করোনাভাইরাসের প্রভাব এখনও সারা বিশ্বে রয়ে গেছে। এর মধ্যে বিশ্বে আরও একটি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় ১৭ হাজার রোগী পাওয়া গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) গত ২৩ জুলাই মাঙ্কিপক্সের সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। হুর মতে, মাঙ্কিপক্সকে শনাক্তযোগ্য ও বর্ধনশীল ব্যাধি হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
বাংলাদেশে এ রোগে আক্রান্ত কোন রোগী এখনও শনাক্ত হয়নি। এরপরও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সতর্ক রয়েছে। শনিবার (৩০ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে মাঙ্কিপক্স নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভিসি প্রফেসর ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে ভিসির সঙ্গে অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ভিসি তার বক্তব্যে বলেন, মাঙ্কিপক্স একটি ডিএনএ ভাইরাস। কাউপক্স, ভ্যাক্সিপক্স, ভ্যারিওলা এই গ্রুপের ভাইরাস। মাঙ্কিপক্সের প্রাথমিক সংক্রমণ, সংক্রমিত প্রাণীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে বা সম্ভবত তাদের অপর্যাপ্ত ভাবে রান্না করা মাংস খাওয়ার মাধ্যমে ঘটে বলে বিশ্বাস করা হয়। এই ভাইরাস সরাসরি সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায়, যার মধ্যে শেষ্মা ঝিল্লি এবং ত্বকের ক্ষতের মাধ্যমে বা দূষিত বস্তর সংস্পর্শে আসা অন্যতম।
এটি শ্বাস প্রশ্বাসের ফোঁটা বা ড্রপের দ্বারাও সংক্রমিত হতে পারে। স্বল্প দূরত্বে এবং দীর্ঘক্ষণ সান্নিধ্যে থাকার সময়ে। মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত অন্য ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ শারীরিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে যে কেউ ঝুঁকিপূর্ণ।
প্রধান ফ্যাক্টর হলো একাধিক সঙ্গী থাকা। দেখা গেছে, ৭৪ শতাংশ রোগী বহুগামিতায় অভ্যস্ত। আর ২৬ শতাংশ রোগীর মাঙ্কিপক্সের সঙ্গে এইচআইভি-পজেটিভ ধরা পড়ে। মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণই সবচেয়ে ভয়ংকর মাধ্যম বলে বিবেচিত। ৯০ শতাংশ রোগী ১৫ বছরের কম বয়সী শিশু। গুটি বসন্তের টিকা বন্ধ করা এর একটি কারণ হতে পারে। গুটি বসন্তের টিকা মাঙ্কিপক্স থেকে ৮৫ শতাংশ সুরক্ষা নিশ্চিত করে। মাঙ্কিপক্স রোগীর স্থায়ী ক্ষত, বিকৃত দাগ, সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ, বঙ্কোনিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, কেরাটাইসিস, কর্নিয়ার আলসারেশন, অন্ধত্ব, সেপ্টিসেমিয়া এবং এনসেফালাইটিস ইত্যাদি হয়ে থাকে। আক্রান্ত রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করে সব ক্ষত শুকানো পর্যন্ত আইসোলেশন আর কোয়ারেন্টাইন করে চিকিৎসা করা আব্যশক। তথ্য সূত্র ভার্সিটির ভিসি ও মিডিয়া শাখা।
শনিবার, ৩০ জুলাই ২০২২
করোনাভাইরাসের প্রভাব এখনও সারা বিশ্বে রয়ে গেছে। এর মধ্যে বিশ্বে আরও একটি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় ১৭ হাজার রোগী পাওয়া গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) গত ২৩ জুলাই মাঙ্কিপক্সের সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। হুর মতে, মাঙ্কিপক্সকে শনাক্তযোগ্য ও বর্ধনশীল ব্যাধি হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
বাংলাদেশে এ রোগে আক্রান্ত কোন রোগী এখনও শনাক্ত হয়নি। এরপরও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সতর্ক রয়েছে। শনিবার (৩০ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে মাঙ্কিপক্স নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভিসি প্রফেসর ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে ভিসির সঙ্গে অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ভিসি তার বক্তব্যে বলেন, মাঙ্কিপক্স একটি ডিএনএ ভাইরাস। কাউপক্স, ভ্যাক্সিপক্স, ভ্যারিওলা এই গ্রুপের ভাইরাস। মাঙ্কিপক্সের প্রাথমিক সংক্রমণ, সংক্রমিত প্রাণীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে বা সম্ভবত তাদের অপর্যাপ্ত ভাবে রান্না করা মাংস খাওয়ার মাধ্যমে ঘটে বলে বিশ্বাস করা হয়। এই ভাইরাস সরাসরি সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায়, যার মধ্যে শেষ্মা ঝিল্লি এবং ত্বকের ক্ষতের মাধ্যমে বা দূষিত বস্তর সংস্পর্শে আসা অন্যতম।
এটি শ্বাস প্রশ্বাসের ফোঁটা বা ড্রপের দ্বারাও সংক্রমিত হতে পারে। স্বল্প দূরত্বে এবং দীর্ঘক্ষণ সান্নিধ্যে থাকার সময়ে। মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত অন্য ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ শারীরিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে যে কেউ ঝুঁকিপূর্ণ।
প্রধান ফ্যাক্টর হলো একাধিক সঙ্গী থাকা। দেখা গেছে, ৭৪ শতাংশ রোগী বহুগামিতায় অভ্যস্ত। আর ২৬ শতাংশ রোগীর মাঙ্কিপক্সের সঙ্গে এইচআইভি-পজেটিভ ধরা পড়ে। মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণই সবচেয়ে ভয়ংকর মাধ্যম বলে বিবেচিত। ৯০ শতাংশ রোগী ১৫ বছরের কম বয়সী শিশু। গুটি বসন্তের টিকা বন্ধ করা এর একটি কারণ হতে পারে। গুটি বসন্তের টিকা মাঙ্কিপক্স থেকে ৮৫ শতাংশ সুরক্ষা নিশ্চিত করে। মাঙ্কিপক্স রোগীর স্থায়ী ক্ষত, বিকৃত দাগ, সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ, বঙ্কোনিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, কেরাটাইসিস, কর্নিয়ার আলসারেশন, অন্ধত্ব, সেপ্টিসেমিয়া এবং এনসেফালাইটিস ইত্যাদি হয়ে থাকে। আক্রান্ত রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করে সব ক্ষত শুকানো পর্যন্ত আইসোলেশন আর কোয়ারেন্টাইন করে চিকিৎসা করা আব্যশক। তথ্য সূত্র ভার্সিটির ভিসি ও মিডিয়া শাখা।