রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে প্রথমবারের মতো পিঠা উৎসব। বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, জেলা ছাত্রকল্যান সমিতি সহ তিন আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন এ পিঠা উৎসবে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক মাঠে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা। পিঠা উৎসবে হরেক রকম পিঠার পসরা সাজিয়ে হাজির হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। দিনব্যাপী উৎসবে ভিন্নধর্মী ও বাহারি পিঠাপুলি ও মুখরোচক খাবারের সমাহার নিয়ে হাজির হওয়া স্টলগুলোতে দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
বাংলার গ্রামীণ জনপদে অনন্য আমেজের নাম পিঠা। বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। সুস্বাদু-মুখরোচক পিঠা মানেই গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। শীত এলেই ঘরে ঘরে শুরু হয় পিঠা উৎসব।আধুনিক নগর সংস্কৃতির প্রভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী রকমারি পিঠা। তাই বাঙালির ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচিত করতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারকের সামনেই জমে উঠেছে পিঠা উৎসব। উৎসবে বিভিন্ন রকম পিঠার সমাহার নিয়ে বসেছে ২৯টি স্টল। বাহারি নামের পিঠাগুলো খেতে শিক্ষার্থী ও ক্রেতাদের ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মতো। পিঠাগুলোর মধ্যে রয়েছে, ভাপা, হ্দয় হরণ, মেমো, কটকটি, চকলেট, গাজরের লাড্ডু, কানাইপুর, বৌ, বরফি, দুধ চিতই, মিস্টি, কামরাঙ্গা, কুশলি, চালের কলা পাতা, ডিম সুন্দরী, ঋিনুক,ম্যাজিক, পুলি, মুগ পাকাল, নক্ষত্র গুড়-গুড়ি,পাকন, নোনতা, দুধ গোকুল, আতিক্কা, আপেল সন্দেশ, শাহি টুকরা, ডিম সুন্দরী, ফিরনী, বৃত্তীয়, মাসরুম, সিজি,পুরভরা, ঝিলমিল, মতিচূর, ফিরিজ পিঠা, সিরিজ, লবঙ্গ লতিকা, শঙ্ক চুশি, গোলাপ জামন, রসায়ন রঙ্গিলা প্যান কেক, নুসাস, নকশি, নসাপটা, বিস্কুট, ফুসকা, চিকেন পুলি, সেমাই, ঝাল পুলি, নোনাস, পানতোয়া, গোলাপ কিমা, জামাই পিঠা, বিন্নী চালের পিঠা, ডিম পিঠা, চিকেন পুলি, গুড়ের সন্দেশ, চকলেট পিঠা, কুলশি পিঠা, মিষ্টি পোয়া।বিভিন্ন দামে বিক্রি করছেন এসব পিঠা। ১০ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামে এসব বাহারি রকমের পিঠা পাওয়া যাচ্ছে স্টলগুলোতে।পিঠা উৎসবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মকর্তা আর শিক্ষার্থী ছাড়া রংপুর মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকেও বিপুল সংখ্যক নারী পুর ুষ সহ সাধারন মানুষ অংশ নেয়। বেরোবি শীতকালীন পিঠা উৎসব আয়োজন কমিটির আহবায়ক উমর ফারুকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য বলেন, পিঠাপুলি আমাদের গ্রাম বাংলার হাজার বছরের ঐতিহ্য। আধুনিক যান্ত্রিক যুগে এসে পিঠার ঐতিহ্য ক্রমশ ম্লান হয়ে আসছে। পিঠা উৎসবের মতো দেশীয় সংস্কৃতি চর্চায় অংশ গ্রহণের মাধ্যমে অতীত ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি সংস্কৃতি চর্চা করার আহবান জানান। পিঠার স্বাদ উপভোগের পাশাপাশি দর্শনার্থীদের জন্য সাংস্কৃতিক পরিবেশনার আয়োজনও করা হয়।
মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে প্রথমবারের মতো পিঠা উৎসব। বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, জেলা ছাত্রকল্যান সমিতি সহ তিন আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন এ পিঠা উৎসবে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক মাঠে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা। পিঠা উৎসবে হরেক রকম পিঠার পসরা সাজিয়ে হাজির হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। দিনব্যাপী উৎসবে ভিন্নধর্মী ও বাহারি পিঠাপুলি ও মুখরোচক খাবারের সমাহার নিয়ে হাজির হওয়া স্টলগুলোতে দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
বাংলার গ্রামীণ জনপদে অনন্য আমেজের নাম পিঠা। বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। সুস্বাদু-মুখরোচক পিঠা মানেই গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। শীত এলেই ঘরে ঘরে শুরু হয় পিঠা উৎসব।আধুনিক নগর সংস্কৃতির প্রভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী রকমারি পিঠা। তাই বাঙালির ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচিত করতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারকের সামনেই জমে উঠেছে পিঠা উৎসব। উৎসবে বিভিন্ন রকম পিঠার সমাহার নিয়ে বসেছে ২৯টি স্টল। বাহারি নামের পিঠাগুলো খেতে শিক্ষার্থী ও ক্রেতাদের ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মতো। পিঠাগুলোর মধ্যে রয়েছে, ভাপা, হ্দয় হরণ, মেমো, কটকটি, চকলেট, গাজরের লাড্ডু, কানাইপুর, বৌ, বরফি, দুধ চিতই, মিস্টি, কামরাঙ্গা, কুশলি, চালের কলা পাতা, ডিম সুন্দরী, ঋিনুক,ম্যাজিক, পুলি, মুগ পাকাল, নক্ষত্র গুড়-গুড়ি,পাকন, নোনতা, দুধ গোকুল, আতিক্কা, আপেল সন্দেশ, শাহি টুকরা, ডিম সুন্দরী, ফিরনী, বৃত্তীয়, মাসরুম, সিজি,পুরভরা, ঝিলমিল, মতিচূর, ফিরিজ পিঠা, সিরিজ, লবঙ্গ লতিকা, শঙ্ক চুশি, গোলাপ জামন, রসায়ন রঙ্গিলা প্যান কেক, নুসাস, নকশি, নসাপটা, বিস্কুট, ফুসকা, চিকেন পুলি, সেমাই, ঝাল পুলি, নোনাস, পানতোয়া, গোলাপ কিমা, জামাই পিঠা, বিন্নী চালের পিঠা, ডিম পিঠা, চিকেন পুলি, গুড়ের সন্দেশ, চকলেট পিঠা, কুলশি পিঠা, মিষ্টি পোয়া।বিভিন্ন দামে বিক্রি করছেন এসব পিঠা। ১০ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামে এসব বাহারি রকমের পিঠা পাওয়া যাচ্ছে স্টলগুলোতে।পিঠা উৎসবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মকর্তা আর শিক্ষার্থী ছাড়া রংপুর মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকেও বিপুল সংখ্যক নারী পুর ুষ সহ সাধারন মানুষ অংশ নেয়। বেরোবি শীতকালীন পিঠা উৎসব আয়োজন কমিটির আহবায়ক উমর ফারুকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য বলেন, পিঠাপুলি আমাদের গ্রাম বাংলার হাজার বছরের ঐতিহ্য। আধুনিক যান্ত্রিক যুগে এসে পিঠার ঐতিহ্য ক্রমশ ম্লান হয়ে আসছে। পিঠা উৎসবের মতো দেশীয় সংস্কৃতি চর্চায় অংশ গ্রহণের মাধ্যমে অতীত ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি সংস্কৃতি চর্চা করার আহবান জানান। পিঠার স্বাদ উপভোগের পাশাপাশি দর্শনার্থীদের জন্য সাংস্কৃতিক পরিবেশনার আয়োজনও করা হয়।