alt

নগর-মহানগর

"ঢাকার দুই হাসপাতালে ২০ মরদেহ, স্বজনদের অভাবে অবহেলায়"

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : রোববার, ১১ আগস্ট ২০২৪

ঢাকার দুটি হাসপাতালের তিনটি মর্গে সরকারের পতনের এক দফার আন্দোলনের সময় সহিংসতায় নিহত ২০ জনের মরদেহ এখনও পড়ে আছে।

লাশগুলোর অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। পরিচয় বোঝা যাচ্ছে না এবং কেউ খোঁজ নিতে আসেনি। থানার কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সুরতহাল করা যাচ্ছে না। লাশগুলো পচে ফুলে গেছে এবং দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আটটি, ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে নয়টি এবং শেরে-বাংলা নগরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে তিনটি মরদেহ রয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের নয়টি মরদেহের মধ্যে দুটি উত্তরার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল থেকে, তিনটি কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল থেকে এসেছে। পুলিশ হাসপাতাল থেকে আসা তিনটি মরদেহ পুলিশের বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের ডোম রামু চন্দ্র দাস জানান, "বডিগুলো চেনার কোনো উপায় নেই। প্রত্যেকটাই ফুলে গেছে।"

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাহবাগ থানা এলাকার মধ্যে পড়ে। শাহবাগ থানার কনস্টেবল সালাহ উদ্দিন আহমেদ খান বলেন, মরদেহগুলোর মধ্যে যাদের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে, সেগুলো তাদের স্বজনদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বাকি ১৭টি মরদেহের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

"কিছু মরদেহ সড়কে পড়ে ছিল কয়েক দিন, ফলে সেগুলোর বায়োমেট্রিক ডেটা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তিনটি মরদেহ পুড়ে গেছে। আমাদের এখনো কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না।"

কনস্টেবল সালাহ উদ্দিন বলেন, থানার কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, "এই সমস্যার দ্রুত সমাধান একটাই পথ, অজ্ঞাত হিসেবে ডেথ সার্টিফিকেট দিয়ে ডিএনএ সংগ্রহ করে মরদেহগুলো আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামে দেওয়া। এতে লাশও মুক্তি পাবে এবং আমরা সমস্যামুক্ত হব।"

ঢাকা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষও মরদেহগুলোর বিষয় নিয়ে বিপাকে রয়েছে। থানার কার্যক্রম বন্ধ থাকায় মরদেহগুলোর সুরতহাল তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। পুলিশ কর্তৃক সুরতহাল প্রতিবেদন ছাড়া মরদেহের ময়নাতদন্ত করা যাচ্ছে না।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. কাজী গোলাম মোখলেসুর রহমান বলেন, “আমাদের মরচুয়ারিতে জায়গার অভাব হচ্ছে। এতগুলো মরদেহ দীর্ঘদিন রাখা সম্ভব নয়। থানার কার্যক্রম শুরুর অপেক্ষায় আছি। পুলিশ সুরতহাল করে দিলে আমরা ময়নাতদন্ত করে দেব। এরপর ডিএনএ স্যাম্পল রেখে মরদেহগুলো আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামে পাঠানো হবে। পরবর্তীতে কেউ ক্লেইম করলে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে তাদের স্বজনদের জানানো যাবে।”

শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক মো. শফিউর রহমান জানান, তার হাসপাতালে ৫ অগাস্টের পর তিনটি মরদেহ এসেছে যাদের পরিচয় এখনও শনাক্ত করা হয়নি। মরদেহগুলো মর্গে রাখা হয়েছে।

“মরদেহগুলোর মধ্যে কিছু ছাত্রও থাকতে পারে। তাদের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের বলা হয়েছে। আমাদের ফ্রিজ মেরামত করতে হবে, কিন্তু মরদেহগুলো সরানো সম্ভব না হলে সেটা করতে পারছি না।”

কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে প্রায় তিনশ মানুষের মৃত্যুর খবর এসেছে। ৪ ও ৫ অগাস্ট ঢাকায় ব্যাপক সহিংসতা ঘটে। পুলিশের গুলিতে অনেকের মৃত্যু হয় এবং আন্দোলনকারীরা থানায় হামলা ও আগুন ধরিয়ে দেয়।

২৬ জুলাই পর্যন্ত ২১টি বেওয়ারিশ লাশ দাফন করেছে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম। এর পর আরও কোন মরদেহ অজ্ঞাত হিসেবে দাফন করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে, আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের দাফন সেবা কর্মকর্তা কামরুল আহমেদ জানান, "এ বিষয়ে অফিস আওয়ারে বিস্তারিত জানানো যাবে।"

ছবি

দুদকের ৫৮ কর্মকর্তার পদে রদবদল

ছবি

সৌদি আরবে আটকদের মুক্তির জন্য প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা

ছবি

সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে আবারও সময় বৃদ্ধি

ছবি

ছয় দফা দাবিতে তেজগাঁওয়ে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট

ছবি

টেকনাফের সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান মিয়া রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার

ছবি

মব জাস্টিস রোধে সরকারের কঠোর অবস্থান: আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে

মধ্যরাতে গুলশানে এক্সিম ব্যাংকে ডাকাতির চেষ্টা, গ্রেপ্তার ১০

ছবি

সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাজা মওকুফ হওয়া ১৪ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন

ছবি

তরুণদের নেতৃত্বে বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে উঠবে: ইফতেখারুজ্জামান

ছবি

চাকরির বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবি, শাহবাগ অবরোধ

ছবি

ফেনীতে ‘স্ট্রাইক ফর ওয়াটার জাস্টিস’ কর্মসূচি

ছবি

স্বতন্ত্র আইসিটি ক্যাডারের দাবি গভর্নমেন্ট আইসিটি অফিসার্স ফোরামের

ছবি

বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের সমাবেশ

ছবি

সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা বন্ধের দাবিতে মশালমিছিল, ৫ অক্টোবর ঢাকায় অবরোধের ঘোষণা

ছবি

ত্বকী হত্যার বিচার বন্ধ রাখার জন্য শেখ হাসিনাকেও শাস্তি পেতে হবে: সমাবেশে বক্তারা

ছবি

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের এক মাস পূর্তি, আজ ‘শহীদি মার্চ’

ছবি

২৭ বছর কারাভোগের পর মুক্তি পেলেন ‘সুইডেন আসলাম’

ছবি

বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির অন্তর্বর্তীকালীন আহ্বায়ক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম

ছবি

আনসার বাহিনীর আন্দোলনে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে দুই সদস্য গ্রেপ্তার

ছবি

চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার, স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরছে হাসপাতালগুলো

ছবি

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে বাসভাড়া ৪৫ টাকা নির্ধারণের দাবি

গাজীপুরে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, মহাসড়ক অবরোধ ৫ পুলিশ আহত

ছবি

রাজধানীতে ৩ ঘণ্টায় ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি

ছবি

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফী আটক

ছবি

আগামীকাল থেকে সীমিত আকারে হাসপাতালের আউটডোর সেবা চালু

ছবি

আলোচিত মামলায় আমির হামজাসহ ছয়জনকে অব্যাহতি, সাকিবের বিরুদ্ধে বিচার শুরু

ছবি

সাবেক মন্ত্রী তাজুল ইসলামের ব্যাংক হিসাব স্থগিতের নির্দেশ

ছবি

আওয়ামী লীগ জোটের নেতা আনোয়ার হোসেন মঞ্জু গ্রেপ্তার

ছবি

ক্ষমতার পরিবর্তনের পর পুলিশ বাহিনীতে ব্যাপক রদবদল, ৮৩ জন কর্মকর্তার বদলি

ছবি

রুবেল হত্যা মামলায় সাংবাদিক দম্পতিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

ছবি

পুলিশে রদবদলের সুযোগে প্রতারণা, সতর্ক থাকার আহ্বান

ছবি

ব্যাংক হিসাব স্থগিত সাবেক প্রধান বিচারপতি ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেলের

ছবি

হাসিনা সরকারের ‘গণহত্যা’র বিচারে বিশেষ ট্রাইব্যুনালের দাবি জামায়াতের

ছবি

ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে মৃত্যু, অস্ট্রেলিয়া যাওয়া হলো না জাররাফ প্রিতমের

ছবি

ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে পিপি আবদুল্লাহ আবুর বদলে দায়িত্বে এহসানুল হক সমাজী

ছবি

বন্যাকবলিতদের সহায়তায় সেনা পরিবার কল্যাণ সমিতি ও ক্লাবগুলির ১৫ লাখ টাকার অনুদান

tab

নগর-মহানগর

"ঢাকার দুই হাসপাতালে ২০ মরদেহ, স্বজনদের অভাবে অবহেলায়"

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

রোববার, ১১ আগস্ট ২০২৪

ঢাকার দুটি হাসপাতালের তিনটি মর্গে সরকারের পতনের এক দফার আন্দোলনের সময় সহিংসতায় নিহত ২০ জনের মরদেহ এখনও পড়ে আছে।

লাশগুলোর অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। পরিচয় বোঝা যাচ্ছে না এবং কেউ খোঁজ নিতে আসেনি। থানার কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সুরতহাল করা যাচ্ছে না। লাশগুলো পচে ফুলে গেছে এবং দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আটটি, ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে নয়টি এবং শেরে-বাংলা নগরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে তিনটি মরদেহ রয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের নয়টি মরদেহের মধ্যে দুটি উত্তরার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল থেকে, তিনটি কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল থেকে এসেছে। পুলিশ হাসপাতাল থেকে আসা তিনটি মরদেহ পুলিশের বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের ডোম রামু চন্দ্র দাস জানান, "বডিগুলো চেনার কোনো উপায় নেই। প্রত্যেকটাই ফুলে গেছে।"

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাহবাগ থানা এলাকার মধ্যে পড়ে। শাহবাগ থানার কনস্টেবল সালাহ উদ্দিন আহমেদ খান বলেন, মরদেহগুলোর মধ্যে যাদের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে, সেগুলো তাদের স্বজনদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বাকি ১৭টি মরদেহের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

"কিছু মরদেহ সড়কে পড়ে ছিল কয়েক দিন, ফলে সেগুলোর বায়োমেট্রিক ডেটা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তিনটি মরদেহ পুড়ে গেছে। আমাদের এখনো কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না।"

কনস্টেবল সালাহ উদ্দিন বলেন, থানার কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, "এই সমস্যার দ্রুত সমাধান একটাই পথ, অজ্ঞাত হিসেবে ডেথ সার্টিফিকেট দিয়ে ডিএনএ সংগ্রহ করে মরদেহগুলো আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামে দেওয়া। এতে লাশও মুক্তি পাবে এবং আমরা সমস্যামুক্ত হব।"

ঢাকা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষও মরদেহগুলোর বিষয় নিয়ে বিপাকে রয়েছে। থানার কার্যক্রম বন্ধ থাকায় মরদেহগুলোর সুরতহাল তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। পুলিশ কর্তৃক সুরতহাল প্রতিবেদন ছাড়া মরদেহের ময়নাতদন্ত করা যাচ্ছে না।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. কাজী গোলাম মোখলেসুর রহমান বলেন, “আমাদের মরচুয়ারিতে জায়গার অভাব হচ্ছে। এতগুলো মরদেহ দীর্ঘদিন রাখা সম্ভব নয়। থানার কার্যক্রম শুরুর অপেক্ষায় আছি। পুলিশ সুরতহাল করে দিলে আমরা ময়নাতদন্ত করে দেব। এরপর ডিএনএ স্যাম্পল রেখে মরদেহগুলো আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামে পাঠানো হবে। পরবর্তীতে কেউ ক্লেইম করলে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে তাদের স্বজনদের জানানো যাবে।”

শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক মো. শফিউর রহমান জানান, তার হাসপাতালে ৫ অগাস্টের পর তিনটি মরদেহ এসেছে যাদের পরিচয় এখনও শনাক্ত করা হয়নি। মরদেহগুলো মর্গে রাখা হয়েছে।

“মরদেহগুলোর মধ্যে কিছু ছাত্রও থাকতে পারে। তাদের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের বলা হয়েছে। আমাদের ফ্রিজ মেরামত করতে হবে, কিন্তু মরদেহগুলো সরানো সম্ভব না হলে সেটা করতে পারছি না।”

কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে প্রায় তিনশ মানুষের মৃত্যুর খবর এসেছে। ৪ ও ৫ অগাস্ট ঢাকায় ব্যাপক সহিংসতা ঘটে। পুলিশের গুলিতে অনেকের মৃত্যু হয় এবং আন্দোলনকারীরা থানায় হামলা ও আগুন ধরিয়ে দেয়।

২৬ জুলাই পর্যন্ত ২১টি বেওয়ারিশ লাশ দাফন করেছে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম। এর পর আরও কোন মরদেহ অজ্ঞাত হিসেবে দাফন করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে, আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের দাফন সেবা কর্মকর্তা কামরুল আহমেদ জানান, "এ বিষয়ে অফিস আওয়ারে বিস্তারিত জানানো যাবে।"

back to top