ঢাকা মহানগরে ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহন চলাচলের দাবিতে সমাবেশ করেছে ‘রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা-ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ’। দাবি আদায় না হলে আগামী ২৭ মে সারাদেশে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
সোমবার (২০ মে) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করেন সংগঠনটির নেতারা। এর আগে মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হন কয়েকশ অটোরিকশা চালক। পাশাপাশি সমাবেশে থ্রি-হুইলার ও সমজাতীয় মোটরযান নীতিমালা চূড়ান্ত ও কার্যকর করে ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহনের দ্রুত নিবন্ধন, লাইসেন্স প্রদান ও রুট পারমিটের দাবি জানান তারা।
সমাবেশে সংগঠনটির নেতারা বলেন, আটোরিকশা বন্ধের সিদ্ধান্ত কেন? কার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো? ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহন ঢাকা মহানগরের প্রধান সড়কে চলাচল করে না। এটা মূলত মহানগরের অলি গলিতে চলে। কারণ সেখানে কোনো গণপরিবহন নেই। জরিপে দেখা গেছে, ঢাকা মহানগরের প্রায় ৬০ ভাগ মানুষ এ ধরনের যানবাহনে চলাচল করে। আর মাত্র ৬ ভাগ যাত্রী নিয়ে ঢাকা মহানগরের প্রায় ৮০ ভাগ রাস্তা দখল করে যানজট সৃষ্টি করে প্রাইভেট গাড়ি। তারপরেও কেন এই বাহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা।
তাদের অভিযোগ, এই বাহনের সঙ্গে প্রায় ৬০ লাখ মানুষ জড়িত। ঢাকা মহানগরে এ সংখ্যা আনুমানিক ৫ লাখের ওপরে। বিকল্প ব্যবস্থা না করে রাস্তা থেকে উচ্ছেদ করে এ গণপরিবহন বন্ধ করা হলে আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহকারী লাখ লাখ মানুষের ও তাদের পরিবারের দায়-দায়িত্ব কে নেবে?
আন্দোলনকারীরা বলেন, বিআরটিএর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ যানবাহন বন্ধের কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, মোটর ভেইকেল অ্যাক্ট ২০১৮ অনুযায়ী এটি অনুমোদিত না। কিন্তু এরই মধ্যে ইলেকট্রিক মোটরযান চলাচল সংক্রান্ত নীতিমালা পাস হয়েছে ও ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত থ্রি-হুইলার মোটরযান নীতিমালা চূড়ান্ত হওয়ার পথে। ব্যাটারিচালিত যানবাহন এই নীতিমালার অন্তর্ভুক্ত। ফলে মোটর ভেইকেল অ্যাক্ট এখানে প্রযোজ্য নয়। আর নিরাপত্তাজনিত সমস্যার কথা বলা হয়েছে। এটাও একটি মিথ্যা কথা। নিরাপত্তাজনিত কি সমস্যা হয়েছে তার কোনো বিশ্বাসযোগ্য তথ্য উপাত্ত হাজির না করে লাখ লাখ মানুষের রুটি রুজিতে হাত দেওয়ার অধিকার বিআরটএর নেই। এটি পরিবেশবান্ধব, শব্দ ও বায়ু দূষণ করে না, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী বাহন বলে এটা এখন বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাহন। ফেব্রুয়ারি মাসে সংসদে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বাহনের ইঞ্জিনের সক্ষমতা, সাশ্রয়ী, বিদ্যুতে রিটার্ন বেশি ও পরিবেশ বান্ধব। তিনি এই বাহনকে বাংলার টেসলা বলে সম্বোধন করছেন। সুপ্রিম কোর্ট মহাসড়ক ছাড়া সর্বত্র চলাচলে আদেশ প্রদান করেন। অনুসন্ধান জরুরি।
সমাবেশে সংগঠনটির নেতারা হয়রানি এবং মিরপুর এলাকায় আন্দোলনরত রিকশা শ্রমিকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিকল্প ব্যবস্থা না করে এ ধরনের সিদ্ধান্ত বাতিল চান তারা। দাবি না মানলে লাখ লাখ কর্মহীন ও বেকার চালকসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে ২৭ মে সারাদেশে ৬৪ জেলায় তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন।
রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা-ইজি বাইক সংগ্রাম পরিষদের ঢাকা মহানগর শাখার সহ-সভাপতি জালাল আহমেদ, অর্থ সম্পাদক রোখশানা আফরোজ আশা, সংগঠনের আহ্বায়ক ও সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, অর্থ সম্পাদক জুলফিকার আলী, সংগ্রাম পরিষদ কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদ সদস্য আবু নাঈম খান বিপ্লব, রাহাত আহমেদ, এস এম কাদির, ঢাকা মহানগরের যুগ্ম সম্পাদক দাউদ আলী মামুন, সদস্য সেকান্দার আলী, আবদুস সালামসহ আরও অনেকে অংশ নেন এতে।
সোমবার, ২০ মে ২০২৪
ঢাকা মহানগরে ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহন চলাচলের দাবিতে সমাবেশ করেছে ‘রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা-ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ’। দাবি আদায় না হলে আগামী ২৭ মে সারাদেশে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
সোমবার (২০ মে) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করেন সংগঠনটির নেতারা। এর আগে মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হন কয়েকশ অটোরিকশা চালক। পাশাপাশি সমাবেশে থ্রি-হুইলার ও সমজাতীয় মোটরযান নীতিমালা চূড়ান্ত ও কার্যকর করে ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহনের দ্রুত নিবন্ধন, লাইসেন্স প্রদান ও রুট পারমিটের দাবি জানান তারা।
সমাবেশে সংগঠনটির নেতারা বলেন, আটোরিকশা বন্ধের সিদ্ধান্ত কেন? কার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো? ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহন ঢাকা মহানগরের প্রধান সড়কে চলাচল করে না। এটা মূলত মহানগরের অলি গলিতে চলে। কারণ সেখানে কোনো গণপরিবহন নেই। জরিপে দেখা গেছে, ঢাকা মহানগরের প্রায় ৬০ ভাগ মানুষ এ ধরনের যানবাহনে চলাচল করে। আর মাত্র ৬ ভাগ যাত্রী নিয়ে ঢাকা মহানগরের প্রায় ৮০ ভাগ রাস্তা দখল করে যানজট সৃষ্টি করে প্রাইভেট গাড়ি। তারপরেও কেন এই বাহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা।
তাদের অভিযোগ, এই বাহনের সঙ্গে প্রায় ৬০ লাখ মানুষ জড়িত। ঢাকা মহানগরে এ সংখ্যা আনুমানিক ৫ লাখের ওপরে। বিকল্প ব্যবস্থা না করে রাস্তা থেকে উচ্ছেদ করে এ গণপরিবহন বন্ধ করা হলে আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহকারী লাখ লাখ মানুষের ও তাদের পরিবারের দায়-দায়িত্ব কে নেবে?
আন্দোলনকারীরা বলেন, বিআরটিএর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ যানবাহন বন্ধের কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, মোটর ভেইকেল অ্যাক্ট ২০১৮ অনুযায়ী এটি অনুমোদিত না। কিন্তু এরই মধ্যে ইলেকট্রিক মোটরযান চলাচল সংক্রান্ত নীতিমালা পাস হয়েছে ও ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত থ্রি-হুইলার মোটরযান নীতিমালা চূড়ান্ত হওয়ার পথে। ব্যাটারিচালিত যানবাহন এই নীতিমালার অন্তর্ভুক্ত। ফলে মোটর ভেইকেল অ্যাক্ট এখানে প্রযোজ্য নয়। আর নিরাপত্তাজনিত সমস্যার কথা বলা হয়েছে। এটাও একটি মিথ্যা কথা। নিরাপত্তাজনিত কি সমস্যা হয়েছে তার কোনো বিশ্বাসযোগ্য তথ্য উপাত্ত হাজির না করে লাখ লাখ মানুষের রুটি রুজিতে হাত দেওয়ার অধিকার বিআরটএর নেই। এটি পরিবেশবান্ধব, শব্দ ও বায়ু দূষণ করে না, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী বাহন বলে এটা এখন বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাহন। ফেব্রুয়ারি মাসে সংসদে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বাহনের ইঞ্জিনের সক্ষমতা, সাশ্রয়ী, বিদ্যুতে রিটার্ন বেশি ও পরিবেশ বান্ধব। তিনি এই বাহনকে বাংলার টেসলা বলে সম্বোধন করছেন। সুপ্রিম কোর্ট মহাসড়ক ছাড়া সর্বত্র চলাচলে আদেশ প্রদান করেন। অনুসন্ধান জরুরি।
সমাবেশে সংগঠনটির নেতারা হয়রানি এবং মিরপুর এলাকায় আন্দোলনরত রিকশা শ্রমিকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিকল্প ব্যবস্থা না করে এ ধরনের সিদ্ধান্ত বাতিল চান তারা। দাবি না মানলে লাখ লাখ কর্মহীন ও বেকার চালকসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে ২৭ মে সারাদেশে ৬৪ জেলায় তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন।
রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা-ইজি বাইক সংগ্রাম পরিষদের ঢাকা মহানগর শাখার সহ-সভাপতি জালাল আহমেদ, অর্থ সম্পাদক রোখশানা আফরোজ আশা, সংগঠনের আহ্বায়ক ও সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, অর্থ সম্পাদক জুলফিকার আলী, সংগ্রাম পরিষদ কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদ সদস্য আবু নাঈম খান বিপ্লব, রাহাত আহমেদ, এস এম কাদির, ঢাকা মহানগরের যুগ্ম সম্পাদক দাউদ আলী মামুন, সদস্য সেকান্দার আলী, আবদুস সালামসহ আরও অনেকে অংশ নেন এতে।