তৃতীয় দিনের মতো গাজীপুরে চাকরির দাবিতে বেশ কয়েকটি স্থানে পোশাক শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া বাইপাস, ছয়দানা, হাজির পুকুর, মালেকের বাড়ি, সাইনবোর্ড এলাকায় ইস্ট ওয়েস্ট ও প্রীতি গার্মেন্টসের চাকরিচ্যুত শ্রমিকরা ঢাকা— ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ করে। শ্রমিক বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রন করতে গিয়ে শ্রমিকদের ইটপাটকেলে ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা পুলিশের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে এতে শিল্প পুলিশের এএসপি মোশরাফ হোসেন সহ পাঁচজন আহত হন। পরে সেনাবাহিনী গঠনস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কারখানা শ্রমিক ও শিল্প পুলিশ জানায়, বিভিন্ন পোশাক কারখানায় নারী শ্রমিকদের পাশাপাশি সম অধিকারের ভিত্তিতে পুরুষ শ্রমিক নিয়োগের দাবিতে দাবি জানায় শ্রমিকরা। ওই দাবিতে তারা ঢাকা—ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে। খবর পেয়ে গাজীপুর শিল্প পুলিশ, থানা পুলিশ ও সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। সকাল দশটার দিকে গাজীপুর মহানগরীর সাইনবোর্ড ও মালেকের বাড়ি এলাকা থেকে শ্রমিকরা সরে গেলেও বেলা ১১ টার দিকে শ্রমিকরা ভোগরা বাইপাস এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বেলা সাড়ে বারোটার দিকে ভোগরা বাইপাস এলাকায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ অব্যাহত ছিল। সেখানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা শ্রমিকদের সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলছেন।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানায়, তারা কারখানায় চাকরি করলেও তুচ্ছ কারণে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়। চাকরি না পেয়ে তারা বেকারত্ব জীবনযাপন করছেন। তাই তাদের চাকরির দাবিতে এই বিক্ষোভ করে যাচ্ছেন। তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান হোসেন সংবাদকে জানান, সকাল থেকেই গাজীপুরের বেশ কয়েকটি স্থানে বিভিন্ন পোশাক কারখানার চাকরিচ্যুত শ্রমিকরা তাদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। একপর্যায়ে তারা ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে যানবাহন চলাচলে বাধা প্রদান করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে বিখ্যাত শ্রমিকরা পুলিশের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
অপরদিকে মঙ্গলবার সকাল ৮ টা হতে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের ষ্টেশন রোড এলাকায় বাটা সু কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিঃ নামক কারখানার স্থায়ী শ্রমিকরা (প্রায় ৭০০) তাদের ৮ দফা দাবিতে উৎপাদন কাজে যোগদান না করে কারখানার সামনে অবস্থান গ্রহন করছে।
মালিক পক্ষের সাথে শ্রমিকদের আলোচনা চলছে। শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে। গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
দাবীগুলো হলো: ১ বাটা (১০৯৫) ইউনিয়ন ভুক্ত সকল শ্রমিক—ভাই—বোন দের নুন্যতম মাসিক ১৫০০০ (পনেরো হাজার) টাকা বেসিক ধরে সকল সুবিধা বহাল রাখতে হবে। ২। পূর্বের ন্যায় সাপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টা ডিউটি করলে ৩ ঘন্টা ওভার টাইম এবং (ডি এ) প্রদান করিতে হবে। ৩। ম্যানেজমেন্ট ন্যায় শ্রমিকদের প্রতি বছর ২০% বেতন বৃদ্ধি করিতে হবে। ম্যানেজমেন্টের সাথে বেতন বৃদ্ধির হার বৈষম্য করা যাবে না। ৪। সকল শ্রমিকদের ফ্যামিলির চিকিৎসা সেবা প্রদান করিতে হবে। ৫। প্রতিবছর ঈদ বোনাস মাসিক মোট বেতনের সমপরিমাণ প্রদান করিতে হবে। ৬। দ্বি—বার্ষিক (এল টি এ) দাবি নামায় পাশ কৃত দাবি শ্রমিক/কর্মচারী মৃত্যুবরণ এবং স্বেচ্ছায় অবসরে গেলে তার বিপরীতে একজন রিপ্লেস ছিল। কিন্তু রিপ্লেস না দিয়ে ম্যানেজমেন্ট বিভিন্ন নামে বেনামে লোক নিয়োগ দিয়ে বাটা সু কম্পানির শ্রমিকদের হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। সুতরাং পুনরায় রিপ্লেসমেন্ট বহাল থাকিবে। ৭। দাবি আদায়ের জন্য যে সকল শ্রমিক ভাই বোন আন্দোলনের সাথে জড়িত থাকিবে তাদের কোন প্রকার ম্যানেজমেন্ট দ্বারা হয়রানি কিংবা চাকুরীচ্যুতি এমনকি পুলিশ প্রশাসন দ্বারা হয়রানি করা যাবে না। ৮। বিগত বিভিন্ন সময়ে অন্যায় ভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে হুমকি, ধামকি ও দমন নীপিড়নের মাধ্যমে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার ও পাওনা থেকে বঞ্চিত করা। এবং ইজঝ (গোল্ডেন হ্যান্ড সেক) এর নামে ২২৬ জন শ্রমিক কে অন্যায় ভাবে জোর পূর্বক চাকুরি চ্যুত করার ক্ষেত্রে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকায় এইচ আর ম্যানেজার এনামুর রহমান এবং সহকারী এইচ আর ম্যানেজার সালাহউদ্দিনকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।
এ বিষয়ে কথা বলতে কারখানা কর্তৃপক্ষকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
এদিকে, চাকুরী প্রত্যাশিত শ্রমিকরা ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছে।
এতে সকাল থেকে টংগী থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত ৯ কিলোমিটার এক ঘন্টা যান চলাচল বিঘ্নিত রথ ছেড়েছেনয়।
সকাল ৯টা ৩০ দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হলেও মহাসড়কে তীব্র যানযট সৃষ্টি হয়েছে। গাজীপুর ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক আল মামুনকে এ তথ্য জানান।
মঙ্গলবার সকাল ৮:৩০ মিনিটে নতুন চাকরির আশায় প্রতিদিনের মতো সকালেই চাকরিপ্রার্থীরা ভোগড়া বাইপাস এলাকায় জড়ো হয়।
চাকরি না পাওয়া শ্রমিকরা বিক্ষোভে উত্তেজিত হয়ে প্রার্থীরা ঢাকা— ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে। আশপাশের কারখানার দিকে ইট—পাটকেল ছুড়তে থাকে। এতে মহাসড়কের দুই পাশেই ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। প্রায় এক ঘণ্টার প্রচেষ্টার পর মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
চাকরিপ্রার্থীরা অভিযোগ করে জানান, বিভিন্ন কারখানা কর্তৃপক্ষ দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করিয়ে রাখে। পরে তাদের নতুন করে কোন পুরুষ শ্রমিক নিয়োগ না দেয়ার সিদ্ধান্ত জানায়।
চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, কারখানাগুলোতে শুধুমাত্র নারী শ্রমিকদের নিয়োগ দিয়ে আসছে এবং পুরুষ প্রার্থীদের বঞ্চিত করছে।
মঙ্গলবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
তৃতীয় দিনের মতো গাজীপুরে চাকরির দাবিতে বেশ কয়েকটি স্থানে পোশাক শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া বাইপাস, ছয়দানা, হাজির পুকুর, মালেকের বাড়ি, সাইনবোর্ড এলাকায় ইস্ট ওয়েস্ট ও প্রীতি গার্মেন্টসের চাকরিচ্যুত শ্রমিকরা ঢাকা— ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ করে। শ্রমিক বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রন করতে গিয়ে শ্রমিকদের ইটপাটকেলে ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা পুলিশের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে এতে শিল্প পুলিশের এএসপি মোশরাফ হোসেন সহ পাঁচজন আহত হন। পরে সেনাবাহিনী গঠনস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কারখানা শ্রমিক ও শিল্প পুলিশ জানায়, বিভিন্ন পোশাক কারখানায় নারী শ্রমিকদের পাশাপাশি সম অধিকারের ভিত্তিতে পুরুষ শ্রমিক নিয়োগের দাবিতে দাবি জানায় শ্রমিকরা। ওই দাবিতে তারা ঢাকা—ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে। খবর পেয়ে গাজীপুর শিল্প পুলিশ, থানা পুলিশ ও সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। সকাল দশটার দিকে গাজীপুর মহানগরীর সাইনবোর্ড ও মালেকের বাড়ি এলাকা থেকে শ্রমিকরা সরে গেলেও বেলা ১১ টার দিকে শ্রমিকরা ভোগরা বাইপাস এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বেলা সাড়ে বারোটার দিকে ভোগরা বাইপাস এলাকায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ অব্যাহত ছিল। সেখানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা শ্রমিকদের সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলছেন।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানায়, তারা কারখানায় চাকরি করলেও তুচ্ছ কারণে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়। চাকরি না পেয়ে তারা বেকারত্ব জীবনযাপন করছেন। তাই তাদের চাকরির দাবিতে এই বিক্ষোভ করে যাচ্ছেন। তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান হোসেন সংবাদকে জানান, সকাল থেকেই গাজীপুরের বেশ কয়েকটি স্থানে বিভিন্ন পোশাক কারখানার চাকরিচ্যুত শ্রমিকরা তাদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। একপর্যায়ে তারা ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে যানবাহন চলাচলে বাধা প্রদান করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে বিখ্যাত শ্রমিকরা পুলিশের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
অপরদিকে মঙ্গলবার সকাল ৮ টা হতে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের ষ্টেশন রোড এলাকায় বাটা সু কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিঃ নামক কারখানার স্থায়ী শ্রমিকরা (প্রায় ৭০০) তাদের ৮ দফা দাবিতে উৎপাদন কাজে যোগদান না করে কারখানার সামনে অবস্থান গ্রহন করছে।
মালিক পক্ষের সাথে শ্রমিকদের আলোচনা চলছে। শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে। গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
দাবীগুলো হলো: ১ বাটা (১০৯৫) ইউনিয়ন ভুক্ত সকল শ্রমিক—ভাই—বোন দের নুন্যতম মাসিক ১৫০০০ (পনেরো হাজার) টাকা বেসিক ধরে সকল সুবিধা বহাল রাখতে হবে। ২। পূর্বের ন্যায় সাপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টা ডিউটি করলে ৩ ঘন্টা ওভার টাইম এবং (ডি এ) প্রদান করিতে হবে। ৩। ম্যানেজমেন্ট ন্যায় শ্রমিকদের প্রতি বছর ২০% বেতন বৃদ্ধি করিতে হবে। ম্যানেজমেন্টের সাথে বেতন বৃদ্ধির হার বৈষম্য করা যাবে না। ৪। সকল শ্রমিকদের ফ্যামিলির চিকিৎসা সেবা প্রদান করিতে হবে। ৫। প্রতিবছর ঈদ বোনাস মাসিক মোট বেতনের সমপরিমাণ প্রদান করিতে হবে। ৬। দ্বি—বার্ষিক (এল টি এ) দাবি নামায় পাশ কৃত দাবি শ্রমিক/কর্মচারী মৃত্যুবরণ এবং স্বেচ্ছায় অবসরে গেলে তার বিপরীতে একজন রিপ্লেস ছিল। কিন্তু রিপ্লেস না দিয়ে ম্যানেজমেন্ট বিভিন্ন নামে বেনামে লোক নিয়োগ দিয়ে বাটা সু কম্পানির শ্রমিকদের হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। সুতরাং পুনরায় রিপ্লেসমেন্ট বহাল থাকিবে। ৭। দাবি আদায়ের জন্য যে সকল শ্রমিক ভাই বোন আন্দোলনের সাথে জড়িত থাকিবে তাদের কোন প্রকার ম্যানেজমেন্ট দ্বারা হয়রানি কিংবা চাকুরীচ্যুতি এমনকি পুলিশ প্রশাসন দ্বারা হয়রানি করা যাবে না। ৮। বিগত বিভিন্ন সময়ে অন্যায় ভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে হুমকি, ধামকি ও দমন নীপিড়নের মাধ্যমে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার ও পাওনা থেকে বঞ্চিত করা। এবং ইজঝ (গোল্ডেন হ্যান্ড সেক) এর নামে ২২৬ জন শ্রমিক কে অন্যায় ভাবে জোর পূর্বক চাকুরি চ্যুত করার ক্ষেত্রে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকায় এইচ আর ম্যানেজার এনামুর রহমান এবং সহকারী এইচ আর ম্যানেজার সালাহউদ্দিনকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।
এ বিষয়ে কথা বলতে কারখানা কর্তৃপক্ষকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
এদিকে, চাকুরী প্রত্যাশিত শ্রমিকরা ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছে।
এতে সকাল থেকে টংগী থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত ৯ কিলোমিটার এক ঘন্টা যান চলাচল বিঘ্নিত রথ ছেড়েছেনয়।
সকাল ৯টা ৩০ দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হলেও মহাসড়কে তীব্র যানযট সৃষ্টি হয়েছে। গাজীপুর ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক আল মামুনকে এ তথ্য জানান।
মঙ্গলবার সকাল ৮:৩০ মিনিটে নতুন চাকরির আশায় প্রতিদিনের মতো সকালেই চাকরিপ্রার্থীরা ভোগড়া বাইপাস এলাকায় জড়ো হয়।
চাকরি না পাওয়া শ্রমিকরা বিক্ষোভে উত্তেজিত হয়ে প্রার্থীরা ঢাকা— ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে। আশপাশের কারখানার দিকে ইট—পাটকেল ছুড়তে থাকে। এতে মহাসড়কের দুই পাশেই ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। প্রায় এক ঘণ্টার প্রচেষ্টার পর মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
চাকরিপ্রার্থীরা অভিযোগ করে জানান, বিভিন্ন কারখানা কর্তৃপক্ষ দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করিয়ে রাখে। পরে তাদের নতুন করে কোন পুরুষ শ্রমিক নিয়োগ না দেয়ার সিদ্ধান্ত জানায়।
চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, কারখানাগুলোতে শুধুমাত্র নারী শ্রমিকদের নিয়োগ দিয়ে আসছে এবং পুরুষ প্রার্থীদের বঞ্চিত করছে।