কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তির পর দুই পক্ষের অস্ত্রের মহড়াকে কেন্দ্র করে হল সিলগালা করাসহ বেশ কিছু জরুরি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রোববার (২ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো বন্ধ থাকবে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ছাত্র হলগুলোতে অবস্থানকারী ছাত্রদের ত্যাগ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো। ছাত্রী হলগুলোতে অবস্থানকারী ছাত্রীদের ৩ অক্টোবর সকাল ৯টার মধ্যে হল ত্যাগ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়াও আগামী ১০ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পরীক্ষাসমূহ স্থগিত থাকবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দের নিজস্ব পরিবহন ব্যতীত সকল ধরনের পরিবহন ক্যাম্পাসে প্রবেশ বন্ধ থাকবে।
শনিবার দুপুরে ছাত্রলীগের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটি ‘বিলুপ্তির’ খবরে দুই পক্ষের অনুসারীরা অস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিলে উত্তেজনা তৈরি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ছাত্রলীগের একটি পক্ষের নেতা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজা-ই-এলাহীর অনুসারীরা অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে ক্যাম্পাসে চক্কর দেয় এবং হাতবোমা ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
এর পরপরই ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজের অনুসারীরা প্রকাশ্যে রামদা, ছেনিসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিলে আতঙ্ক আরও বাড়ে। পরে ক্যাম্পাসে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
উল্লেখ্য, গত শনিবারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রক্টরিয়াল বডির পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকি জানান। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- সহযোগী অধ্যাপক মো. জাহিদ হাসান, মো. মোশাররফ হোসেন এবং শারমিন সুলতানা। তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রোববার, ০২ অক্টোবর ২০২২
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তির পর দুই পক্ষের অস্ত্রের মহড়াকে কেন্দ্র করে হল সিলগালা করাসহ বেশ কিছু জরুরি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রোববার (২ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো বন্ধ থাকবে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ছাত্র হলগুলোতে অবস্থানকারী ছাত্রদের ত্যাগ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো। ছাত্রী হলগুলোতে অবস্থানকারী ছাত্রীদের ৩ অক্টোবর সকাল ৯টার মধ্যে হল ত্যাগ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়াও আগামী ১০ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পরীক্ষাসমূহ স্থগিত থাকবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দের নিজস্ব পরিবহন ব্যতীত সকল ধরনের পরিবহন ক্যাম্পাসে প্রবেশ বন্ধ থাকবে।
শনিবার দুপুরে ছাত্রলীগের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটি ‘বিলুপ্তির’ খবরে দুই পক্ষের অনুসারীরা অস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিলে উত্তেজনা তৈরি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ছাত্রলীগের একটি পক্ষের নেতা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজা-ই-এলাহীর অনুসারীরা অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে ক্যাম্পাসে চক্কর দেয় এবং হাতবোমা ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
এর পরপরই ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজের অনুসারীরা প্রকাশ্যে রামদা, ছেনিসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিলে আতঙ্ক আরও বাড়ে। পরে ক্যাম্পাসে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
উল্লেখ্য, গত শনিবারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রক্টরিয়াল বডির পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকি জানান। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- সহযোগী অধ্যাপক মো. জাহিদ হাসান, মো. মোশাররফ হোসেন এবং শারমিন সুলতানা। তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।