alt

ক্যাম্পাস

একজন প্রাধ্যক্ষের সাধারণ শিক্ষার্থীদের হৃদয় জয়ের গল্প

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি : বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগের অন্ত নেই। ঘুমানোর জায়গার সংকট, রিডিং রুমে সিট সংকট, ক্যান্টিনে মানহীন খাবার, ছাড়পোকার উৎপাত, বর্জ্য ঠিকমতো অপসারণ না হওয়া -এরকম নানান সমস্যায় জর্জরিত দেশ সেরা এ বিদ্যাপিঠের আবাসিক হলগুলো।

তার উপর হলগুলোর প্রাধ্যক্ষ এবং আবাসিক শিক্ষকদের বিরুদ্ধেও শিক্ষার্থীদের বিস্তর অভিযোগ। প্রাধ্যক্ষরা তাদের দায়িত্ব ঠিকমত পালন করে না। আবাসিক শিক্ষকরা নিয়মিত হলে আসে না। শিক্ষার্থীদের খোঁজ-খবর রাখে না।

কিন্তু ভিন্ন চিত্রের দেখা মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদ্দিন হলে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হলসংলগ্ন মাঠের এক কোনায় সবসময় বর্জ্যের স্তূপ জমে থাকলেও এখন সেটি নেই। হলের ক্যান্টিনে মনোরম পরিবেশ। ক্যান্টিন বয়রা নির্দিষ্ট পোশাক পরিধান করে খাবার পরিবেশন করছেন। ফলে শিক্ষার্থীদের কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না। হলের সামনে অবস্থিত গার্ডেনও আগের চেয়ে গোছালো ও পরিপাটি।

শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এসবের পেছনের মূল কারিগর হলেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহিন খান। গত এপ্রিলের পাঁচ তারিখে তিনি ওই হলের প্রাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান। নিয়োগ পাওয়ার পরপরই তিনি শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় করে তাদের অভাব-অনুযোগ শুনেন। তারপর এক এক করে সমস্যা সমাধানে মনোযোগ দেন।

প্রথমেই, নিজস্ব তদারকির মাধ্যমে হলের ক্যান্টিন ও মেস সংস্কার করেন। শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য মেসের কার্যক্রমকে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় নিয়ে আসেন। হলের মূল ভবনের ভাঙ্গা দেয়াল, বারান্দা সংস্কার করেন। আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আতঙ্কের নাম হচ্ছে ছাঁড়পোকা। অধ্যাপক শাহীন বিশেষজ্ঞ এনে রাসায়নিক দ্রব্য ছিটিয়ে ছাড়পোকা দমানোর ব্যবস্থা করেন।

প্রাধ্যক্ষের এমন কর্মতৎপরতায় খুশি হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। নুরুল মুহাম্মদ সগীর নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পর এমন একজন অভিভাবকই খুঁজছিলাম। শুধু কবি জসীমউদ্দিন হল না, পুরো ঢাবির শিক্ষার্থীরা যেন এমন সেবা পায়। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা স্যারের প্রতি সন্তুষ্ট।

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহিন খান সংবাদকে বলেন, হলের প্রাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন- এটি একটি পবিত্র দায়িত্ব। আমিও একসময় শিক্ষার্থী ছিলাম। একটি হলের হাউজ টিউটর ছিলাম। তাই স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষার্থীদের ভালো-মন্দ, চাহিদা-সমস্যা খুব কাছ থেকে দেখেছি এবং বুঝেছি। তাই প্রথমেই আমি হলের আবাসিক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি। সে অনুযায়ী কাজ করছি। এটি একটি টিম ওয়ার্ক। একদিনে সকল সমস্যার সমাধান করা যাবে না। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আশা করি শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা নিয়ে আমরা কবি জসীমউদ্দিন হলকে একটি ভালো জায়গায় নিয়ে যেতে পারবো।

ছবি

ঢাবিতে শিক্ষা অনুদান পেলেন ৫২ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী

ছবি

ঢাবিস্থ ‘ডুয়াড’ এর নেতৃত্বে স্বপন-রিপন

৭ মাসেও চিহ্নিত হয়নি ঝুঁকিপূর্ণ ৪ ভবন, আতঙ্কে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

ছবি

আট বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাবি সিনেটে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন

ছবি

আদিলুর-এলানের মুক্তি ও সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি

ছবি

মদ্যপ অবস্থায় উপাচার্যকে গালি, জাবি শিক্ষকের অডিও ফাঁস

ছবি

ঢাবির হলে প্রথম বর্ষ থেকে বৈধ সিটের দাবিতে মানববন্ধন

ছবি

শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে ‘দ্য ঢাকা ইউনিভার্সিটি ফান্ড’ গঠন

আবুল মনসুর আহমেদের সাংবাদিকতা সবসময়ই প্রাসঙ্গিক- সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

ছবি

জবি নতুন ক্যাম্পাস : হস্তান্তরের আগেই লেকের পাড় ভেঙ্গে পানিতে

ছবি

দীক্ষা নিলেন জবির রেঞ্জাররা

ছবি

জবিস্হ ফেনী জেলা ছাত্রকল্যাণের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন

ছবি

ঢাকা ডেন্টাল কলেজের ব্যতিক্রমী সংবর্ধনা

ছবি

ঢাবি ছাত্রলীগের সাথে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

জাবিতে শিক্ষার্থীকে কক্ষ ছাড়া করতে মারধরের অভিযোগ

ছবি

খাদিজার মুক্তির দাবিতে জবিতে ২ হাজার গণস্বাক্ষর

ছবি

এডিসি হারুনের বিচারের দাবিতে ঢাবিতে মানববন্ধন

ছবি

ছাত্রলীগের ২ নেতাকে পেটানোয় ঢাবি ছাত্রদলের উদ্বেগ

ছবি

ইসলামী চিন্তাধারা ও সংস্কৃতির বিকাশে গভীর প্রভাব ফেলেছে সুফিজম: শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি

ছবি

৮ লাখ টাকার শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করল জাবি বিসিএস অফিসার্স ফোরাম

ছবি

অভ্যন্তরীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ ও সংস্কারকৃত কাজের উদ্বোধন

ছবি

ঢাবিতে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে রিকশাচালকের মৃত্যু

বাস ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে জাবির দুই শিক্ষার্থী নিহত

ছবি

ঢাবিতে পর্দা উঠলো তিনদিনব্যাপী পল্লীকবি আন্ত:ক্লাব বিতর্ক উৎসবের

ছবি

জবিস্থ ফেনী জেলা ছাত্রকল্যাণের সভাপতি স্বর্ণা, সম্পাদক ফাইয়াজ

ছবি

প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে জাবির দুই কর্মচারী বরখাস্ত

ছবি

বিয়ের প্রলোভনে ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক, জবি শিক্ষককে অব্যাহতি

ছবি

জাবি শিক্ষার্থীর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা

ছবি

জীবনের প্রথম ভোট দেয়া থেকে সরকার বঞ্চিত করেছে, এবার সে সুযোগ দেব না

বিশ্বনেতাদের খোলা চিঠি স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপের শামিল- ঢাবি শিক্ষক সমিতি

ছবি

শিক্ষার্থীবান্ধব বিশ্ববিদ্যালয় গঠনে সর্বদা তৎপর প্রশাসন

ছবি

জবি অধ্যাপককে প্রকাশ্যে দেখে নেওয়ার হুমকি ছাত্রলীগ নেতার

ছবি

ফাও খেতে না পারায় ছাত্রলীগ নেতার তুলকালাম, বন্ধ বেরোবির ক্যাফেটেরিয়া

ছবি

ব্যাটেল অব মাইন্ডস ২০২৩ এ চ্যাম্পিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ

নীতিমালাতেই আটকা জবির ‘ডীনস অ্যাওয়ার্ড

ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে খাদিজার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ

tab

ক্যাম্পাস

একজন প্রাধ্যক্ষের সাধারণ শিক্ষার্থীদের হৃদয় জয়ের গল্প

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগের অন্ত নেই। ঘুমানোর জায়গার সংকট, রিডিং রুমে সিট সংকট, ক্যান্টিনে মানহীন খাবার, ছাড়পোকার উৎপাত, বর্জ্য ঠিকমতো অপসারণ না হওয়া -এরকম নানান সমস্যায় জর্জরিত দেশ সেরা এ বিদ্যাপিঠের আবাসিক হলগুলো।

তার উপর হলগুলোর প্রাধ্যক্ষ এবং আবাসিক শিক্ষকদের বিরুদ্ধেও শিক্ষার্থীদের বিস্তর অভিযোগ। প্রাধ্যক্ষরা তাদের দায়িত্ব ঠিকমত পালন করে না। আবাসিক শিক্ষকরা নিয়মিত হলে আসে না। শিক্ষার্থীদের খোঁজ-খবর রাখে না।

কিন্তু ভিন্ন চিত্রের দেখা মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদ্দিন হলে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হলসংলগ্ন মাঠের এক কোনায় সবসময় বর্জ্যের স্তূপ জমে থাকলেও এখন সেটি নেই। হলের ক্যান্টিনে মনোরম পরিবেশ। ক্যান্টিন বয়রা নির্দিষ্ট পোশাক পরিধান করে খাবার পরিবেশন করছেন। ফলে শিক্ষার্থীদের কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না। হলের সামনে অবস্থিত গার্ডেনও আগের চেয়ে গোছালো ও পরিপাটি।

শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এসবের পেছনের মূল কারিগর হলেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহিন খান। গত এপ্রিলের পাঁচ তারিখে তিনি ওই হলের প্রাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান। নিয়োগ পাওয়ার পরপরই তিনি শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় করে তাদের অভাব-অনুযোগ শুনেন। তারপর এক এক করে সমস্যা সমাধানে মনোযোগ দেন।

প্রথমেই, নিজস্ব তদারকির মাধ্যমে হলের ক্যান্টিন ও মেস সংস্কার করেন। শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য মেসের কার্যক্রমকে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় নিয়ে আসেন। হলের মূল ভবনের ভাঙ্গা দেয়াল, বারান্দা সংস্কার করেন। আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আতঙ্কের নাম হচ্ছে ছাঁড়পোকা। অধ্যাপক শাহীন বিশেষজ্ঞ এনে রাসায়নিক দ্রব্য ছিটিয়ে ছাড়পোকা দমানোর ব্যবস্থা করেন।

প্রাধ্যক্ষের এমন কর্মতৎপরতায় খুশি হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। নুরুল মুহাম্মদ সগীর নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পর এমন একজন অভিভাবকই খুঁজছিলাম। শুধু কবি জসীমউদ্দিন হল না, পুরো ঢাবির শিক্ষার্থীরা যেন এমন সেবা পায়। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা স্যারের প্রতি সন্তুষ্ট।

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহিন খান সংবাদকে বলেন, হলের প্রাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন- এটি একটি পবিত্র দায়িত্ব। আমিও একসময় শিক্ষার্থী ছিলাম। একটি হলের হাউজ টিউটর ছিলাম। তাই স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষার্থীদের ভালো-মন্দ, চাহিদা-সমস্যা খুব কাছ থেকে দেখেছি এবং বুঝেছি। তাই প্রথমেই আমি হলের আবাসিক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি। সে অনুযায়ী কাজ করছি। এটি একটি টিম ওয়ার্ক। একদিনে সকল সমস্যার সমাধান করা যাবে না। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আশা করি শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা নিয়ে আমরা কবি জসীমউদ্দিন হলকে একটি ভালো জায়গায় নিয়ে যেতে পারবো।

back to top