ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন। তাদের দুজনের গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলায়। এই হওয়ার সুবাদে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বড় নেতা হয়েছেন এস এম রিয়াদ হাসান। পদ পেয়েছেন সহ-সভাপতির। এই পরিচয়ে প্রভাব খাটিয়ে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে থাকেন অবৈধভাবে। ৩১৩ নম্বর রুমে তিনি অবৈধভাবে থেকেই ক্ষ্যান্ত হননি, তার কক্ষে আছে রেফ্রিজারেটর, এয়ার কুলার।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, সরকারি চাকরিজীবীদের ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত থাকার কোনো সুযোগ নেই। এই নিয়ম থাকলেও রিয়াদ হাসানের বেলায় মানা হচ্ছে না এই আইন। সম্প্রতি তিনি শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি প্রতিষ্ঠানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশনে সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে যোগ দিয়েছেন। সরকারি চাকরির পাশাপাশি তিনি এখনো যুক্ত থাকছেন দলীয় কার্যক্রমে।
জহুরুল হক হলের একাধিক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, হলে প্রশাসনের কোনো নিয়ন্ত্রণ না থাকায় রিয়াদ নির্বিঘ্নেই আছেন। ছাত্রলীগ সভাপতির ঘনিষ্ঠ এই নেতার আড়ম্বরভাবে হলে থাকার বিষয়টি ‘ওপেন সিক্রেট’।
হলের প্রাধ্যক্ষ আবদুর রহিম বলেন, ‘হলের কক্ষে রেফ্রিজারেটরসহ কোনো অছাত্রের থাকার বিষয়টি আমার জানা নেই। হলের কক্ষে রেফ্রিজারেটর ব্যবহারের সুযোগ নেই। অছাত্র হয়ে কেউ হলে থেকে থাকলে বিষয়টি খুবই খারাপ। এ ব্যাপারে আমি খোঁজ নিচ্ছি।’
সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার রিয়াদ নতুন করে আলোচনায় আসেন তার কয়েকজন অনুসারী-সমর্থকের ফেইসবুক পোস্টের মাধ্যমে। রিয়াদ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মনোনীত হয়েছেন—এমন একটি চিঠি তার একাধিক অনুসারী-সমর্থক নিজেদের ফেইসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। পোস্টে তারা রিয়াদকে শুভেচ্ছা-অভিনন্দন জানিয়েছেন। কিছু পোস্টের মন্তব্যের ঘরে রিয়াদ তার অনুসারী-সমর্থকদের ‘ভালোবাসা’ জানিয়েছেন।
রিয়াদের ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মনোনীত হওয়ার যে চিঠিটি ফেইসবুকে পোস্ট করা হয়েছে, সেটি ইস্যুর তারিখ হিসেবে অবশ্য ৩১ জুলাইয়ের কথা লেখা রয়েছে। তার পরদিনই রিয়াদ সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন।
অবৈধভাবে হলে থাকা, সরকারি চাকরিজীবী হয়েও ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত থাকার বিষয়ে জানতে গতকাল একাধিকবার রিয়াদের মুঠোফোনে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। আজ শুক্রবার কল করা হলে রিং হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।
শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন। তাদের দুজনের গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলায়। এই হওয়ার সুবাদে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বড় নেতা হয়েছেন এস এম রিয়াদ হাসান। পদ পেয়েছেন সহ-সভাপতির। এই পরিচয়ে প্রভাব খাটিয়ে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে থাকেন অবৈধভাবে। ৩১৩ নম্বর রুমে তিনি অবৈধভাবে থেকেই ক্ষ্যান্ত হননি, তার কক্ষে আছে রেফ্রিজারেটর, এয়ার কুলার।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, সরকারি চাকরিজীবীদের ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত থাকার কোনো সুযোগ নেই। এই নিয়ম থাকলেও রিয়াদ হাসানের বেলায় মানা হচ্ছে না এই আইন। সম্প্রতি তিনি শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি প্রতিষ্ঠানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশনে সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে যোগ দিয়েছেন। সরকারি চাকরির পাশাপাশি তিনি এখনো যুক্ত থাকছেন দলীয় কার্যক্রমে।
জহুরুল হক হলের একাধিক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, হলে প্রশাসনের কোনো নিয়ন্ত্রণ না থাকায় রিয়াদ নির্বিঘ্নেই আছেন। ছাত্রলীগ সভাপতির ঘনিষ্ঠ এই নেতার আড়ম্বরভাবে হলে থাকার বিষয়টি ‘ওপেন সিক্রেট’।
হলের প্রাধ্যক্ষ আবদুর রহিম বলেন, ‘হলের কক্ষে রেফ্রিজারেটরসহ কোনো অছাত্রের থাকার বিষয়টি আমার জানা নেই। হলের কক্ষে রেফ্রিজারেটর ব্যবহারের সুযোগ নেই। অছাত্র হয়ে কেউ হলে থেকে থাকলে বিষয়টি খুবই খারাপ। এ ব্যাপারে আমি খোঁজ নিচ্ছি।’
সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার রিয়াদ নতুন করে আলোচনায় আসেন তার কয়েকজন অনুসারী-সমর্থকের ফেইসবুক পোস্টের মাধ্যমে। রিয়াদ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মনোনীত হয়েছেন—এমন একটি চিঠি তার একাধিক অনুসারী-সমর্থক নিজেদের ফেইসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। পোস্টে তারা রিয়াদকে শুভেচ্ছা-অভিনন্দন জানিয়েছেন। কিছু পোস্টের মন্তব্যের ঘরে রিয়াদ তার অনুসারী-সমর্থকদের ‘ভালোবাসা’ জানিয়েছেন।
রিয়াদের ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মনোনীত হওয়ার যে চিঠিটি ফেইসবুকে পোস্ট করা হয়েছে, সেটি ইস্যুর তারিখ হিসেবে অবশ্য ৩১ জুলাইয়ের কথা লেখা রয়েছে। তার পরদিনই রিয়াদ সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন।
অবৈধভাবে হলে থাকা, সরকারি চাকরিজীবী হয়েও ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত থাকার বিষয়ে জানতে গতকাল একাধিকবার রিয়াদের মুঠোফোনে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। আজ শুক্রবার কল করা হলে রিং হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।