১১ দাবি বাস্তবায়নে ছয় দিনের আলটিমেটাম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে গত শুক্রবার প্রাইভেট কার চাপায় এক নারীর মৃত্যুর ঘটনার জেরে নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভ সমাবেশ, মিছিল এবং উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে বহিরাগত ও যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবি জানিয়েছেন তারা। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রদল, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইশা ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনসহ শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছেন।
গতকাল বেলা ১১টায় টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি বাস্তবায়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ৬ দিনের আলটিমেটাম দেন তারা। এরপর একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো প্রদক্ষিণ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘ক্যাম্পাসে রক্ত ঝরে-প্রশাসন কী করে?’, ‘দাবি মোদের একটাই-নিরাপদ ক্যাম্পাস চাই’, ‘অনিয়মের ঠাই নাই-নিরাপদ ক্যাম্পাস চাই’, ‘বিবেককে প্রশ্ন করি, এবার যদি আমরা মরি’ ইত্যাদি স্লোগান গান দিতে দেখা যায়।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে দাঁড়িয়ে বহিরাগত যানবাহন এবং ভ্রাম্যমান দোকানগুলোকে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিতে দেখা যায়। মিছিলের আগে বিক্ষোভ সমাবেশে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আনিকা তাহসিনা শিক্ষার্থীদের পক্ষে ১১ দফা দাবি এক লিখিত বক্তব্যে তুলে ধরেন। সেগুলো হলো-
১. বিশ্ববিদ্যালয়ে সব যানবাহনের গতিসীমা নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ, শব্দ দূষণ প্রতিরোধে ব্যবস্থা ও শান্তির বিধান নিশ্চিত করা। ২. রুবিনা আক্তার হত্যাকা-ের বিচার নিশ্চিত করতে প্রশাসনের সর্বোচ্চ সমর্থন ও সহযোগিতা আদায় করা। ৩. ক্যাম্পাসে যানচলাচল নিয়ন্ত্রণের লক্ষে প্রধান প্রবেশদ্বারগুলোতে দ্রুত চেকপোস্ট বসানো ও গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা। ৪. বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শুধুমাত্র নিবন্ধিত রিক্সা চলাচল এবং রিকশাচালকদের জন্য ইউনিফর্ম ও ভাড়ার চার্ট প্রস্তুত করা। ৫. ভ্রাম্যমান দোকানের জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ ও প্রশাসন কর্তৃক যথাযথ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত করা এবং ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্ন রাখতে নূন্যতম ৩০০ ডাস্টবিন স্থাপনের ব্যবস্থা করা। ৬. প্রথম বর্ষ থেকে সব শিক্ষার্থীর আইডি কার্ড প্রদান করা এবং ক্যাম্পাসের কিছু স্থানে সংরক্ষিত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা। ৭. মাদকাসক্ত ও ভবঘুরে ব্যক্তিদের ক্যাম্পাস থেকে স্থায়ী উচ্ছেদ করা। ৮. সম্পূর্ণ ক্যাম্পাসকে সিসিটিভির আওতায় আনা এবং ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করা। ৯. প্রক্টর অফিসে জমে থাকা সব অভিযোগ নিষ্পত্তি করা। ১০. নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করার লক্ষে প্রক্টোরিয়াল অফিসের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। ১১. নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিগুলো বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা।
আনিকা তাহসিনা বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শতবর্ষ পার করেছে, সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে যুক্ত হয়েছে শত শত সমস্যাও। এই সমস্যাগুলোর সংমিশ্রণে আজ ক্যাম্পাসে আমাদের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জীবনের শঙ্কাও তৈরি হয়েছে। প্রতিনিয়ত নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ভুগছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আমাদের এই শিক্ষাঙ্গণ নিরাপদ করার লক্ষ্যে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ১১ দফা দাবি উপস্থাপন করলাম।’
এর আগে গতকাল অনতিবিলম্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনিয়ন্ত্রিত যানবাহনের নিয়ন্ত্রণ এবং অভ্যন্তরীণ যানবাহনের ক্ষেত্রে চলনসীমা নিয়ন্ত্রণ করাসহ তিন দফা দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
১১ দাবি বাস্তবায়নে ছয় দিনের আলটিমেটাম
সোমবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২২
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে গত শুক্রবার প্রাইভেট কার চাপায় এক নারীর মৃত্যুর ঘটনার জেরে নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভ সমাবেশ, মিছিল এবং উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে বহিরাগত ও যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবি জানিয়েছেন তারা। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রদল, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইশা ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনসহ শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছেন।
গতকাল বেলা ১১টায় টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি বাস্তবায়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ৬ দিনের আলটিমেটাম দেন তারা। এরপর একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো প্রদক্ষিণ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘ক্যাম্পাসে রক্ত ঝরে-প্রশাসন কী করে?’, ‘দাবি মোদের একটাই-নিরাপদ ক্যাম্পাস চাই’, ‘অনিয়মের ঠাই নাই-নিরাপদ ক্যাম্পাস চাই’, ‘বিবেককে প্রশ্ন করি, এবার যদি আমরা মরি’ ইত্যাদি স্লোগান গান দিতে দেখা যায়।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে দাঁড়িয়ে বহিরাগত যানবাহন এবং ভ্রাম্যমান দোকানগুলোকে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিতে দেখা যায়। মিছিলের আগে বিক্ষোভ সমাবেশে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আনিকা তাহসিনা শিক্ষার্থীদের পক্ষে ১১ দফা দাবি এক লিখিত বক্তব্যে তুলে ধরেন। সেগুলো হলো-
১. বিশ্ববিদ্যালয়ে সব যানবাহনের গতিসীমা নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ, শব্দ দূষণ প্রতিরোধে ব্যবস্থা ও শান্তির বিধান নিশ্চিত করা। ২. রুবিনা আক্তার হত্যাকা-ের বিচার নিশ্চিত করতে প্রশাসনের সর্বোচ্চ সমর্থন ও সহযোগিতা আদায় করা। ৩. ক্যাম্পাসে যানচলাচল নিয়ন্ত্রণের লক্ষে প্রধান প্রবেশদ্বারগুলোতে দ্রুত চেকপোস্ট বসানো ও গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা। ৪. বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শুধুমাত্র নিবন্ধিত রিক্সা চলাচল এবং রিকশাচালকদের জন্য ইউনিফর্ম ও ভাড়ার চার্ট প্রস্তুত করা। ৫. ভ্রাম্যমান দোকানের জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ ও প্রশাসন কর্তৃক যথাযথ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত করা এবং ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্ন রাখতে নূন্যতম ৩০০ ডাস্টবিন স্থাপনের ব্যবস্থা করা। ৬. প্রথম বর্ষ থেকে সব শিক্ষার্থীর আইডি কার্ড প্রদান করা এবং ক্যাম্পাসের কিছু স্থানে সংরক্ষিত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা। ৭. মাদকাসক্ত ও ভবঘুরে ব্যক্তিদের ক্যাম্পাস থেকে স্থায়ী উচ্ছেদ করা। ৮. সম্পূর্ণ ক্যাম্পাসকে সিসিটিভির আওতায় আনা এবং ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করা। ৯. প্রক্টর অফিসে জমে থাকা সব অভিযোগ নিষ্পত্তি করা। ১০. নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করার লক্ষে প্রক্টোরিয়াল অফিসের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। ১১. নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিগুলো বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা।
আনিকা তাহসিনা বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শতবর্ষ পার করেছে, সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে যুক্ত হয়েছে শত শত সমস্যাও। এই সমস্যাগুলোর সংমিশ্রণে আজ ক্যাম্পাসে আমাদের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জীবনের শঙ্কাও তৈরি হয়েছে। প্রতিনিয়ত নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ভুগছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আমাদের এই শিক্ষাঙ্গণ নিরাপদ করার লক্ষ্যে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ১১ দফা দাবি উপস্থাপন করলাম।’
এর আগে গতকাল অনতিবিলম্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনিয়ন্ত্রিত যানবাহনের নিয়ন্ত্রণ এবং অভ্যন্তরীণ যানবাহনের ক্ষেত্রে চলনসীমা নিয়ন্ত্রণ করাসহ তিন দফা দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।