প্রায় ১২ দিন পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ঢুকতে পেরেছে ছাত্রদল। স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে।
শুক্রবার (৩ জুন) ক্যাম্পাসে ঢুকতে ছাত্রদলকে বাধা দেয়নি ছাত্রলীগ। এদিকে ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি ছিল।
অন্যদিকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানাতে শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগের ফটকের সামনে অবস্থান নেন ছাত্রদলের একদল নেতাকর্মী। নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আকতার হোসেন ও সদস্য সচিব আমানউল্লাহ আমান।
পরীক্ষা শেষে কাজী মোতাহার হোসেন ভবন থেকে বের হওয়া ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানায় ছাত্রদল। তারা ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের ফুল ও কলম দেয়। ১৫ মিনিটের মধ্যে কর্মসূচি শেষ করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ হয়ে ক্যাম্পাস ছাড়েন।
ক্যাম্পাসে প্রবেশের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক আকতার হোসেন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের ঐতিহ্য হচ্ছে প্রতিবছর ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদেরকে ফুল এবং কলম দিয়ে ক্যাম্পাসে অভ্যর্থনা জানানো, তাদেরকে তথ্য দিয়ে, পরিবহণ দিয়ে, সুপেয় পানি দিয়ে এবং মেডিকেল সহযোগিতা দিয়ে তাদের পাশে থাকা। আজকে শুরুতে আমরা ক্যাম্পাসে পুলিশ প্রশাসনের বাধার সম্মুখিন হলেও পরে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ঐক্য প্রগতির পতাকাবাহী সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলে আসার আহ্বান করে আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি শেষ করি।
ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সব সময় ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীসহ তাদের অভিভাবকদের প্রয়োজন, প্রত্যাশায় ও সংকটে পাশে থেকেছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। শিক্ষার্থীবান্ধব ও ভর্তি পরীক্ষার উপযোগী কর্মসূচি দেওয়ার জন্য অভিভাবকেরা ছাত্রলীগের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। শিক্ষার্থীরা সুন্দরভাবে পরীক্ষা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ২২ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদের এক বক্তব্যের পর ছাত্রলীগ কঠোর অবস্থান নেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকতে গিয়ে দফায় দফায় হামলার শিকার হয় ছাত্রদল। ১২ দিন ধরে ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারেনি। তারা ক্যাম্পাস থেকে কার্যত ‘বিতাড়িত’ ছিল।
গত ২৯ মে এক মানববন্ধনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান বলেন, ক্যাম্পাসে আসতে হলে ছাত্রদলকে ক্ষমা চাইতে হবে।তার আগে ২৬ মে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, সহিংসতার উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাসে এলেই ছাত্রদলকে প্রতিহত করা হবে।
তবে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মধুর ক্যানটিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের কণ্ঠে ছাত্রদলের ক্যাম্পাসে ঢোকার বিষয়ে কিছুটা নমনীয় সুর লক্ষ করা যায়। এর কিছুটা প্রতিফলন দেখা গেল আজ।
শুক্রবার, ০৩ জুন ২০২২
প্রায় ১২ দিন পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ঢুকতে পেরেছে ছাত্রদল। স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে।
শুক্রবার (৩ জুন) ক্যাম্পাসে ঢুকতে ছাত্রদলকে বাধা দেয়নি ছাত্রলীগ। এদিকে ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি ছিল।
অন্যদিকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানাতে শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগের ফটকের সামনে অবস্থান নেন ছাত্রদলের একদল নেতাকর্মী। নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আকতার হোসেন ও সদস্য সচিব আমানউল্লাহ আমান।
পরীক্ষা শেষে কাজী মোতাহার হোসেন ভবন থেকে বের হওয়া ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানায় ছাত্রদল। তারা ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের ফুল ও কলম দেয়। ১৫ মিনিটের মধ্যে কর্মসূচি শেষ করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ হয়ে ক্যাম্পাস ছাড়েন।
ক্যাম্পাসে প্রবেশের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক আকতার হোসেন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের ঐতিহ্য হচ্ছে প্রতিবছর ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদেরকে ফুল এবং কলম দিয়ে ক্যাম্পাসে অভ্যর্থনা জানানো, তাদেরকে তথ্য দিয়ে, পরিবহণ দিয়ে, সুপেয় পানি দিয়ে এবং মেডিকেল সহযোগিতা দিয়ে তাদের পাশে থাকা। আজকে শুরুতে আমরা ক্যাম্পাসে পুলিশ প্রশাসনের বাধার সম্মুখিন হলেও পরে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ঐক্য প্রগতির পতাকাবাহী সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলে আসার আহ্বান করে আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি শেষ করি।
ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সব সময় ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীসহ তাদের অভিভাবকদের প্রয়োজন, প্রত্যাশায় ও সংকটে পাশে থেকেছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। শিক্ষার্থীবান্ধব ও ভর্তি পরীক্ষার উপযোগী কর্মসূচি দেওয়ার জন্য অভিভাবকেরা ছাত্রলীগের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। শিক্ষার্থীরা সুন্দরভাবে পরীক্ষা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ২২ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদের এক বক্তব্যের পর ছাত্রলীগ কঠোর অবস্থান নেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকতে গিয়ে দফায় দফায় হামলার শিকার হয় ছাত্রদল। ১২ দিন ধরে ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারেনি। তারা ক্যাম্পাস থেকে কার্যত ‘বিতাড়িত’ ছিল।
গত ২৯ মে এক মানববন্ধনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান বলেন, ক্যাম্পাসে আসতে হলে ছাত্রদলকে ক্ষমা চাইতে হবে।তার আগে ২৬ মে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, সহিংসতার উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাসে এলেই ছাত্রদলকে প্রতিহত করা হবে।
তবে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মধুর ক্যানটিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের কণ্ঠে ছাত্রদলের ক্যাম্পাসে ঢোকার বিষয়ে কিছুটা নমনীয় সুর লক্ষ করা যায়। এর কিছুটা প্রতিফলন দেখা গেল আজ।