alt

নগর-মহানগর

সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ নিয়ে হাই কোর্টের রুল: বিচারবিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : রোববার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪

বাংলাদেশের সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অধস্তন আদালতে বিচারবিভাগীয় দায়িত্ব পালনরত হাকিমদের নিয়ন্ত্রণ, পদোন্নতি ও শৃঙ্খলাবিধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত রয়েছে। তবে রাষ্ট্রপতি এই দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করবেন। অথচ কার্যত এই নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগের হস্তক্ষেপ বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে খর্ব করছে বলে মনে করছেন আইনজীবীরা। এ বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের ১০ জন আইনজীবী গত ২৫ অগাস্ট হাই কোর্টে একটি রিট আবেদন করেন।

রোববার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাই কোর্ট বেঞ্চ রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এই রুল জারি করেছেন। এই রুলে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ কেন অসাংবিধানিক নয়, তা নিয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এবং রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সৈয়দা সাজিয়া শারমিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান।

রিট আবেদনে বলা হয়, সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলাবিধান বিষয়ক ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। যদিও এই ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করবেন বলে উল্লেখ রয়েছে, তবে বাস্তবে কার্যত রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগের প্রভাব সুস্পষ্ট, যা বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য হুমকি। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংবিধানের মৌলিক কাঠামো এবং এটি লঙ্ঘিত হওয়া আইন ও শাসনের জন্য ক্ষতিকর বলে রিটে দাবি করা হয়।

রিটে আরও উল্লেখ করা হয়, সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী ইতোমধ্যেই বিলুপ্ত হয়েছে এবং পঞ্চম সংশোধনী অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হয়েছে। পঞ্চদশ সংশোধনীর পরও ১১৬ অনুচ্ছেদ বহাল রয়েছে, যা বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পরিপন্থি। এছাড়া, বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি বাস্তবায়নের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের সক্রিয় ভূমিকা বিচার বিভাগের ওপর নির্বাহী বিভাগের প্রভাব প্রতিফলিত করে এবং পৃথক বিচার সচিবালয়ের অভাবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে।

রিট আবেদনে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে এবং আইন ও শাসনের ভিত্তি বজায় রাখতে সংবিধানের এই অনুচ্ছেদ পরিবর্তনের দাবি জানানো হয়।

ছবি

যাত্রাবাড়ীতে গ্যাসের আগুনে দগ্ধ শিশুটিও মারা গেল

ছবি

‘স্বামীর’ অঙ্গ কাটার অভিযোগে গ্রেপ্তার নারী থানায় বিষপান করে মারা গেলেন

ছবি

পুরান ঢাকায় হত্যাকাণ্ড ও অস্ত্র মামলায় মহিন ও রবিনের রিমান্ড

ছবি

ভারত ও বাংলাদেশ অভিন্ন বৌদ্ধ ঐতিহ্যের অধিকারী : প্রণয় ভার্মা

ছবি

শাহজালাল বিমানবন্দরে নেপালগামী ফ্লাইটে বোমার ভুয়া খবর, আতঙ্কের পর স্বাভাবিক উড্ডয়ন

ছবি

সূত্রাপুরে গ্যাসের আগুনে দগ্ধ একই পরিবারের ৫ জন

ছবি

লিবিয়ায় বাংলাদেশিদের হাতে নির্যাতিত দুই প্রবাসী, মুক্তিপণে গ্রেপ্তার দুইজন

ছবি

সংখ্যালঘুদের বাদ রেখে সংস্কার কার্যক্রম, সবচেয়ে হতাশাজনক’ — নির্মল রোজারিও

শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ক্লাসে ফেরার নির্দেশ, হোস্টেলও খুলছে ১১ জুলাই

ছবি

দ্বিতীয় ধাপের টাকা না পেয়ে ক্ষুব্ধ আহতরা, রোববার দেওয়ার আশ্বাস

ছবি

বৃষ্টি-জলে রাজধানীতে ভোগান্তি, জলাবদ্ধতা ঠেকাতে সতর্ক সিটি করপোরেশন

ছবি

গাজীপুরে ভবনের ছাদে পোল্ট্রি খামার: পরিবেশ দূষণের দায়ে দন্ড

ছবি

ডিপজলের বিরুদ্ধে নারীকে নির্যাতন ও অ্যাসিড নিক্ষেপের অভিযোগে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ

যাত্রাবাড়ীতে বৃদ্ধ দম্পতিকে মারধর করে ডাকাতি, স্বামীর মৃত্যু

ছবি

রাজস্ব আহরণে স্থবিরতা কাটাতে কর্মীদের অভয় দিলেন আবদুর রহমান খান

ছবি

হাইকোর্টের বেঞ্চ বিভাগীয় শহরে স্থানান্তরের উদ্যোগের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন

ছবি

তিন দাবিতে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর ঘেরাও ইউনানী শিক্ষার্থীদের

ছবি

কাউকে না জানিয়ে কুয়াকাটায় যাওয়া ব্যাংক কর্মকর্তা ভোরে বাসায় ফিরলেন

ছবি

খিলক্ষেতে কভার্ড ভ্যানের চাপায় দুই পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিহত

ছবি

জুমার নামাজের কথা বলে বেরিয়ে আর ফেরেননি ব্যাংক কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান

ছবি

নতুন আতঙ্ক ‘মব সন্ত্রাস’, বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে: বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা

ছবি

বনানীতে হোটেলে নারীদের ওপর হামলা, নেতৃত্বে যুবদল নেতা—ভিডিও ভাইরাল

ছবি

বিদেশে নারী পাচারে জালিয়াতি, বিএমইটির কর্মকর্তাসহ ৯ জনের নামে দুদকের মামলা

ছবি

মাদক ও সন্ত্রাসে জড়িত টুন্ডা বাবুর বিরুদ্ধে ১০টির বেশি মামলা

ছবি

আশুরা উপলক্ষে নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশের প্রস্তুতি, তাজিয়া মিছিলে কঠোর নজরদারি

ছবি

তেজগাঁওয়ে ছিনতাইয়ের নাটক: মানি এক্সচেঞ্জকর্মীসহ গ্রেপ্তার ৬

ছবি

হাটখোলায় রাসায়নিক গুদামে আগুন, ২ ঘন্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে

ছবি

ডিউটি না করায় ডিআইজি, ডিসিসহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

ছবি

ঢাকায় প্রবাসী মনির ও পরিবারের মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা, সন্দেহে আত্মীয় গ্রেপ্তার

ছবি

রাজধানীতে সন্ত্রাসী হামলায় বিএনপির ওয়ার্ড নেতার মৃত্যু

ছবি

দুর্নীতির বিরুদ্ধে গ্রীন ফোর্স বাংলাদেশের পথচলা শুরু

ছবি

দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে ডাকা হলো আহমেদ আকবর সোবহানকে, তারিক আহমেদ সিদ্দিকের সম্পদ অনুসন্ধানে নতুন মোড়

ছবি

‘শাটডাউন’ আন্দোলনের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

ছবি

কমপ্লিট শাটডাউন’ চলাকালে এনবিআর সেবা অপরিহার্য ঘোষণা

ছবি

এক রাতেই ঢাকার সড়কে ঝরল ৫ প্রাণ

ছবি

অবাঞ্ছিত ঘোষণার মধ্যেও এনবিআর চেয়ারম্যান দায়িত্বে, চলছে আন্দোলন

tab

নগর-মহানগর

সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ নিয়ে হাই কোর্টের রুল: বিচারবিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

রোববার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪

বাংলাদেশের সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অধস্তন আদালতে বিচারবিভাগীয় দায়িত্ব পালনরত হাকিমদের নিয়ন্ত্রণ, পদোন্নতি ও শৃঙ্খলাবিধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত রয়েছে। তবে রাষ্ট্রপতি এই দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করবেন। অথচ কার্যত এই নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগের হস্তক্ষেপ বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে খর্ব করছে বলে মনে করছেন আইনজীবীরা। এ বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের ১০ জন আইনজীবী গত ২৫ অগাস্ট হাই কোর্টে একটি রিট আবেদন করেন।

রোববার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাই কোর্ট বেঞ্চ রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এই রুল জারি করেছেন। এই রুলে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ কেন অসাংবিধানিক নয়, তা নিয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এবং রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সৈয়দা সাজিয়া শারমিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান।

রিট আবেদনে বলা হয়, সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলাবিধান বিষয়ক ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। যদিও এই ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করবেন বলে উল্লেখ রয়েছে, তবে বাস্তবে কার্যত রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগের প্রভাব সুস্পষ্ট, যা বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য হুমকি। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংবিধানের মৌলিক কাঠামো এবং এটি লঙ্ঘিত হওয়া আইন ও শাসনের জন্য ক্ষতিকর বলে রিটে দাবি করা হয়।

রিটে আরও উল্লেখ করা হয়, সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী ইতোমধ্যেই বিলুপ্ত হয়েছে এবং পঞ্চম সংশোধনী অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হয়েছে। পঞ্চদশ সংশোধনীর পরও ১১৬ অনুচ্ছেদ বহাল রয়েছে, যা বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পরিপন্থি। এছাড়া, বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি বাস্তবায়নের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের সক্রিয় ভূমিকা বিচার বিভাগের ওপর নির্বাহী বিভাগের প্রভাব প্রতিফলিত করে এবং পৃথক বিচার সচিবালয়ের অভাবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে।

রিট আবেদনে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে এবং আইন ও শাসনের ভিত্তি বজায় রাখতে সংবিধানের এই অনুচ্ছেদ পরিবর্তনের দাবি জানানো হয়।

back to top