রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারে ছিনতাইকারীদের হাতে হাফেজ কামরুল হাসান (২৩) খুনের ঘটনায় দুই ‘পেশাদার’ ও ‘কিশোর ছিনতাইকারী’কে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের যাত্রাবাড়ী থানা।
আজ শনিবার ভোরে যাত্রাবাড়ীর করাতিটোলা এলাকা থেকে ১৬ ও ১৭ বছর বয়সী দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসে ঢাকা মহানগর পুলিশের ওয়ারী বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মফিজুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
মফিজুল ইসলকম জানান, আটক দুইজনের হাতেই খুন হন ২৩ বছর বয়সী কামরুল হাসান।
ছিনতাইকারীদেরকে ‘পেশাদার’ বর্ণনা করে ঢাকা মহানগর পুলিশের ওয়ারী বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মফিজুল ইসলাম বলেন, ওই এলাকায় মূলত মাদক সেবনের টাকা জোগাড় করতে তারা ছিনতাই করত। তারা হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন। হত্যাকাণ্ডের সময় ওই দুই কিশোর যে পোশাক, ক্যাপ ও জুতা পরা অবস্থায় ছিল, সেসব পরা অবস্থাতেই তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেছেন, এ ঘটনায় শুক্রবার হাসানের বাবা ইমাম হোসেন বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্তে নেমে ঘটনাস্থলের আশেপাশের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ভিডিও বিশ্লেষণ করে এবং গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যদের শনাক্ত করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে জানিয়ে মফিজুল বলেন, তারা যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারসহ আশেপাশের এলাকায় পথচারীদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই করত। এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন উপ কমিশনার মফিজুল।
গত ১৮ ডিসেম্বর হাসান তার বন্ধুদের সাথে সাজেক যাওয়ার জন্য রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ড থেকে সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডের উদ্দেশে রওনা হন। তিনি রাত পৌনে নয়টার দিকে সায়েদাবাদ এলাকায় নেমে বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার জন্য ফ্লাইওভারের দিকে যান। ফ্লাইওভারের উপর পৌঁছালে কয়েকজন ছিনতাইকারী হাসানের পথ আটকে দেশীয় অস্ত্রের ধরে ভয় দেখিয়ে তার কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। ওই সময় হাসান বাধা দিলে ওই দুই ছিনতাইকারী তাকে ছুরিকাঘাত করে।
পথচারীরা গুরুতর আহত অবস্থায় হাসানকে ধলপুরের ইসলামিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসানকে মৃত ঘোষণা করেন।
শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারে ছিনতাইকারীদের হাতে হাফেজ কামরুল হাসান (২৩) খুনের ঘটনায় দুই ‘পেশাদার’ ও ‘কিশোর ছিনতাইকারী’কে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের যাত্রাবাড়ী থানা।
আজ শনিবার ভোরে যাত্রাবাড়ীর করাতিটোলা এলাকা থেকে ১৬ ও ১৭ বছর বয়সী দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসে ঢাকা মহানগর পুলিশের ওয়ারী বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মফিজুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
মফিজুল ইসলকম জানান, আটক দুইজনের হাতেই খুন হন ২৩ বছর বয়সী কামরুল হাসান।
ছিনতাইকারীদেরকে ‘পেশাদার’ বর্ণনা করে ঢাকা মহানগর পুলিশের ওয়ারী বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মফিজুল ইসলাম বলেন, ওই এলাকায় মূলত মাদক সেবনের টাকা জোগাড় করতে তারা ছিনতাই করত। তারা হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন। হত্যাকাণ্ডের সময় ওই দুই কিশোর যে পোশাক, ক্যাপ ও জুতা পরা অবস্থায় ছিল, সেসব পরা অবস্থাতেই তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেছেন, এ ঘটনায় শুক্রবার হাসানের বাবা ইমাম হোসেন বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্তে নেমে ঘটনাস্থলের আশেপাশের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ভিডিও বিশ্লেষণ করে এবং গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যদের শনাক্ত করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে জানিয়ে মফিজুল বলেন, তারা যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারসহ আশেপাশের এলাকায় পথচারীদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই করত। এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন উপ কমিশনার মফিজুল।
গত ১৮ ডিসেম্বর হাসান তার বন্ধুদের সাথে সাজেক যাওয়ার জন্য রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ড থেকে সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডের উদ্দেশে রওনা হন। তিনি রাত পৌনে নয়টার দিকে সায়েদাবাদ এলাকায় নেমে বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার জন্য ফ্লাইওভারের দিকে যান। ফ্লাইওভারের উপর পৌঁছালে কয়েকজন ছিনতাইকারী হাসানের পথ আটকে দেশীয় অস্ত্রের ধরে ভয় দেখিয়ে তার কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। ওই সময় হাসান বাধা দিলে ওই দুই ছিনতাইকারী তাকে ছুরিকাঘাত করে।
পথচারীরা গুরুতর আহত অবস্থায় হাসানকে ধলপুরের ইসলামিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসানকে মৃত ঘোষণা করেন।