হকিস্টিক, রড, চাপাতি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছাত্রলীগের মহড়া
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয়েছেন ছাত্রদল। হামলায় ছাত্রদলের প্রায় ৪০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে ছাত্রদল। এসময় ছাত্রদলের পাল্টা প্রতিরোধের চেষ্টা করলে বাঁধে দ্বিমুখী সংঘর্ষ।
মঙ্গলবার (২৩ মে) সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় এ সংঘর্ষের শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদের এক বক্তব্যের পর গত রোববার সন্ধ্যায় টিএসসি এলাকায় ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা–কর্মীর ওপর ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা হামলা করেন৷ ওই ঘটনার প্রতিবাদ ও সাইফ মাহমুদের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে ছাত্রদলের সংবাদ সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল৷ সেখানে যাওয়ার পথেই তাদের ওপর হামলা হয়।
ছাত্রদলের ক্যাম্পাসে আসার খবর পেয়ে সকাল থেকেই ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা–কর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, মধুর ক্যানটিন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নেন৷ সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে থেকে ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা মিছিল বের করেন৷ এসময়ই তাদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে।
হকিস্টিক, রড, চাপাতি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছাত্রদলের উপর হামলা করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এছাড়া দিনভর ক্যাম্পাসে চলে ছাত্রলীগের বাইক মহড়া। সংঘর্ষের সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের আতঙ্কগ্রস্ত হতে দেখা যায়।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিবুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, 'ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, আমি, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আকতার হোসেন ও সদস্যসচিব আমানউল্লাহ আমানসহ পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে টিএসসির দিকে যাচ্ছিলাম৷ দুই দিন ধরে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসের মহড়া দিচ্ছে বলে মিছিলে আমরা কোনো স্লোগান পর্যন্ত দিইনি৷ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অবস্থান করছিলেন৷ তাঁদের সঙ্গে আমরা কথা বলি৷ বলি যে ‘আমরা তো শান্তিপূর্ণভাবে যাচ্ছি, আমাদের অপরাধটা কী?’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘ছাত্রলীগ হকিস্টিক, চাপাতি, রডসহ দেশি অস্ত্র দিয়ে আমাদের ওপর হামলা করেছে৷ আমাদের ক্যাম্পাসে আসাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসের পয়েন্টে পয়েন্টে ছাত্রলীগ অবস্থান নিয়েছিল৷ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে থেকে আমাদের মিছিল শুরু হয়৷ মিছিলটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে পৌঁছাতেই ছাত্রলীগের তিন শতাধিক নেতা-কর্মীর একটি দল আমাদের বাধা দেয়৷ তাঁরা বিনা উসকানিতে আমাদের ওপর হামলা করে৷ সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রদলের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ এই হামলা করেছে৷’'
বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে শহীদুল্লাহ হলের গেটের ড্রেনে ফেলে ছাত্রদলের দুই নেতাকে বেধড়ক পেটায় ছাত্রলীগের কর্মীরা। তারা হলেন— বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এজিএস ছাত্রদল নেতা আল আমিন বাবলু, ঢাকা মহানগর ছাত্রদল নেতা মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
পরে ছাত্রলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক তুহিন রেজা, সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের নেতা সৈয়দ শরিফুল আলম শফুর হস্তক্ষেপে ড্রেন থেকে তোলা হয় তাদের। তোলার পর আবারো কয়েক দফা মেরে রিকশায় তুলে দেওয়া হয়। রিকশায় উঠলে আবার লাথি মেরে ফেলে দেওয়া হয় মিনহাজুল আবেদীনকে। মারধরে তার পা ভেঙে যায়। পরে ছাত্রলীগের দুই কর্মী আবার তাকে রিকশায় তুলে দেন।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, "সম্প্রতি ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে বিভীষিকা ছড়ানোর চেষ্টা করছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজও দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে ছাত্রদল ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছিল। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিহত করতে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়েছে। ছাত্রলীগ ছাত্রদের এ অবস্থানকে সমর্থন জানাচ্ছে।"
ছাত্রদলের পাল্টা প্রতিরোধঃ
এদিকে ছাত্রলীগের হামলার জবাবে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করতে দেখা গেছে ছাত্রদলকে।বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগ থেকে মিছিল নিয়ে শহীদুল্লাহ হলের সামনে গেলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বাধার মুখে পড়ে। সেখানে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে ছাত্রদল। এসময় পিছু হটতে দেখা যায় ছাত্রলীগকে।
ছাত্রদলের পাল্টা প্রতিরোধে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম ভবনের সামনে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগ। আর ছাত্রদল অবস্থান নেয় দোয়েল চত্বরে। সেখানে একে অপরকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এ সময় ছাত্রদল নেতাদের হাতে বাঁশ ও ছাত্রলীগ নেতাদের হাতে রড, হকি স্টিক দেখা যায়। ছাত্রদলের প্রায় দুইশ নেতাকর্মী কার্জন হল ও দোয়েল চত্বরের সামনে অবস্থান নেয়। প্রায় ১০-১৫ মিনিট ধরে চলে সংঘর্ষ।
বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান বাম ছাত্র সংগঠনগুলোরঃ
ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ এনে প্রতিবাদ জানিয়ে গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠায় ছাত্র সমাজের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন।
মঙ্গলবার (২৪ মে) ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড ও সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ এক যৌথ বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন।
এছাড়া ছাত্র ইউনিয়নও এক বিবৃতিতে যেকোনো ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম রুখে দেওয়ার জন্য সর্বস্তরের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের যুথবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে আরো বিবৃতি দেয় সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ(জাসদ)।
হকিস্টিক, রড, চাপাতি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছাত্রলীগের মহড়া
মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয়েছেন ছাত্রদল। হামলায় ছাত্রদলের প্রায় ৪০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে ছাত্রদল। এসময় ছাত্রদলের পাল্টা প্রতিরোধের চেষ্টা করলে বাঁধে দ্বিমুখী সংঘর্ষ।
মঙ্গলবার (২৩ মে) সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় এ সংঘর্ষের শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদের এক বক্তব্যের পর গত রোববার সন্ধ্যায় টিএসসি এলাকায় ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা–কর্মীর ওপর ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা হামলা করেন৷ ওই ঘটনার প্রতিবাদ ও সাইফ মাহমুদের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে ছাত্রদলের সংবাদ সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল৷ সেখানে যাওয়ার পথেই তাদের ওপর হামলা হয়।
ছাত্রদলের ক্যাম্পাসে আসার খবর পেয়ে সকাল থেকেই ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা–কর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, মধুর ক্যানটিন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নেন৷ সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে থেকে ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা মিছিল বের করেন৷ এসময়ই তাদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে।
হকিস্টিক, রড, চাপাতি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছাত্রদলের উপর হামলা করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এছাড়া দিনভর ক্যাম্পাসে চলে ছাত্রলীগের বাইক মহড়া। সংঘর্ষের সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের আতঙ্কগ্রস্ত হতে দেখা যায়।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিবুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, 'ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, আমি, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আকতার হোসেন ও সদস্যসচিব আমানউল্লাহ আমানসহ পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে টিএসসির দিকে যাচ্ছিলাম৷ দুই দিন ধরে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসের মহড়া দিচ্ছে বলে মিছিলে আমরা কোনো স্লোগান পর্যন্ত দিইনি৷ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অবস্থান করছিলেন৷ তাঁদের সঙ্গে আমরা কথা বলি৷ বলি যে ‘আমরা তো শান্তিপূর্ণভাবে যাচ্ছি, আমাদের অপরাধটা কী?’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘ছাত্রলীগ হকিস্টিক, চাপাতি, রডসহ দেশি অস্ত্র দিয়ে আমাদের ওপর হামলা করেছে৷ আমাদের ক্যাম্পাসে আসাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসের পয়েন্টে পয়েন্টে ছাত্রলীগ অবস্থান নিয়েছিল৷ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে থেকে আমাদের মিছিল শুরু হয়৷ মিছিলটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে পৌঁছাতেই ছাত্রলীগের তিন শতাধিক নেতা-কর্মীর একটি দল আমাদের বাধা দেয়৷ তাঁরা বিনা উসকানিতে আমাদের ওপর হামলা করে৷ সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রদলের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ এই হামলা করেছে৷’'
বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে শহীদুল্লাহ হলের গেটের ড্রেনে ফেলে ছাত্রদলের দুই নেতাকে বেধড়ক পেটায় ছাত্রলীগের কর্মীরা। তারা হলেন— বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এজিএস ছাত্রদল নেতা আল আমিন বাবলু, ঢাকা মহানগর ছাত্রদল নেতা মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
পরে ছাত্রলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক তুহিন রেজা, সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের নেতা সৈয়দ শরিফুল আলম শফুর হস্তক্ষেপে ড্রেন থেকে তোলা হয় তাদের। তোলার পর আবারো কয়েক দফা মেরে রিকশায় তুলে দেওয়া হয়। রিকশায় উঠলে আবার লাথি মেরে ফেলে দেওয়া হয় মিনহাজুল আবেদীনকে। মারধরে তার পা ভেঙে যায়। পরে ছাত্রলীগের দুই কর্মী আবার তাকে রিকশায় তুলে দেন।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, "সম্প্রতি ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে বিভীষিকা ছড়ানোর চেষ্টা করছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজও দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে ছাত্রদল ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছিল। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিহত করতে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়েছে। ছাত্রলীগ ছাত্রদের এ অবস্থানকে সমর্থন জানাচ্ছে।"
ছাত্রদলের পাল্টা প্রতিরোধঃ
এদিকে ছাত্রলীগের হামলার জবাবে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করতে দেখা গেছে ছাত্রদলকে।বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগ থেকে মিছিল নিয়ে শহীদুল্লাহ হলের সামনে গেলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বাধার মুখে পড়ে। সেখানে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে ছাত্রদল। এসময় পিছু হটতে দেখা যায় ছাত্রলীগকে।
ছাত্রদলের পাল্টা প্রতিরোধে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম ভবনের সামনে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগ। আর ছাত্রদল অবস্থান নেয় দোয়েল চত্বরে। সেখানে একে অপরকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এ সময় ছাত্রদল নেতাদের হাতে বাঁশ ও ছাত্রলীগ নেতাদের হাতে রড, হকি স্টিক দেখা যায়। ছাত্রদলের প্রায় দুইশ নেতাকর্মী কার্জন হল ও দোয়েল চত্বরের সামনে অবস্থান নেয়। প্রায় ১০-১৫ মিনিট ধরে চলে সংঘর্ষ।
বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান বাম ছাত্র সংগঠনগুলোরঃ
ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ এনে প্রতিবাদ জানিয়ে গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠায় ছাত্র সমাজের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন।
মঙ্গলবার (২৪ মে) ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড ও সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ এক যৌথ বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন।
এছাড়া ছাত্র ইউনিয়নও এক বিবৃতিতে যেকোনো ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম রুখে দেওয়ার জন্য সর্বস্তরের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের যুথবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে আরো বিবৃতি দেয় সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ(জাসদ)।