সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢুকে বিভিন্ন মালপত্র নিয়ে যাচ্ছেন এক দল লোক। চেয়ার, টেবিল, কমোড কিছুই বাদ যাচ্ছে না। যে যা পারছেন তাই নিয়ে যাচ্ছেন।
৫ আগস্ট সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার পর বিকেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন লাগানো হয়। দ্বিতীয় দফায় মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে আবার আগুন দেয়া হয়। এরপরই কার্যালয়ের সব মালপত্র নিয়ে যেতে শুরু করেন একদল মানুষ। এদের মধ্যে রিকশাচালক, পথচারী এবং ভবঘুরে লোকজনও আছেন।
ঢাকার প্রাণকেন্দ্র গুলিস্তানে (বঙ্গবন্ধু এভিনিউ) এই কার্যালয় অবস্থিত। পুরোনো ভবন ভেঙে ৮ কাঠা জমির ওপর নির্মিত নতুন ভবন ২০১৮ সালের ২৩ জুন উদ্বোধন করেন দলের সভাপতি ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার দুপুরের পর সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় কার্যালয়ের ভেতর থেকে কেউ চেয়ার নিয়ে বের হচ্ছেন, কেউ টেবিল, কেউ আবার ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী। একজনকে দেখা গেলো বাথরুমের কমোড খুলে মাথায় নিয়ে বের হচ্ছেন।
ওই সময় কার্যালয়ের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। যেসব তলায় আগুন নিভে এসেছে লোকজন সেই তলাগুলোতে ভিড় করছেন। কেউ মালপত্র খুলে নেয়ার কাজে ব্যস্ত। উৎসুক কিছু মানুষ এসব দৃশ্য ধারণ করছেন।
মালপত্র নিয়ে যাওয়ার ছবি কেউ কেউ ফেইসবুকে লাইভ করছেন। তাদের একজন বলেন, ‘লুটপাটের টাকায় বানানো এই কার্যালয়। তাই সাধারণ মানুষ এগুলো নিয়ে যাচ্ছে।’
এ সময় বিএনপির লোকজনকে কিছুক্ষণ পরপর মিছিল নিয়ে সেøাগান দিতে দেখা গেছে।
যারা মালপত্র নিয়ে যাচ্ছেন, তাদের সঙ্গে কথা হলেও কেউ ঠিকমত নিজের পরিচয় দিতে চাননি। একজন নিজের নাম বললেও তার পেশা এবং ঠিকানা এড়িয়ে গেছেন। আরেকজন বললেন, নাম ঠিকানা দিয়ে কী করবেন? মামলা দিবেন নাকি? এমনিতেই অনেক মামলা আছে।
কেউ বলেছে, তিনি আরেকজনের কাছে খবর পেয়ে এখানে এসেছেন। কেউ বলছে, এই রাস্তায় দিয়ে যাচ্ছিলেন। দেখলেন যে যার মতো মালপত্র নিয়ে যাচ্ছে। তাই তিনিও নিতে এসেছেন। তবে ভালো কিছু পাননি। পুরো ভবন প্রায় ফাঁকা। পড়ে থাকা একটি ভাঙা কাঠের চেয়ার তাই নিয়ে যাচ্ছেন। তবে অনেকে বলছেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতাসীনদের অত্যাচারের শিকার; সুযোগ পেয়ে প্রতিশোধ নিচ্ছেন।
বুধবার, ০৭ আগস্ট ২০২৪
সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢুকে বিভিন্ন মালপত্র নিয়ে যাচ্ছেন এক দল লোক। চেয়ার, টেবিল, কমোড কিছুই বাদ যাচ্ছে না। যে যা পারছেন তাই নিয়ে যাচ্ছেন।
৫ আগস্ট সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার পর বিকেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন লাগানো হয়। দ্বিতীয় দফায় মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে আবার আগুন দেয়া হয়। এরপরই কার্যালয়ের সব মালপত্র নিয়ে যেতে শুরু করেন একদল মানুষ। এদের মধ্যে রিকশাচালক, পথচারী এবং ভবঘুরে লোকজনও আছেন।
ঢাকার প্রাণকেন্দ্র গুলিস্তানে (বঙ্গবন্ধু এভিনিউ) এই কার্যালয় অবস্থিত। পুরোনো ভবন ভেঙে ৮ কাঠা জমির ওপর নির্মিত নতুন ভবন ২০১৮ সালের ২৩ জুন উদ্বোধন করেন দলের সভাপতি ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার দুপুরের পর সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় কার্যালয়ের ভেতর থেকে কেউ চেয়ার নিয়ে বের হচ্ছেন, কেউ টেবিল, কেউ আবার ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী। একজনকে দেখা গেলো বাথরুমের কমোড খুলে মাথায় নিয়ে বের হচ্ছেন।
ওই সময় কার্যালয়ের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। যেসব তলায় আগুন নিভে এসেছে লোকজন সেই তলাগুলোতে ভিড় করছেন। কেউ মালপত্র খুলে নেয়ার কাজে ব্যস্ত। উৎসুক কিছু মানুষ এসব দৃশ্য ধারণ করছেন।
মালপত্র নিয়ে যাওয়ার ছবি কেউ কেউ ফেইসবুকে লাইভ করছেন। তাদের একজন বলেন, ‘লুটপাটের টাকায় বানানো এই কার্যালয়। তাই সাধারণ মানুষ এগুলো নিয়ে যাচ্ছে।’
এ সময় বিএনপির লোকজনকে কিছুক্ষণ পরপর মিছিল নিয়ে সেøাগান দিতে দেখা গেছে।
যারা মালপত্র নিয়ে যাচ্ছেন, তাদের সঙ্গে কথা হলেও কেউ ঠিকমত নিজের পরিচয় দিতে চাননি। একজন নিজের নাম বললেও তার পেশা এবং ঠিকানা এড়িয়ে গেছেন। আরেকজন বললেন, নাম ঠিকানা দিয়ে কী করবেন? মামলা দিবেন নাকি? এমনিতেই অনেক মামলা আছে।
কেউ বলেছে, তিনি আরেকজনের কাছে খবর পেয়ে এখানে এসেছেন। কেউ বলছে, এই রাস্তায় দিয়ে যাচ্ছিলেন। দেখলেন যে যার মতো মালপত্র নিয়ে যাচ্ছে। তাই তিনিও নিতে এসেছেন। তবে ভালো কিছু পাননি। পুরো ভবন প্রায় ফাঁকা। পড়ে থাকা একটি ভাঙা কাঠের চেয়ার তাই নিয়ে যাচ্ছেন। তবে অনেকে বলছেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতাসীনদের অত্যাচারের শিকার; সুযোগ পেয়ে প্রতিশোধ নিচ্ছেন।