাকে রক্ষা’ করার জন্য তিনটি প্রস্তাব করেন। প্রস্তাবগুলো হলো— ১. অভিযোগকারীর পত্র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে না পাঠানোর অনুরোধ, ২. শিক্ষার্থীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার প্রস্তাব এবং ৩. স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার আগ্রহ ব্যক্ত।

পরদিন ১৭ এপ্রিল অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ বিভাগ বরাবর তিনটি আলাদা চিঠি লিখিত আকারে পাঠান। একটি চিঠি চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, দ্বিতীয় চিঠি সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং তৃতীয় চিঠি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে উপাচার্য বরাবর স্বেচ্ছা অবসরের আবেদন করে লেখা।

এর আগে, দ্বিতীয় বর্ষের এক নারী শিক্ষার্থীকে যৌন-নিপীড়নের অভিযোগের দায়ে গত ২৯ মার্চ একাডেমিক কমিটির এক সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষককের বিরুদ্ধে বিভাগের সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যহতি প্রদান, বরাদ্দকৃত বিভাগীয় কক্ষ বাতিলসহ কয়েকটি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলা বিভাগ। গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে একটি ছিল— ‘আরও বৃহত্তর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করা হবে কি না সেটি অভিযোগকারীর সম্মতি সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক।’

তবে অভিযোগকারী শিক্ষার্থী বিভাগ কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থায় ‘সন্তুষ্ট ও ভয়মুক্ত’ উল্লেখ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগপত্রটি প্রেরণের অনিচ্ছা প্রকাশ করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে একাডমিক কমিটির সভায় উপস্থিত ১৭ জন শিক্ষক অভিযোগপত্র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন।

এদিকে, বিভাগ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইতোমধ্যেই অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ সংশ্লিষ্ট সেমিস্টারের মিডটার্মের উত্তরপত্র ও বিভাগীয় কক্ষের চাবি যথাসময়ে বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছেন বলে বাংলা বিভাগের একাধিক সূত্র সংবাদকে নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান সৈয়দ আজিজুল হক এবং বিশ্বজিৎ ঘোষের মুঠোফোনে একাধিক কল করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

back to top