সকাল হলেও যেন নেমে আসে রাতের আঁধার, কালো মেঘে ছেয়ে যায় রাজধানীর আকাশ। সেই সঙ্গে বইতে শুরু করে হওয়া। একটু পরই শুরু হয় ঝুম বৃষ্টি। আভাস ছিল সপ্তাহ গড়ালে বৃষ্টি আসবে, হয়েছেও তাই। টানা কয়েকদিনের দাবদাহের মধ্যে বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) স্বস্তির বৃষ্টি ঝরেছে। তবে তাতে বিড়ম্বনায় পড়েছেন অফিসসহ বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে পথে বের হওয়া রাজধানীবাসী।
বুধবার সারাদেশেই কম-বেশি বৃষ্টি হয়েছে। এদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়। এমন বৃষ্টি আজও দিনভর ঝরবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান। বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে। সমুদ্রবন্দর এলাকায় দেখানো হয়েছে ৩ নম্বর বিপদ সংকেত।
বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর রাজধানীর সড়কে কমে যায় যানবাহন চলাচল। এই সুযোগে রিকশা ভাড়া হয়ে যায় দ্বিগুণ। অন্যদিকে, বৃষ্টির কারণে মানুষজনও পড়েন বিপাকে। বিশেষ করে, যারা অফিসের উদ্দেশে বাসা থেকে হেঁটে, বাইকে বা রিকশায় বের হয়েছেন তারা মাঝ রাস্তায় আটকা পড়েন। এমন অবস্থায় পথচারী ছাড়াও ছিন্নমূল মানুষদের মেট্রোরেলের পিলারের নিচে আশ্রয় নিতে দেখা যায়।
কয়েকজন যাত্রী জানান, বৃষ্টির কারণে ৩০ টাকার ভাড়া ৫০ টাকা দিতে চেয়েছি, কিন্তু রিকশাচালক চাচ্ছে ৮০ টাকা। এমন অবস্থায় অনেকেই ভিজে ভিজে গন্তব্যের পথে যাত্রা করেছেন। ঝুম বৃষ্টির কারণে ঢাকার রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা অনেকটা কমে গেছে। তবে ঢাকার শাহবাগ, ফার্মগেইট, বাংলামোটর, মিরপুর ১০ নম্বর এসব এলাকার কোথাও পানি জমতে দেখা যায়নি। কিন্তু পানি দেখা গেছে জাহাঙ্গীর গেইট এলাকায়।
রাজধানীতে বুধবার দেখা গেছে, কেউ কেউ মেট্রো থেকে নেমে রিকশায় উঠতে গিয়েই অনেকটা ভিজে গেছেন। আবার বৃষ্টির আগেই বাসা থেকে বের হয়েছেন। বৃষ্টি হতে পারে তখন সেটি ভাবেননি। সঙ্গে ছাতাও নেননি। বৃষ্টি শুরু হয়েছে, ভিজে ভিজে ফিরতে হচ্ছে। এতে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। অবশ্য কাউকে কাউকে ছাতা নিয়ে গন্তব্যে যেতে দেখা যায়।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তার কারণে সারাদেশে বৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কয়েক দিনের টানা গরমের পর এই বৃষ্টি আরও এক থেকে দুই দিন স্থায়ী হবে। এর মধ্যে কিছু কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সতর্কতা দিয়েছে অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে সমুদ্রবন্দর এলাকায় দেখানো হয়েছে ৩ নম্বর বিপদ সংকেত।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান জানান, দেশে মৌসুমি বায়ু এখন সক্রিয় আছে। এছাড়া বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ তৈরি হয়েছে, যার ফলে সারাদেশেই কম-বেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এই বৃষ্টি আজও থাকবে। কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণেরও সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সকাল হলেও যেন নেমে আসে রাতের আঁধার, কালো মেঘে ছেয়ে যায় রাজধানীর আকাশ। সেই সঙ্গে বইতে শুরু করে হওয়া। একটু পরই শুরু হয় ঝুম বৃষ্টি। আভাস ছিল সপ্তাহ গড়ালে বৃষ্টি আসবে, হয়েছেও তাই। টানা কয়েকদিনের দাবদাহের মধ্যে বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) স্বস্তির বৃষ্টি ঝরেছে। তবে তাতে বিড়ম্বনায় পড়েছেন অফিসসহ বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে পথে বের হওয়া রাজধানীবাসী।
বুধবার সারাদেশেই কম-বেশি বৃষ্টি হয়েছে। এদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়। এমন বৃষ্টি আজও দিনভর ঝরবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান। বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে। সমুদ্রবন্দর এলাকায় দেখানো হয়েছে ৩ নম্বর বিপদ সংকেত।
বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর রাজধানীর সড়কে কমে যায় যানবাহন চলাচল। এই সুযোগে রিকশা ভাড়া হয়ে যায় দ্বিগুণ। অন্যদিকে, বৃষ্টির কারণে মানুষজনও পড়েন বিপাকে। বিশেষ করে, যারা অফিসের উদ্দেশে বাসা থেকে হেঁটে, বাইকে বা রিকশায় বের হয়েছেন তারা মাঝ রাস্তায় আটকা পড়েন। এমন অবস্থায় পথচারী ছাড়াও ছিন্নমূল মানুষদের মেট্রোরেলের পিলারের নিচে আশ্রয় নিতে দেখা যায়।
কয়েকজন যাত্রী জানান, বৃষ্টির কারণে ৩০ টাকার ভাড়া ৫০ টাকা দিতে চেয়েছি, কিন্তু রিকশাচালক চাচ্ছে ৮০ টাকা। এমন অবস্থায় অনেকেই ভিজে ভিজে গন্তব্যের পথে যাত্রা করেছেন। ঝুম বৃষ্টির কারণে ঢাকার রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা অনেকটা কমে গেছে। তবে ঢাকার শাহবাগ, ফার্মগেইট, বাংলামোটর, মিরপুর ১০ নম্বর এসব এলাকার কোথাও পানি জমতে দেখা যায়নি। কিন্তু পানি দেখা গেছে জাহাঙ্গীর গেইট এলাকায়।
রাজধানীতে বুধবার দেখা গেছে, কেউ কেউ মেট্রো থেকে নেমে রিকশায় উঠতে গিয়েই অনেকটা ভিজে গেছেন। আবার বৃষ্টির আগেই বাসা থেকে বের হয়েছেন। বৃষ্টি হতে পারে তখন সেটি ভাবেননি। সঙ্গে ছাতাও নেননি। বৃষ্টি শুরু হয়েছে, ভিজে ভিজে ফিরতে হচ্ছে। এতে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। অবশ্য কাউকে কাউকে ছাতা নিয়ে গন্তব্যে যেতে দেখা যায়।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তার কারণে সারাদেশে বৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কয়েক দিনের টানা গরমের পর এই বৃষ্টি আরও এক থেকে দুই দিন স্থায়ী হবে। এর মধ্যে কিছু কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সতর্কতা দিয়েছে অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে সমুদ্রবন্দর এলাকায় দেখানো হয়েছে ৩ নম্বর বিপদ সংকেত।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান জানান, দেশে মৌসুমি বায়ু এখন সক্রিয় আছে। এছাড়া বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ তৈরি হয়েছে, যার ফলে সারাদেশেই কম-বেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এই বৃষ্টি আজও থাকবে। কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণেরও সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে।