জাতীয়করণের দাবিতে সচিবালয় ঘেরাও করে আন্দোলনে অংশ নেওয়া আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা করা হয়েছে। শাহবাগ ও রমনা থানাতেও একই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
গত রোববার সন্ধ্যায় সচিবালয়ের সামনে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আনসার সদস্যরা চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে সচিবালয় ঘেরাও করে রাখেন এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের পরেও আন্দোলন অব্যাহত রাখেন। এসময় ছাত্রদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তারা।
পল্টন থানার ওসি মোল্লা মো. খালিদ হোসেন জানান, থানায় পুলিশ বাদী হয়ে ১১৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছে। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও তিন থেকে চার হাজার আনসার সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় সরকারি কাজে বাধা, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, এবং অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়েছে। ওসি আরও জানান, ইতোমধ্যে ৯৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার ওবায়দুর রহমান জানান, শাহবাগ ও রমনা থানাতেও একই ধরনের মামলা শিগগিরই রেকর্ড হবে। তিনি বলেন, “এ পর্যন্ত মোট ৩৭১ জন আনসার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে শাহবাগে ১৯১ জন, রমনায় ৮৫ জন, এবং পল্টনে ৯৫ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন।”
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে দাবি আদায়ে বিভিন্ন পেশাজীবী গোষ্ঠীর আন্দোলনের মধ্যে গত বুধবার আনসার সদস্যরা চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।
রোববার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করেন আনসার সদস্যরা। পরে তারা সচিবালয় ঘেরাও করেন, যার ফলে সচিবালয়ের কর্মীরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। আনসারদের প্রতিনিধিরা সরকারের উপদেষ্টাদের সঙ্গে দুই দফা বৈঠক করেন, কিন্তু তাৎক্ষণিক প্রজ্ঞাপন জারির দাবি পূরণ না হওয়ায় তারা আন্দোলন চালিয়ে যান।
রাত ৯টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহর অবরুদ্ধ হওয়ার খবরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের সামনে গিয়ে আনসারদের ধাওয়া করেন। ফলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
পরে শিক্ষার্থী ও পুলিশ মিলে আনসার সদস্যদের সরিয়ে দেয়। সংঘর্ষে ৬০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী আহত হন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারী আনসারদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে।
সোমবার আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আনসার সদস্যদের যুদ্ধাংদেহী মনোভাব ছিল। তাদের অবাস্তব ও অসম্ভব দাবি ছিল সচিবালয়ে গণ্ডগোল সৃষ্টির উদ্দেশ্যে। যদি ছাত্ররা তাদের মোকাবিলা না করত, তাহলে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারত।”
সোমবার, ২৬ আগস্ট ২০২৪
জাতীয়করণের দাবিতে সচিবালয় ঘেরাও করে আন্দোলনে অংশ নেওয়া আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা করা হয়েছে। শাহবাগ ও রমনা থানাতেও একই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
গত রোববার সন্ধ্যায় সচিবালয়ের সামনে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আনসার সদস্যরা চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে সচিবালয় ঘেরাও করে রাখেন এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের পরেও আন্দোলন অব্যাহত রাখেন। এসময় ছাত্রদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তারা।
পল্টন থানার ওসি মোল্লা মো. খালিদ হোসেন জানান, থানায় পুলিশ বাদী হয়ে ১১৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছে। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও তিন থেকে চার হাজার আনসার সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় সরকারি কাজে বাধা, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, এবং অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়েছে। ওসি আরও জানান, ইতোমধ্যে ৯৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার ওবায়দুর রহমান জানান, শাহবাগ ও রমনা থানাতেও একই ধরনের মামলা শিগগিরই রেকর্ড হবে। তিনি বলেন, “এ পর্যন্ত মোট ৩৭১ জন আনসার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে শাহবাগে ১৯১ জন, রমনায় ৮৫ জন, এবং পল্টনে ৯৫ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন।”
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে দাবি আদায়ে বিভিন্ন পেশাজীবী গোষ্ঠীর আন্দোলনের মধ্যে গত বুধবার আনসার সদস্যরা চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।
রোববার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করেন আনসার সদস্যরা। পরে তারা সচিবালয় ঘেরাও করেন, যার ফলে সচিবালয়ের কর্মীরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। আনসারদের প্রতিনিধিরা সরকারের উপদেষ্টাদের সঙ্গে দুই দফা বৈঠক করেন, কিন্তু তাৎক্ষণিক প্রজ্ঞাপন জারির দাবি পূরণ না হওয়ায় তারা আন্দোলন চালিয়ে যান।
রাত ৯টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহর অবরুদ্ধ হওয়ার খবরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের সামনে গিয়ে আনসারদের ধাওয়া করেন। ফলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
পরে শিক্ষার্থী ও পুলিশ মিলে আনসার সদস্যদের সরিয়ে দেয়। সংঘর্ষে ৬০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী আহত হন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারী আনসারদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে।
সোমবার আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আনসার সদস্যদের যুদ্ধাংদেহী মনোভাব ছিল। তাদের অবাস্তব ও অসম্ভব দাবি ছিল সচিবালয়ে গণ্ডগোল সৃষ্টির উদ্দেশ্যে। যদি ছাত্ররা তাদের মোকাবিলা না করত, তাহলে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারত।”