ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে প্রকাশ পায় ৫ জন ছাত্রীর নাম। গত সোমবার দুইজন ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়ে তিনটি তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হয়। তবে বুধবার উক্ত দুইজন সহ ৫ অভিযুক্ত ছাত্রীই তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে তারা অত্যন্ত গোপনে ক্যাম্পাসে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন ভবনে সাক্ষাৎকার শেষ করে চলে যান। এসময় তাদের নিরাপত্তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি উপস্থিত ছিলো।
জানা যায়, বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টায় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে অভিযুক্তরা। এর মধ্যে ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী একাডেমিক পরীক্ষায় অংশ নেন। পরীক্ষা শেষে সেও বাকি চার অভিযুক্ত তাবাসসুম, উর্মি, মিম ও মুয়াবিয়ার সাথে তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হন।
বিকাল চারটায় তদন্ত কমিটির সাক্ষাৎকার শেষে তারা ৫ জন ছাত্রী বের হয়ে যান। এসময় তাদের নিকট সাক্ষাৎকারের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলেও তারা মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তারা জানান, আমাদের যা বলার তদন্ত কমিটির নিকট বলেছি। এখন আর কিছু বলার নেই।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল কোনো মন্তব্য না করেই সাক্ষাৎকার শেষে বেরিয়ে যান।
তবে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রক্টর আমজাদ হোসেন জানান, ঘটনায় যে ৫ জন ছাত্রীর নাম এসেছিলো আমি তাদের কি নিয়ে তদন্ত কমিটির নিকট এসেছিলাম। এখন তাদের পৌছে দিবো।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি দুই দফায় ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এক ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তাবাসসুমসহ আরও ৭-৮ জন জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ করন ভুক্তভোগী ছাত্রী। ঘটনা তদন্তে হল প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এছাড়া এ ঘটনায় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন বুধবার হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী গাজী মো. মহসীন ও আজগর হোসেন তুহিন। তখন তাদের লিখিত আবেদন দিতে বলেন আদালত। সে অনুসারে তারা জনস্বার্থে রিট করেন।
গত বৃহস্পতিবার রিটের শুনানি শেষে একজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও একজন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তার সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এছাড়া অভিযুক্তদের ক্যাম্পাসের বাইরে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরই মাঝে গত শনিবার ও সোমবার ভুক্তভোগী এবং অভিযুক্তদের তদন্ত সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে প্রকাশ পায় ৫ জন ছাত্রীর নাম। গত সোমবার দুইজন ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়ে তিনটি তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হয়। তবে বুধবার উক্ত দুইজন সহ ৫ অভিযুক্ত ছাত্রীই তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে তারা অত্যন্ত গোপনে ক্যাম্পাসে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন ভবনে সাক্ষাৎকার শেষ করে চলে যান। এসময় তাদের নিরাপত্তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি উপস্থিত ছিলো।
জানা যায়, বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টায় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে অভিযুক্তরা। এর মধ্যে ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী একাডেমিক পরীক্ষায় অংশ নেন। পরীক্ষা শেষে সেও বাকি চার অভিযুক্ত তাবাসসুম, উর্মি, মিম ও মুয়াবিয়ার সাথে তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হন।
বিকাল চারটায় তদন্ত কমিটির সাক্ষাৎকার শেষে তারা ৫ জন ছাত্রী বের হয়ে যান। এসময় তাদের নিকট সাক্ষাৎকারের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলেও তারা মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তারা জানান, আমাদের যা বলার তদন্ত কমিটির নিকট বলেছি। এখন আর কিছু বলার নেই।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল কোনো মন্তব্য না করেই সাক্ষাৎকার শেষে বেরিয়ে যান।
তবে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রক্টর আমজাদ হোসেন জানান, ঘটনায় যে ৫ জন ছাত্রীর নাম এসেছিলো আমি তাদের কি নিয়ে তদন্ত কমিটির নিকট এসেছিলাম। এখন তাদের পৌছে দিবো।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি দুই দফায় ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এক ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তাবাসসুমসহ আরও ৭-৮ জন জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ করন ভুক্তভোগী ছাত্রী। ঘটনা তদন্তে হল প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এছাড়া এ ঘটনায় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন বুধবার হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী গাজী মো. মহসীন ও আজগর হোসেন তুহিন। তখন তাদের লিখিত আবেদন দিতে বলেন আদালত। সে অনুসারে তারা জনস্বার্থে রিট করেন।
গত বৃহস্পতিবার রিটের শুনানি শেষে একজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও একজন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তার সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এছাড়া অভিযুক্তদের ক্যাম্পাসের বাইরে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরই মাঝে গত শনিবার ও সোমবার ভুক্তভোগী এবং অভিযুক্তদের তদন্ত সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়।