ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও জেনোসাইড স্টাডিজ সেন্টারের পরিচালক ইমতিয়াজ আহমেদ তার লেখা বই (শিরোনাম: হিস্টোরিসাইজিং ১৯৭১ জেনোসাইড স্টেট ভার্সেস পারসন)-এ ইতিহাস ‘বিকৃতি’র অভিযোগ উঠেছে যা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। বিচারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।
এবার অধ্যাপক ইমতিয়াজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ভোটে নির্বাচিত সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। শুক্রবার (৭ এপ্রিল ) সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ তার বইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চ ভাষণ শেষে ‘জয় বাংলা’র সাথে ‘জয় পাকিস্তান’ বলেছেন বলে দাবী করেছেন (পৃ. ৪০), একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে অযথা বিতর্কের অবতারণা করেছেন (পৃ. ১৫ ও ১৬) ও ১৯৭১-এর গণহত্যার বিচার না হওয়ার পিছনে বিভিন্নভাবে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সরকারকে দায়ী করেছেন (পৃ. ১২, ১৩) এবং একাত্তরের গণহত্যার বিচারের ক্ষেত্রে ঐ সময়ে ‘বাঙালীদের দ্বারা বিহারীদের হত্যার’ বিচার করা উচিত বলে দাবী করেছেন (পৃ. ৪১, ৪২)।’
এতে আরও বলা হয়, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ যেটি তিনি সমাপ্ত করেছিলেন ‘জয় বাংলা’ বলে সেই ভাষণটি ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল হিসেবে স্বীকৃত। সুতরাং জোনোসাইড স্টাডিজ সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ যে ‘জয় পাকিস্তান’ শ্লোগানের তথ্য বলছেন তা একদিকে যেমন ইতিহাস বিকৃতির অকাট্য প্রমাণ ঠিক একইভাবে আন্তর্জাতিক পরিসরে স্বীকৃত ‘জয় বাংলা’ সম্বলিত বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণটিকে চ্যালেঞ্জ করণের অপচেষ্টা।’
‘এদেশে একমাত্র ৭১-এর পরাজিত শক্তিই উপরোক্ত নিষ্পত্তিকৃত বিষয়সমূহ নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিতর্কিত করা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করার অপচেষ্টা করে। অধ্যাপক ইমতিয়াজ তার গ্রন্থে একই অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়ে ৭১-এর পরাজিত শক্তির দোসর হিসেবে কাজ করেছেন।’
বিবৃতিতে বলা হয়,‘ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি তার এই ন্যাকারজনক ইতিহাস বিকৃতির তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে ও তার এই গ্রন্থটি গুণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে। শিক্ষক সমিতি মনে করে, উপরোক্ত বিষয়গুলো ইতোমধ্যে রাষ্ট্রীয় ও একাডেমিকভাবে সুরাহা হয়েছে। এগুলো নিয়ে অবস্থা বিতর্ক তৈরির সুযোগ নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি তাকে অনতিবিলম্বে জেনোসাইড স্টাডিজ সেন্টারের পরিচালকের পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান ও তার গ্রন্থে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির তদন্তের জন্য সিন্ডিকেট কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের ইতিহাস বিষয়ে পণ্ডিত শিক্ষকদের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি প্রণয়নের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছে।’
বিবৃতিতে অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদের বইয়ের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও সরকারের কাছেও দাবি জানানো হয়।
শুক্রবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৩
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও জেনোসাইড স্টাডিজ সেন্টারের পরিচালক ইমতিয়াজ আহমেদ তার লেখা বই (শিরোনাম: হিস্টোরিসাইজিং ১৯৭১ জেনোসাইড স্টেট ভার্সেস পারসন)-এ ইতিহাস ‘বিকৃতি’র অভিযোগ উঠেছে যা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। বিচারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।
এবার অধ্যাপক ইমতিয়াজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ভোটে নির্বাচিত সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। শুক্রবার (৭ এপ্রিল ) সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ তার বইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চ ভাষণ শেষে ‘জয় বাংলা’র সাথে ‘জয় পাকিস্তান’ বলেছেন বলে দাবী করেছেন (পৃ. ৪০), একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে অযথা বিতর্কের অবতারণা করেছেন (পৃ. ১৫ ও ১৬) ও ১৯৭১-এর গণহত্যার বিচার না হওয়ার পিছনে বিভিন্নভাবে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সরকারকে দায়ী করেছেন (পৃ. ১২, ১৩) এবং একাত্তরের গণহত্যার বিচারের ক্ষেত্রে ঐ সময়ে ‘বাঙালীদের দ্বারা বিহারীদের হত্যার’ বিচার করা উচিত বলে দাবী করেছেন (পৃ. ৪১, ৪২)।’
এতে আরও বলা হয়, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ যেটি তিনি সমাপ্ত করেছিলেন ‘জয় বাংলা’ বলে সেই ভাষণটি ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল হিসেবে স্বীকৃত। সুতরাং জোনোসাইড স্টাডিজ সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ যে ‘জয় পাকিস্তান’ শ্লোগানের তথ্য বলছেন তা একদিকে যেমন ইতিহাস বিকৃতির অকাট্য প্রমাণ ঠিক একইভাবে আন্তর্জাতিক পরিসরে স্বীকৃত ‘জয় বাংলা’ সম্বলিত বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণটিকে চ্যালেঞ্জ করণের অপচেষ্টা।’
‘এদেশে একমাত্র ৭১-এর পরাজিত শক্তিই উপরোক্ত নিষ্পত্তিকৃত বিষয়সমূহ নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিতর্কিত করা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করার অপচেষ্টা করে। অধ্যাপক ইমতিয়াজ তার গ্রন্থে একই অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়ে ৭১-এর পরাজিত শক্তির দোসর হিসেবে কাজ করেছেন।’
বিবৃতিতে বলা হয়,‘ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি তার এই ন্যাকারজনক ইতিহাস বিকৃতির তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে ও তার এই গ্রন্থটি গুণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে। শিক্ষক সমিতি মনে করে, উপরোক্ত বিষয়গুলো ইতোমধ্যে রাষ্ট্রীয় ও একাডেমিকভাবে সুরাহা হয়েছে। এগুলো নিয়ে অবস্থা বিতর্ক তৈরির সুযোগ নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি তাকে অনতিবিলম্বে জেনোসাইড স্টাডিজ সেন্টারের পরিচালকের পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান ও তার গ্রন্থে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির তদন্তের জন্য সিন্ডিকেট কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের ইতিহাস বিষয়ে পণ্ডিত শিক্ষকদের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি প্রণয়নের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছে।’
বিবৃতিতে অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদের বইয়ের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও সরকারের কাছেও দাবি জানানো হয়।