ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালকের পদ থেকে অব্যাহতির পর অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদকে একাডেমিক কার্যক্রম থেকেও অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তকে ফ্যাসিবাদি কায়দায় ভিন্নমত দমনের উদাহরণ বলে মন্তব্য করে এ অধ্যাপকের শাস্তি বাতিলের দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।
বুধবার (৩ মে) সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদেকুল ইসলাম সাদিক ও সাধারণ সম্পাদক আরাফাত সাদ এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়ে নেতারা বিবৃতিতে বলেন, বর্তমানে আমরা এমন একটা সময়ে বাস করছি যেখানে কর্তৃত্ববাদী মতের বাইরে গিয়ে কোনো কিছু বলা ও লেখা যায় না। অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদের বিষয়টি এর আর একটি প্রমাণ। তিনি তাঁর বইয়ে 'Historicizing 1971 Genocide: State versus Person' এমন কিছু কথা লিখেছেন যা কর্তৃত্ববাদীদের পছন্দ হয়নি। আর সেই কারণে তাকে সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, যারা বাকস্বাধীনতার কথা বলতে বলতে মুখে ফেনা তোলে, তারাই আবার অধ্যাপক ইমতিয়াজের মতো ব্যক্তিদের বাকস্বাধীনতায় বাধার সৃষ্টি করে। যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এক সময় মানুষের স্বাধীনতা আদায়ে সোচ্ছার ছিলেন, সেই
বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু স্বার্থান্বেষী শিক্ষক এখন মানুষের স্বাধীনতা কেড়ে নিতে বেশ পটু। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ, গবেষণার জন্য প্রয়োজন যথাযথ পরিবেশ। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই ধরনের কর্তৃত্বপরায়ণ সিদ্ধান্ত শিক্ষকদের মধ্যে চাকরি হারানোর ভয় তৈরি করে, যা গবেষণার পরিবেশের পরিপন্থী।
শাস্তির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়ে ছাত্র ফ্রন্ট নেতারা বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, প্রতিটি মানুষের যেকোন বিষয়ে মতামত দেওয়ার অধিকার আছে। যদি কারো মতামত কেউ পছন্দ না করে বা কারো কথা অযৌক্তিক মনে হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে পাল্টা মতামত দিয়ে এর প্রতিবাদ করতে পারে। সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া সম্পূর্ণরূপে অগণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণীত এবং জনবিরোধী ও ফ্যাসিবাদি শাসন প্রতিষ্ঠার পরিপূরক।প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।
বৃহস্পতিবার, ০৪ মে ২০২৩
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালকের পদ থেকে অব্যাহতির পর অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদকে একাডেমিক কার্যক্রম থেকেও অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তকে ফ্যাসিবাদি কায়দায় ভিন্নমত দমনের উদাহরণ বলে মন্তব্য করে এ অধ্যাপকের শাস্তি বাতিলের দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।
বুধবার (৩ মে) সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদেকুল ইসলাম সাদিক ও সাধারণ সম্পাদক আরাফাত সাদ এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়ে নেতারা বিবৃতিতে বলেন, বর্তমানে আমরা এমন একটা সময়ে বাস করছি যেখানে কর্তৃত্ববাদী মতের বাইরে গিয়ে কোনো কিছু বলা ও লেখা যায় না। অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদের বিষয়টি এর আর একটি প্রমাণ। তিনি তাঁর বইয়ে 'Historicizing 1971 Genocide: State versus Person' এমন কিছু কথা লিখেছেন যা কর্তৃত্ববাদীদের পছন্দ হয়নি। আর সেই কারণে তাকে সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, যারা বাকস্বাধীনতার কথা বলতে বলতে মুখে ফেনা তোলে, তারাই আবার অধ্যাপক ইমতিয়াজের মতো ব্যক্তিদের বাকস্বাধীনতায় বাধার সৃষ্টি করে। যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এক সময় মানুষের স্বাধীনতা আদায়ে সোচ্ছার ছিলেন, সেই
বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু স্বার্থান্বেষী শিক্ষক এখন মানুষের স্বাধীনতা কেড়ে নিতে বেশ পটু। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ, গবেষণার জন্য প্রয়োজন যথাযথ পরিবেশ। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই ধরনের কর্তৃত্বপরায়ণ সিদ্ধান্ত শিক্ষকদের মধ্যে চাকরি হারানোর ভয় তৈরি করে, যা গবেষণার পরিবেশের পরিপন্থী।
শাস্তির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়ে ছাত্র ফ্রন্ট নেতারা বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, প্রতিটি মানুষের যেকোন বিষয়ে মতামত দেওয়ার অধিকার আছে। যদি কারো মতামত কেউ পছন্দ না করে বা কারো কথা অযৌক্তিক মনে হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে পাল্টা মতামত দিয়ে এর প্রতিবাদ করতে পারে। সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া সম্পূর্ণরূপে অগণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণীত এবং জনবিরোধী ও ফ্যাসিবাদি শাসন প্রতিষ্ঠার পরিপূরক।প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।