রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষে স্থানীয় বিনোদপুর বাজার রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীরা অন্তত ২৫-৩০টি দোকানে অগ্নিসংযোগ করে। ভাঙচুর করা হয় গণমাধ্যমকর্মীর ক্যামেরা।
আজ শনিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর বাজারে ঘটনার সূত্রপাত। কয়েকটি সূত্র বলছে, বাসর ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটি থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়।
গুরুতর আহতদের বাসে করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। বাকিদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম ও হুমায়ুন কবির বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে ছুটে আসেন।
সহ-উপাচার্য সুলতান উল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের অন্তত দুই শ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সে কাভার করা যাচ্ছে না। আমরা তাঁদের বাস দিয়ে রামেকে (রাজশাহী মেডিকেল কলেজ) পাঠাচ্ছি।’
আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইমাম উল হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি রায়হান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মীর কাদির, অপি করিম, দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ। প্রাথমিকভাবে বাকিদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
শিক্ষার্থী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের এক শিক্ষার্থী শনিবার বিকালে সৈয়দপুর থেকে ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন। এ সময় বাসের ভাড়া নিয়ে তার সঙ্গে বাসের চালক-হেলপার খারাপ আচরণ করেন। বিনোদপুর গেটে এলে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে আবারও বাগবিতণ্ডায় জড়ান চালক-হেলপার।
খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে এর প্রতিবাদ জানান। সেইসঙ্গে চালক-হেলপারকে মারধর করেন তারা। এ নিয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তি এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ালে উভয়পক্ষের সংষর্ষ শুরু হয়। পরে স্থানীয়রা ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করেন। সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের একাংশ মেডিক্যাল সেন্টারের সামনে অবস্থান নেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও তার অনুসারীরা। পরে স্থানীয়দের বাধার মুখে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান তারা। এ সময় তাদের চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে স্থানীয়রা। মোটরসাইকেল নিতে গেলে খালিদ নামে এক শিক্ষার্থীকেও মারধর করা হয়।
ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, বিনোদপুর গেটে পুলিশ ফাঁড়ি থাকলেও ঘটনার সময় পুলিশকে দেখা যায়নি। এছাড়া প্রক্টরিয়াল বডির কাউকে ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি।
শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষে স্থানীয় বিনোদপুর বাজার রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীরা অন্তত ২৫-৩০টি দোকানে অগ্নিসংযোগ করে। ভাঙচুর করা হয় গণমাধ্যমকর্মীর ক্যামেরা।
আজ শনিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর বাজারে ঘটনার সূত্রপাত। কয়েকটি সূত্র বলছে, বাসর ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটি থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়।
গুরুতর আহতদের বাসে করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। বাকিদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম ও হুমায়ুন কবির বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে ছুটে আসেন।
সহ-উপাচার্য সুলতান উল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের অন্তত দুই শ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সে কাভার করা যাচ্ছে না। আমরা তাঁদের বাস দিয়ে রামেকে (রাজশাহী মেডিকেল কলেজ) পাঠাচ্ছি।’
আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইমাম উল হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি রায়হান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মীর কাদির, অপি করিম, দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ। প্রাথমিকভাবে বাকিদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
শিক্ষার্থী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের এক শিক্ষার্থী শনিবার বিকালে সৈয়দপুর থেকে ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন। এ সময় বাসের ভাড়া নিয়ে তার সঙ্গে বাসের চালক-হেলপার খারাপ আচরণ করেন। বিনোদপুর গেটে এলে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে আবারও বাগবিতণ্ডায় জড়ান চালক-হেলপার।
খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে এর প্রতিবাদ জানান। সেইসঙ্গে চালক-হেলপারকে মারধর করেন তারা। এ নিয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তি এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ালে উভয়পক্ষের সংষর্ষ শুরু হয়। পরে স্থানীয়রা ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করেন। সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের একাংশ মেডিক্যাল সেন্টারের সামনে অবস্থান নেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও তার অনুসারীরা। পরে স্থানীয়দের বাধার মুখে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান তারা। এ সময় তাদের চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে স্থানীয়রা। মোটরসাইকেল নিতে গেলে খালিদ নামে এক শিক্ষার্থীকেও মারধর করা হয়।
ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, বিনোদপুর গেটে পুলিশ ফাঁড়ি থাকলেও ঘটনার সময় পুলিশকে দেখা যায়নি। এছাড়া প্রক্টরিয়াল বডির কাউকে ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি।