জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের দ্বিতীয় পর্বের আয়োজনে শিক্ষামন্ত্রীকে অভ্যর্থনা ও ফুল দেওয়ার পরিকল্পনাকে কেন্দ্র করে উপাচার্যের সম্মুখে শিক্ষকদের দুই পক্ষের তুমুল বাকবিতণ্ডা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আগামীকাল বুধবার (১১ মে) বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠানে ক্যাম্পাসে আসছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে শিক্ষামন্ত্রীর সাথে ফুল দেয়ার সময় কোন কোন শিক্ষক উপস্থিত থাকবেন এ নিয়ে শিক্ষকরা তুমুল বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
এসময় ১৭তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য-সচিব প্রফেসর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধানের বিরুদ্ধে আয়োজনে গড়মিল এবং ফুল দেয়া ও পুরো অনুষ্ঠানের শিডিউলে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলেন চারুকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সিদ্ধার্থ দে। ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধানকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এই ভিসিকে (ড. সৌমিত্র শেখর) সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান পান নাই যে নিজের মত সব করবেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে কে কে থাকবে এই বিষয়ে আপনি উপাচার্যের পরামর্শ নিয়েছেন? তাঁকে জানিয়েছেন?
উত্তরে ড. উজ্জ্বল বলেন, এবিষয়ে একটি উদযাপন কমিটি করা হয়েছে, কমিটি তার মত কাজ করেছে। সব সিদ্ধান্ত আলোচনা সাপেক্ষেই হয়েছে। এসময় উজ্জ্বল কুমারের সমর্থনে বিতণ্ডায় জড়ান মানবসম্পদ ব্যাবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক রেজুয়ান আহমেদ শুভ্র, রিমন সরকার ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক আসিফ ইকবাল আরিফ।
এসময় কিছু শিক্ষককে প্রশাসনিক ভবনে ঢুকতে বাধা দিয়ে ভিতর থেকে তালা দেন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. আহমেদুল বারী। তিনি বলেন, যাদের কাছে আইডি কার্ড (পরিচয়পত্র) দেয়া হয়েছে শুধু তারাই উপস্থিত থাকবেন।
এব্যাপারে জানতে চাইলে ড. সিদ্ধার্থ দে বলেন, ‘কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই। আগামীকালের অনুষ্ঠানটিকে সফল করাটাই আমাদের লক্ষ্য। যেটুকু হয়েছে তা বিশেষ কিছু না। অনুষ্ঠান সবার অংশগ্রহণে সফল হোক এটিই চাই।’
আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান এবিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. শেখ সুজন আলী বলেন, ‘সকলে মিলে কাজ করতে গেলে এরকম দু-চার কথা হতেই পারে। সবকিছুর উর্ধ্বে প্রোগ্রাম বাস্তবায়নই আমাদের মূল কথা।’
ঘটনাস্থলে সিদ্ধার্থ দে কে সমর্থন করে বিতণ্ডায় জড়ান নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক জুয়েল মোল্যা। তিনি এসময় বিপরীত পক্ষের জামাত-শিবির সংশ্লিষ্টতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এব্যাপারে জানতে চাইলে জুয়েল মোল্যা বলেন, ‘ছাত্রজীবনে স্বাধীনতার পক্ষের রাজনীতি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ করে এসেছি৷ মাননীয় মন্ত্রীও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করছেন। সুতরাং সেই অনুষ্ঠানে কোনো ঘাটতি থাক সেটা আমি চাইনা। শিক্ষকরা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির সাথে জড়িত না থাকলে জ্ঞানপাপী হিসেবে কাজ করে।’
শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যা ঘটেছে খুবই নিন্দনীয়। কোনভাবেই গ্ৰহনযোগ্য নয়। যে ঘটনা ঘটিয়েছে তার আচরণ শিক্ষক হিসেবে গ্ৰহণযোগ্য নয়। আমি মনে করি এই ঘটনার বিচার হওয়া উচিত। এ ধরনের একটি সুন্দর প্ৰোগ্ৰামে যে এই সমস্যা ঘটিয়েছে তার উদ্দেশ্যে কি তা জানা দরকার।’
মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের দ্বিতীয় পর্বের আয়োজনে শিক্ষামন্ত্রীকে অভ্যর্থনা ও ফুল দেওয়ার পরিকল্পনাকে কেন্দ্র করে উপাচার্যের সম্মুখে শিক্ষকদের দুই পক্ষের তুমুল বাকবিতণ্ডা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আগামীকাল বুধবার (১১ মে) বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠানে ক্যাম্পাসে আসছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে শিক্ষামন্ত্রীর সাথে ফুল দেয়ার সময় কোন কোন শিক্ষক উপস্থিত থাকবেন এ নিয়ে শিক্ষকরা তুমুল বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
এসময় ১৭তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য-সচিব প্রফেসর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধানের বিরুদ্ধে আয়োজনে গড়মিল এবং ফুল দেয়া ও পুরো অনুষ্ঠানের শিডিউলে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলেন চারুকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সিদ্ধার্থ দে। ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধানকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এই ভিসিকে (ড. সৌমিত্র শেখর) সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান পান নাই যে নিজের মত সব করবেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে কে কে থাকবে এই বিষয়ে আপনি উপাচার্যের পরামর্শ নিয়েছেন? তাঁকে জানিয়েছেন?
উত্তরে ড. উজ্জ্বল বলেন, এবিষয়ে একটি উদযাপন কমিটি করা হয়েছে, কমিটি তার মত কাজ করেছে। সব সিদ্ধান্ত আলোচনা সাপেক্ষেই হয়েছে। এসময় উজ্জ্বল কুমারের সমর্থনে বিতণ্ডায় জড়ান মানবসম্পদ ব্যাবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক রেজুয়ান আহমেদ শুভ্র, রিমন সরকার ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক আসিফ ইকবাল আরিফ।
এসময় কিছু শিক্ষককে প্রশাসনিক ভবনে ঢুকতে বাধা দিয়ে ভিতর থেকে তালা দেন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. আহমেদুল বারী। তিনি বলেন, যাদের কাছে আইডি কার্ড (পরিচয়পত্র) দেয়া হয়েছে শুধু তারাই উপস্থিত থাকবেন।
এব্যাপারে জানতে চাইলে ড. সিদ্ধার্থ দে বলেন, ‘কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই। আগামীকালের অনুষ্ঠানটিকে সফল করাটাই আমাদের লক্ষ্য। যেটুকু হয়েছে তা বিশেষ কিছু না। অনুষ্ঠান সবার অংশগ্রহণে সফল হোক এটিই চাই।’
আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান এবিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. শেখ সুজন আলী বলেন, ‘সকলে মিলে কাজ করতে গেলে এরকম দু-চার কথা হতেই পারে। সবকিছুর উর্ধ্বে প্রোগ্রাম বাস্তবায়নই আমাদের মূল কথা।’
ঘটনাস্থলে সিদ্ধার্থ দে কে সমর্থন করে বিতণ্ডায় জড়ান নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক জুয়েল মোল্যা। তিনি এসময় বিপরীত পক্ষের জামাত-শিবির সংশ্লিষ্টতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এব্যাপারে জানতে চাইলে জুয়েল মোল্যা বলেন, ‘ছাত্রজীবনে স্বাধীনতার পক্ষের রাজনীতি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ করে এসেছি৷ মাননীয় মন্ত্রীও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করছেন। সুতরাং সেই অনুষ্ঠানে কোনো ঘাটতি থাক সেটা আমি চাইনা। শিক্ষকরা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির সাথে জড়িত না থাকলে জ্ঞানপাপী হিসেবে কাজ করে।’
শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যা ঘটেছে খুবই নিন্দনীয়। কোনভাবেই গ্ৰহনযোগ্য নয়। যে ঘটনা ঘটিয়েছে তার আচরণ শিক্ষক হিসেবে গ্ৰহণযোগ্য নয়। আমি মনে করি এই ঘটনার বিচার হওয়া উচিত। এ ধরনের একটি সুন্দর প্ৰোগ্ৰামে যে এই সমস্যা ঘটিয়েছে তার উদ্দেশ্যে কি তা জানা দরকার।’