ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগের অন্ত নেই। ঘুমানোর জায়গার সংকট, রিডিং রুমে সিট সংকট, ক্যান্টিনে মানহীন খাবার, ছাড়পোকার উৎপাত, বর্জ্য ঠিকমতো অপসারণ না হওয়া -এরকম নানান সমস্যায় জর্জরিত দেশ সেরা এ বিদ্যাপিঠের আবাসিক হলগুলো।
তার উপর হলগুলোর প্রাধ্যক্ষ এবং আবাসিক শিক্ষকদের বিরুদ্ধেও শিক্ষার্থীদের বিস্তর অভিযোগ। প্রাধ্যক্ষরা তাদের দায়িত্ব ঠিকমত পালন করে না। আবাসিক শিক্ষকরা নিয়মিত হলে আসে না। শিক্ষার্থীদের খোঁজ-খবর রাখে না।
কিন্তু ভিন্ন চিত্রের দেখা মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদ্দিন হলে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হলসংলগ্ন মাঠের এক কোনায় সবসময় বর্জ্যের স্তূপ জমে থাকলেও এখন সেটি নেই। হলের ক্যান্টিনে মনোরম পরিবেশ। ক্যান্টিন বয়রা নির্দিষ্ট পোশাক পরিধান করে খাবার পরিবেশন করছেন। ফলে শিক্ষার্থীদের কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না। হলের সামনে অবস্থিত গার্ডেনও আগের চেয়ে গোছালো ও পরিপাটি।
শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এসবের পেছনের মূল কারিগর হলেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহিন খান। গত এপ্রিলের পাঁচ তারিখে তিনি ওই হলের প্রাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান। নিয়োগ পাওয়ার পরপরই তিনি শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় করে তাদের অভাব-অনুযোগ শুনেন। তারপর এক এক করে সমস্যা সমাধানে মনোযোগ দেন।
প্রথমেই, নিজস্ব তদারকির মাধ্যমে হলের ক্যান্টিন ও মেস সংস্কার করেন। শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য মেসের কার্যক্রমকে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় নিয়ে আসেন। হলের মূল ভবনের ভাঙ্গা দেয়াল, বারান্দা সংস্কার করেন। আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আতঙ্কের নাম হচ্ছে ছাঁড়পোকা। অধ্যাপক শাহীন বিশেষজ্ঞ এনে রাসায়নিক দ্রব্য ছিটিয়ে ছাড়পোকা দমানোর ব্যবস্থা করেন।
প্রাধ্যক্ষের এমন কর্মতৎপরতায় খুশি হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। নুরুল মুহাম্মদ সগীর নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পর এমন একজন অভিভাবকই খুঁজছিলাম। শুধু কবি জসীমউদ্দিন হল না, পুরো ঢাবির শিক্ষার্থীরা যেন এমন সেবা পায়। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা স্যারের প্রতি সন্তুষ্ট।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহিন খান সংবাদকে বলেন, হলের প্রাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন- এটি একটি পবিত্র দায়িত্ব। আমিও একসময় শিক্ষার্থী ছিলাম। একটি হলের হাউজ টিউটর ছিলাম। তাই স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষার্থীদের ভালো-মন্দ, চাহিদা-সমস্যা খুব কাছ থেকে দেখেছি এবং বুঝেছি। তাই প্রথমেই আমি হলের আবাসিক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি। সে অনুযায়ী কাজ করছি। এটি একটি টিম ওয়ার্ক। একদিনে সকল সমস্যার সমাধান করা যাবে না। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আশা করি শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা নিয়ে আমরা কবি জসীমউদ্দিন হলকে একটি ভালো জায়গায় নিয়ে যেতে পারবো।
বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগের অন্ত নেই। ঘুমানোর জায়গার সংকট, রিডিং রুমে সিট সংকট, ক্যান্টিনে মানহীন খাবার, ছাড়পোকার উৎপাত, বর্জ্য ঠিকমতো অপসারণ না হওয়া -এরকম নানান সমস্যায় জর্জরিত দেশ সেরা এ বিদ্যাপিঠের আবাসিক হলগুলো।
তার উপর হলগুলোর প্রাধ্যক্ষ এবং আবাসিক শিক্ষকদের বিরুদ্ধেও শিক্ষার্থীদের বিস্তর অভিযোগ। প্রাধ্যক্ষরা তাদের দায়িত্ব ঠিকমত পালন করে না। আবাসিক শিক্ষকরা নিয়মিত হলে আসে না। শিক্ষার্থীদের খোঁজ-খবর রাখে না।
কিন্তু ভিন্ন চিত্রের দেখা মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদ্দিন হলে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হলসংলগ্ন মাঠের এক কোনায় সবসময় বর্জ্যের স্তূপ জমে থাকলেও এখন সেটি নেই। হলের ক্যান্টিনে মনোরম পরিবেশ। ক্যান্টিন বয়রা নির্দিষ্ট পোশাক পরিধান করে খাবার পরিবেশন করছেন। ফলে শিক্ষার্থীদের কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না। হলের সামনে অবস্থিত গার্ডেনও আগের চেয়ে গোছালো ও পরিপাটি।
শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এসবের পেছনের মূল কারিগর হলেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহিন খান। গত এপ্রিলের পাঁচ তারিখে তিনি ওই হলের প্রাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান। নিয়োগ পাওয়ার পরপরই তিনি শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় করে তাদের অভাব-অনুযোগ শুনেন। তারপর এক এক করে সমস্যা সমাধানে মনোযোগ দেন।
প্রথমেই, নিজস্ব তদারকির মাধ্যমে হলের ক্যান্টিন ও মেস সংস্কার করেন। শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য মেসের কার্যক্রমকে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় নিয়ে আসেন। হলের মূল ভবনের ভাঙ্গা দেয়াল, বারান্দা সংস্কার করেন। আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আতঙ্কের নাম হচ্ছে ছাঁড়পোকা। অধ্যাপক শাহীন বিশেষজ্ঞ এনে রাসায়নিক দ্রব্য ছিটিয়ে ছাড়পোকা দমানোর ব্যবস্থা করেন।
প্রাধ্যক্ষের এমন কর্মতৎপরতায় খুশি হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। নুরুল মুহাম্মদ সগীর নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পর এমন একজন অভিভাবকই খুঁজছিলাম। শুধু কবি জসীমউদ্দিন হল না, পুরো ঢাবির শিক্ষার্থীরা যেন এমন সেবা পায়। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা স্যারের প্রতি সন্তুষ্ট।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহিন খান সংবাদকে বলেন, হলের প্রাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন- এটি একটি পবিত্র দায়িত্ব। আমিও একসময় শিক্ষার্থী ছিলাম। একটি হলের হাউজ টিউটর ছিলাম। তাই স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষার্থীদের ভালো-মন্দ, চাহিদা-সমস্যা খুব কাছ থেকে দেখেছি এবং বুঝেছি। তাই প্রথমেই আমি হলের আবাসিক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি। সে অনুযায়ী কাজ করছি। এটি একটি টিম ওয়ার্ক। একদিনে সকল সমস্যার সমাধান করা যাবে না। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আশা করি শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা নিয়ে আমরা কবি জসীমউদ্দিন হলকে একটি ভালো জায়গায় নিয়ে যেতে পারবো।