আগামী দুই মাসের মধ্যে দেশে একাধিক নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। শুক্রবার বিকেলে পঞ্চগড় সরকারি অডিটোরিয়ামে ‘পঞ্চগড় রাইজিং’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সারজিস আলম জানান, জাতীয় নাগরিক কমিটি কোনো রাজনৈতিক দল নয়। তবে এটি একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম এবং ভবিষ্যতে লিডারশিপ তৈরির জন্য কাজ করবে। তিনি বলেন, “অভ্যুত্থানে যারা অংশ নিয়েছিল, তাদের নিয়েই হয়তো নতুন রাজনৈতিক দল গঠন হতে পারে। তবে যারা নতুন দলে যোগ দেবেন, তারা নাগরিক কমিটিতে থাকতে পারবেন না।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির সহায়তায় নতুন একটি দল গঠনের বিষয়টি ইতোমধ্যে আলোচনায় এসেছে। ‘জনশক্তি’ নামে সম্ভাব্য একটি দলের কথা শোনা গেলেও সারজিস আলম জানিয়েছেন, এ বিষয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
সারজিস বলেন, “আগামীতে দেশে এমন লিডার তৈরি করতে হবে যারা শিক্ষা, দক্ষতা, এবং যৌক্তিক নেতৃত্বের মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসবেন। কেউ অনুসারী নয়, সবাই সহযোদ্ধা হিসেবে কাজ করবে।”
সভায় আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলকে স্বৈরাচারী আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “গত এক যুগে দেশে প্রকৃত কোনো নেতৃত্ব তৈরি হয়নি। শেখ হাসিনার সরকার শুধু দাসত্ব এবং নিরব দর্শকের সংস্কৃতি তৈরি করেছে।”
সারজিস আলম আরও বলেন, “মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, এক্সপ্রেসওয়ে বা কর্ণফুলী টানেলের মতো অবকাঠামো দিয়ে উন্নয়ন দেখানো হলেও এর ভেতরে দুর্নীতি, লুটপাট এবং অর্থ পাচার হয়েছে। প্রকল্পের খরচ ফাঁপিয়ে তোলার মাধ্যমে দেশকে আর্থিক সংকটে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।”
সারজিস আলম জানান, জাতীয় নাগরিক কমিটি ভবিষ্যতে একটি ইনস্টিটিউট হিসেবে কাজ করবে। পাশাপাশি এটি একটি প্রেসার গ্রুপ হিসেবে সমাজ ও রাজনীতিতে ভূমিকা রাখবে।
সভায় জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতা আবু সাঈদ সুমন, আতাউর সানি, শিশির আসাদ এবং হাসান রোবায়েত উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
আগামী দুই মাসের মধ্যে দেশে একাধিক নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। শুক্রবার বিকেলে পঞ্চগড় সরকারি অডিটোরিয়ামে ‘পঞ্চগড় রাইজিং’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সারজিস আলম জানান, জাতীয় নাগরিক কমিটি কোনো রাজনৈতিক দল নয়। তবে এটি একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম এবং ভবিষ্যতে লিডারশিপ তৈরির জন্য কাজ করবে। তিনি বলেন, “অভ্যুত্থানে যারা অংশ নিয়েছিল, তাদের নিয়েই হয়তো নতুন রাজনৈতিক দল গঠন হতে পারে। তবে যারা নতুন দলে যোগ দেবেন, তারা নাগরিক কমিটিতে থাকতে পারবেন না।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির সহায়তায় নতুন একটি দল গঠনের বিষয়টি ইতোমধ্যে আলোচনায় এসেছে। ‘জনশক্তি’ নামে সম্ভাব্য একটি দলের কথা শোনা গেলেও সারজিস আলম জানিয়েছেন, এ বিষয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
সারজিস বলেন, “আগামীতে দেশে এমন লিডার তৈরি করতে হবে যারা শিক্ষা, দক্ষতা, এবং যৌক্তিক নেতৃত্বের মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসবেন। কেউ অনুসারী নয়, সবাই সহযোদ্ধা হিসেবে কাজ করবে।”
সভায় আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলকে স্বৈরাচারী আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “গত এক যুগে দেশে প্রকৃত কোনো নেতৃত্ব তৈরি হয়নি। শেখ হাসিনার সরকার শুধু দাসত্ব এবং নিরব দর্শকের সংস্কৃতি তৈরি করেছে।”
সারজিস আলম আরও বলেন, “মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, এক্সপ্রেসওয়ে বা কর্ণফুলী টানেলের মতো অবকাঠামো দিয়ে উন্নয়ন দেখানো হলেও এর ভেতরে দুর্নীতি, লুটপাট এবং অর্থ পাচার হয়েছে। প্রকল্পের খরচ ফাঁপিয়ে তোলার মাধ্যমে দেশকে আর্থিক সংকটে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।”
সারজিস আলম জানান, জাতীয় নাগরিক কমিটি ভবিষ্যতে একটি ইনস্টিটিউট হিসেবে কাজ করবে। পাশাপাশি এটি একটি প্রেসার গ্রুপ হিসেবে সমাজ ও রাজনীতিতে ভূমিকা রাখবে।
সভায় জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতা আবু সাঈদ সুমন, আতাউর সানি, শিশির আসাদ এবং হাসান রোবায়েত উপস্থিত ছিলেন।