জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় ক্যাম্পাস
২০১৬ সালে হল আন্দোলনের মুখে ঢাকার কেরানীগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণের ঘোষণা দেয়া হয়। ২০১৮ সালে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ৯২০ কোটি ৯৪ লাখ ৩৯ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। কিন্তু টাকা হাতে পাওয়ার তিন বছর পেরিয়ে গেলেও পূর্ণভাবে ২০০ একর ভূমি অধিগ্রহণের কাজটাও সমাপ্ত করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেখানে অধিগ্রহণ করা হয়েছে ১৮৮.৬০ একর জমি। অধিগ্রহণ করতে এখনও বাকি ১১.৪০ একর জমি।
জানা যায়, ২০১৮ সালের ৯ অক্টোবর কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ায় ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন : ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন’ প্রকল্প অনুমোদন করে একনেক। পরের বছর ২৪ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের নকশা দেখেন প্রধানমন্ত্রী। উক্ত প্রকল্পের আওতায় ছিল ভূমি অধিগ্রহণ, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, মাস্টারপ্ল্যান, বালু ভরাট, লেক খনন, অভ্যন্তরীণ ড্রেন ও সারফেস নির্মাণ ইত্যাদি। কাজের মেয়াদ ছিল ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। কিন্তু কাজের মেয়াদ শুধু দফায় দফায় বাড়ানোই হয়েছে। এদিকে নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক যোগদানের পর অনিয়মের দায়ে পূর্বের মাস্টারপ্ল্যানের পুরো প্রক্রিয়াই বাতিল করেন। এখনও পর্যন্ত নতুন মাস্টারপ্ল্যানটাও চূড়ান্ত হয়নি।
এদিকে অধিগ্রহণ অসম্পূর্ণ রেখেই চলতি বছরের প্রথমদিকে অতি ধীর গতিতে শুরু হয় ক্যাম্পাসের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ। কিন্তু সময়মত বাকি ১১.৪০ একর ভূমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় অনেকটাই স্থবির হয়ে গেছে সীমানা প্রাচীর নির্মাণসহ অন্যান্য কাজ। এই জটিলতার ফলে আটকে আছে ক্যাম্পাসের বালু ভরাট, লেক খনন এমনকি মাস্টারপ্ল্যানের কাজও।
বাকি ভূমি অধিগ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী রেজিস্ট্রার (ভূমি) কামাল হোসেন সরকার জানান, ওই ক্যাম্পাসের দক্ষিণ পাশে বাংলাদেশ রেওলয়ে এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিগ্রহণকৃত জমির মাঝে ৪২ শতাংশ জায়গা থেকে গেছে। এটা অধিগ্রহণ না করলে ভবিষ্যতে এখানে বস্তি এলাকা হয়ে যাবে। এটা অধিগ্রহণের অনুমতি পেতে দেড়বছর ধরে ঘুরছি। তবে এটা অধিগ্রহণের অনুমোদন এখনও পর্যন্ত পাইনি। আশাকরি শীঘ্রই পেয়ে যাবো। তাছাড়া আরও ভূমি অধিগ্রহণের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের চেষ্টা চলছে। এটা হয়ে গেলেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন ফিজিবিলিটি টেস্ট (সম্ভাবনা পরীক্ষা) করবে। তারপর অধিগ্রহণ করা যাবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমেদ বলেন, সামান্য কিছু ভূমি অধিগ্রহণ করতে বাকি রয়েছে। এটার অধিগ্রহণও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। শীঘ্রই তা সম্পন্ন হয়ে যাবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় ক্যাম্পাস
শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২
২০১৬ সালে হল আন্দোলনের মুখে ঢাকার কেরানীগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণের ঘোষণা দেয়া হয়। ২০১৮ সালে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ৯২০ কোটি ৯৪ লাখ ৩৯ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। কিন্তু টাকা হাতে পাওয়ার তিন বছর পেরিয়ে গেলেও পূর্ণভাবে ২০০ একর ভূমি অধিগ্রহণের কাজটাও সমাপ্ত করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেখানে অধিগ্রহণ করা হয়েছে ১৮৮.৬০ একর জমি। অধিগ্রহণ করতে এখনও বাকি ১১.৪০ একর জমি।
জানা যায়, ২০১৮ সালের ৯ অক্টোবর কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ায় ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন : ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন’ প্রকল্প অনুমোদন করে একনেক। পরের বছর ২৪ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের নকশা দেখেন প্রধানমন্ত্রী। উক্ত প্রকল্পের আওতায় ছিল ভূমি অধিগ্রহণ, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, মাস্টারপ্ল্যান, বালু ভরাট, লেক খনন, অভ্যন্তরীণ ড্রেন ও সারফেস নির্মাণ ইত্যাদি। কাজের মেয়াদ ছিল ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। কিন্তু কাজের মেয়াদ শুধু দফায় দফায় বাড়ানোই হয়েছে। এদিকে নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক যোগদানের পর অনিয়মের দায়ে পূর্বের মাস্টারপ্ল্যানের পুরো প্রক্রিয়াই বাতিল করেন। এখনও পর্যন্ত নতুন মাস্টারপ্ল্যানটাও চূড়ান্ত হয়নি।
এদিকে অধিগ্রহণ অসম্পূর্ণ রেখেই চলতি বছরের প্রথমদিকে অতি ধীর গতিতে শুরু হয় ক্যাম্পাসের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ। কিন্তু সময়মত বাকি ১১.৪০ একর ভূমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় অনেকটাই স্থবির হয়ে গেছে সীমানা প্রাচীর নির্মাণসহ অন্যান্য কাজ। এই জটিলতার ফলে আটকে আছে ক্যাম্পাসের বালু ভরাট, লেক খনন এমনকি মাস্টারপ্ল্যানের কাজও।
বাকি ভূমি অধিগ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী রেজিস্ট্রার (ভূমি) কামাল হোসেন সরকার জানান, ওই ক্যাম্পাসের দক্ষিণ পাশে বাংলাদেশ রেওলয়ে এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিগ্রহণকৃত জমির মাঝে ৪২ শতাংশ জায়গা থেকে গেছে। এটা অধিগ্রহণ না করলে ভবিষ্যতে এখানে বস্তি এলাকা হয়ে যাবে। এটা অধিগ্রহণের অনুমতি পেতে দেড়বছর ধরে ঘুরছি। তবে এটা অধিগ্রহণের অনুমোদন এখনও পর্যন্ত পাইনি। আশাকরি শীঘ্রই পেয়ে যাবো। তাছাড়া আরও ভূমি অধিগ্রহণের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের চেষ্টা চলছে। এটা হয়ে গেলেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন ফিজিবিলিটি টেস্ট (সম্ভাবনা পরীক্ষা) করবে। তারপর অধিগ্রহণ করা যাবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমেদ বলেন, সামান্য কিছু ভূমি অধিগ্রহণ করতে বাকি রয়েছে। এটার অধিগ্রহণও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। শীঘ্রই তা সম্পন্ন হয়ে যাবে।