ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি এবং আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির দুই শিক্ষার্থীকে হত্যার বিচারের দাবিতে রাজধানী ঢাকার রামপুরা ব্রিজে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার পর ‘সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী’ ব্যানারে সড়কে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যা ৬টার দিকে তারা হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষ করেন। এরপর শিক্ষার্থীরা ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সামনে থেকে মশাল মিছিল বের করেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের আইনের আওতায় আনা না হলে রাজপথে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সম্পৃক্তরা গুপ্তহত্যার শিকার হচ্ছেন। তাঁদের খুঁজে বের করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের দাবিও জানানো হয়েছে সমাবেশ থেকে। এই কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে হবে।
সমাবেশে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নাজিফা জান্নাত বলেন, সারা দেশে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নেই। বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের তুলে নেওয়ার হুমকি আসছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখনো শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও দুই শিক্ষার্থী হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসাদ বিন রনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা হচ্ছে ছাত্র-জনতা। এখন ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করতে পারলে এই সরকারের কোনো গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না। অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে তাঁরা নিজেরাই নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুই ছাত্র হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী যাবের বিন নূর বলেন, জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়াদের গুপ্ত হত্যা করা হচ্ছে, বিভিন্ন মাধ্যমে অনেককে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের এভাবে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রেখে সরকার এখনো নির্বিকার। তাই অবিলম্বে শিক্ষার্থী হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
সমাবেশ শেষে সোয়া ছয়টার দিকে শিক্ষার্থীরা ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সামনে থেকে মশাল মিছিল শুরু করেন। এই মিছিল রামপুরা ব্রিজ হয়ে মেরুল বাড্ডার ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি পর্যন্ত যায়। পরে মিছিলটি সেখান থেকে ঘুরে সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সামনে এসে শেষ হয়।
গত১২ ডিসেম্বর ভোরে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাজবির হোসেন শিহানকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। একই দিন নারায়ণগঞ্জে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত হন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সীমান্ত। এর দুই দিন পর ১৪ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি এবং আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির দুই শিক্ষার্থীকে হত্যার বিচারের দাবিতে রাজধানী ঢাকার রামপুরা ব্রিজে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার পর ‘সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী’ ব্যানারে সড়কে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যা ৬টার দিকে তারা হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষ করেন। এরপর শিক্ষার্থীরা ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সামনে থেকে মশাল মিছিল বের করেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের আইনের আওতায় আনা না হলে রাজপথে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সম্পৃক্তরা গুপ্তহত্যার শিকার হচ্ছেন। তাঁদের খুঁজে বের করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের দাবিও জানানো হয়েছে সমাবেশ থেকে। এই কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে হবে।
সমাবেশে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নাজিফা জান্নাত বলেন, সারা দেশে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নেই। বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের তুলে নেওয়ার হুমকি আসছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখনো শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও দুই শিক্ষার্থী হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসাদ বিন রনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা হচ্ছে ছাত্র-জনতা। এখন ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করতে পারলে এই সরকারের কোনো গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না। অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে তাঁরা নিজেরাই নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুই ছাত্র হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী যাবের বিন নূর বলেন, জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়াদের গুপ্ত হত্যা করা হচ্ছে, বিভিন্ন মাধ্যমে অনেককে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের এভাবে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রেখে সরকার এখনো নির্বিকার। তাই অবিলম্বে শিক্ষার্থী হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
সমাবেশ শেষে সোয়া ছয়টার দিকে শিক্ষার্থীরা ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সামনে থেকে মশাল মিছিল শুরু করেন। এই মিছিল রামপুরা ব্রিজ হয়ে মেরুল বাড্ডার ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি পর্যন্ত যায়। পরে মিছিলটি সেখান থেকে ঘুরে সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সামনে এসে শেষ হয়।
গত১২ ডিসেম্বর ভোরে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাজবির হোসেন শিহানকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। একই দিন নারায়ণগঞ্জে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত হন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সীমান্ত। এর দুই দিন পর ১৪ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।