প্রতি বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সময় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। পরীক্ষার কেন্দ্রে দেরীতে পৌঁছানো, নির্ধারিত স্থান খুঁজে পাওয়ার বিড়ম্বনাসহ বিভিন্ন দুর্ভোগ পোহাতে হয় পরীক্ষার্থী ও সাথে আসা অভিভাবকদের। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে প্রতিবারের মত এবারো তথ্য সহায়তা, দিকনির্দেশনা ও সহযোগিতার মাধ্যমে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি লাঘবে সহায়ক হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।
শনিবার (১৩ মে) ব্যবসা শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, ক্যাম্পাসের কলাভবন, কার্জন হলসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় হেল্প ডেস্ক, শিক্ষার্থীদের ব্যবহৃত অথচ পরীক্ষাকেন্দ্রে নেওয়ার অনুপযোগী জিনিসপত্র রাখার ব্যবস্থা, জরুরি মেডিকেল সেবা, জয় বাংলা বাইক সার্ভিস, মাস্ক, কলম ও পানি সারবরাহ করেন তারা।
এ ছাড়া সন্তানদের পরীক্ষার কেন্দ্রে ঢুকিয়ে দিয়ে বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকতে বা মাটিতে বসে থাকতে হতো অভিভাবককে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের জন্য বসার ব্যবস্থা ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করে সেই কষ্ট দূর করে দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।শিক্ষার্থী ও তাদের সঙ্গে আগত অভিভাবকের ব্যবহারের জন্য ভ্রাম্যমান টয়লেটের ব্যবস্থা এবং তাৎক্ষণিক চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্র গঠন করতে দেখা যায়।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের এমন সেবায় মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকরা। তারা বলছেন, ছাত্রলীগের ছেলে-মেয়েদের সেবায় তাদের হয়রানি এবং ভোগান্তি দুইটাই কমেছে। সকল ছাত্র সংগঠনের কাছে এমনটি প্রত্যাশা করেন তারা।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা তামান্না সুলতানা বলেন, ঢাকায় এর আগে আসা হয়নি। তাই পরীক্ষার কেন্দ্র চিনতে সমস্যা হচ্ছিল। পরে ছাত্রলীগের ডেস্ক দেখে সেখান থেকে সহায়তা নিয়েছি। ভাইয়ারা আমাকে কলম এবং পানি দিয়েছেন।
ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী নাঈমুল ইসলাম বলেন, আমি একা আসায় মোবাইল, ব্যাগ এবং মানিব্যাগ রাখা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ছিলাম। পরে যখন আমাদের অন্য বন্ধুরা ছাত্রলীগের ডেস্কে জমা রাখছিল তখন আমিও জমা রাখি। ছাত্রলীগকে এমন সুন্দর ব্যবস্থার জন্য ধন্যবাদ।
আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহানের মা আয়েশা খাতুন বলেন, এখানে এসে কোথায় বসে মেয়ের জন্য অপেক্ষা করব সেটা ভাবছিলাম। সুন্দর এ ব্যবস্থা দেখে ভালো লাগছে। এছাড়া মোবাইল টয়লেটেরও অবস্থা রয়েছে। ছাত্রলীগ এ আয়োজন করেছে বলে জেনেছি। তাদের ধন্যবাদ।
সার্বিক বিষয়ে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে প্রতিবারের ধারাবাহিকতায় এবারও আমরা ভর্তিচ্ছুদের নানা ধরনের সেবা দিয়েছি। ক্যাম্পাসে আমরা ১৮টি বুথ বসিয়েছি। এছাড়া আছে মেডিকেল টিম ও মোবাইল টয়লেটের ব্যবস্থা। সর্বোপরি ঢাবিতে ভর্তিচ্ছুক এবং তাদের অভিভাবকদের জন্য আমরা সুন্দর ব্যবস্থা রাখার চেষ্টা করছি।
শনিবার, ১৩ মে ২০২৩
প্রতি বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সময় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। পরীক্ষার কেন্দ্রে দেরীতে পৌঁছানো, নির্ধারিত স্থান খুঁজে পাওয়ার বিড়ম্বনাসহ বিভিন্ন দুর্ভোগ পোহাতে হয় পরীক্ষার্থী ও সাথে আসা অভিভাবকদের। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে প্রতিবারের মত এবারো তথ্য সহায়তা, দিকনির্দেশনা ও সহযোগিতার মাধ্যমে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি লাঘবে সহায়ক হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।
শনিবার (১৩ মে) ব্যবসা শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, ক্যাম্পাসের কলাভবন, কার্জন হলসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় হেল্প ডেস্ক, শিক্ষার্থীদের ব্যবহৃত অথচ পরীক্ষাকেন্দ্রে নেওয়ার অনুপযোগী জিনিসপত্র রাখার ব্যবস্থা, জরুরি মেডিকেল সেবা, জয় বাংলা বাইক সার্ভিস, মাস্ক, কলম ও পানি সারবরাহ করেন তারা।
এ ছাড়া সন্তানদের পরীক্ষার কেন্দ্রে ঢুকিয়ে দিয়ে বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকতে বা মাটিতে বসে থাকতে হতো অভিভাবককে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের জন্য বসার ব্যবস্থা ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করে সেই কষ্ট দূর করে দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।শিক্ষার্থী ও তাদের সঙ্গে আগত অভিভাবকের ব্যবহারের জন্য ভ্রাম্যমান টয়লেটের ব্যবস্থা এবং তাৎক্ষণিক চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্র গঠন করতে দেখা যায়।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের এমন সেবায় মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকরা। তারা বলছেন, ছাত্রলীগের ছেলে-মেয়েদের সেবায় তাদের হয়রানি এবং ভোগান্তি দুইটাই কমেছে। সকল ছাত্র সংগঠনের কাছে এমনটি প্রত্যাশা করেন তারা।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা তামান্না সুলতানা বলেন, ঢাকায় এর আগে আসা হয়নি। তাই পরীক্ষার কেন্দ্র চিনতে সমস্যা হচ্ছিল। পরে ছাত্রলীগের ডেস্ক দেখে সেখান থেকে সহায়তা নিয়েছি। ভাইয়ারা আমাকে কলম এবং পানি দিয়েছেন।
ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী নাঈমুল ইসলাম বলেন, আমি একা আসায় মোবাইল, ব্যাগ এবং মানিব্যাগ রাখা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ছিলাম। পরে যখন আমাদের অন্য বন্ধুরা ছাত্রলীগের ডেস্কে জমা রাখছিল তখন আমিও জমা রাখি। ছাত্রলীগকে এমন সুন্দর ব্যবস্থার জন্য ধন্যবাদ।
আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহানের মা আয়েশা খাতুন বলেন, এখানে এসে কোথায় বসে মেয়ের জন্য অপেক্ষা করব সেটা ভাবছিলাম। সুন্দর এ ব্যবস্থা দেখে ভালো লাগছে। এছাড়া মোবাইল টয়লেটেরও অবস্থা রয়েছে। ছাত্রলীগ এ আয়োজন করেছে বলে জেনেছি। তাদের ধন্যবাদ।
সার্বিক বিষয়ে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে প্রতিবারের ধারাবাহিকতায় এবারও আমরা ভর্তিচ্ছুদের নানা ধরনের সেবা দিয়েছি। ক্যাম্পাসে আমরা ১৮টি বুথ বসিয়েছি। এছাড়া আছে মেডিকেল টিম ও মোবাইল টয়লেটের ব্যবস্থা। সর্বোপরি ঢাবিতে ভর্তিচ্ছুক এবং তাদের অভিভাবকদের জন্য আমরা সুন্দর ব্যবস্থা রাখার চেষ্টা করছি।