শহীদদের লাশ শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষা চলছে
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় প্রাণ হারানো ছয়জনের লাশ এখনো অশনাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে সংরক্ষিত রয়েছে। এদের পরিচয় জানতে পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনো কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
শুক্রবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগের সামনে সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জুলাই গণঅভ্যুত্থান বিষয়ক সেল এ তথ্য প্রকাশ করে।
সেলের সম্পাদক হাসান ইনাম জানান, “আমাদের অনুসন্ধানে জানা গেছে, আন্দোলনে শহীদ হওয়া ছয়টি অশনাক্তকৃত লাশ ঢাকা মেডিকেলের মর্গে রয়েছে। শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালিদ মনসুর আমাদের নিশ্চিত করেছেন যে, লাশগুলো এখনো হিমাগারে সংরক্ষিত আছে। পরবর্তী তদন্তের জন্য ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।”
বিশেষ সেলের অনুসন্ধানে জানা গেছে, লাশগুলোর মধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও একজন নারী রয়েছেন। তাদের বয়স যথাক্রমে ২০, ২২, ২৫, ৩০ এবং ৩২ বছর। একজনের নাম এনামুল পাওয়া গেলেও তার বিস্তারিত পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এনামুলের বয়স ২৫ বছর।
হাসান ইনাম বলেন, “আমরা ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মর্গে গিয়ে মৃতদেহগুলো সরাসরি দেখেছি। লাশগুলোর মধ্যে পাঁচটির চেহারা বোঝা গেলেও একটি লাশ আঘাতজনিত কারণে বিকৃত হয়েছে। নিহতদের পরিহিত পোশাক ও অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে, যেখানে পাঁচজনের মৃত্যুর কারণ হিসেবে আঘাতজনিত কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। আর এনামুলের মৃত্যু হয়েছে উপর থেকে নিচে পড়ে।”
শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মনসুর জানান, “লাশগুলো কয়েকদিন ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে সংরক্ষিত আছে। এখনো কোনো স্বজন এসে তাদের শনাক্ত করতে পারেননি। তবে প্রতিদিন কেউ না কেউ মর্গে এসে লাশগুলো দেখছেন। এ কারণেই আমরা এখনো এগুলো আঞ্জুমান মফিদুলকে হস্তান্তর করিনি।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা সুরতহাল রিপোর্ট এবং ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছি। ছয়টি লাশের মধ্যে পাঁচটির চেহারা বোঝা গেলেও একটি লাশের চেহারা কিছুটা বিকৃত। এগুলো নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশে একটি বিশেষ কমিটি করবে। তারপর এগুলো নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
ওসি নিশ্চিত করেছেন, নিহতদের শরীরে কোনো গুলির আঘাত পাওয়া যায়নি।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মৃতদেহগুলোর ডিএনএ নমুনা সংরক্ষণ করা হয়েছে। শহীদদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য দ্রুততম সময়ে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সেল দাবি করেছে, আন্দোলনে প্রাণ হারানো এই শহীদদের স্মৃতি সংরক্ষণের পাশাপাশি তাদের স্বজনদের কাছে যথাযথ মর্যাদায় দেহ হস্তান্তরের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
অশনাক্ত থাকা ছয় শহীদের পরিচয় উদঘাটনে দেরি হওয়ায় তাদের পরিবারের অনিশ্চয়তা ও কষ্ট বাড়ছে। এর মধ্যেই সুশীল সমাজ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটনের দাবি জানিয়েছে।
আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতিকে সম্মান জানিয়ে তাদের পরিচয় শনাক্ত ও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে কর্তৃপক্ষের দ্রুত উদ্যোগের দাবি জানিয়েছে বিশেষ সেল।
শহীদদের লাশ শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষা চলছে
শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় প্রাণ হারানো ছয়জনের লাশ এখনো অশনাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে সংরক্ষিত রয়েছে। এদের পরিচয় জানতে পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনো কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
শুক্রবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগের সামনে সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জুলাই গণঅভ্যুত্থান বিষয়ক সেল এ তথ্য প্রকাশ করে।
সেলের সম্পাদক হাসান ইনাম জানান, “আমাদের অনুসন্ধানে জানা গেছে, আন্দোলনে শহীদ হওয়া ছয়টি অশনাক্তকৃত লাশ ঢাকা মেডিকেলের মর্গে রয়েছে। শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালিদ মনসুর আমাদের নিশ্চিত করেছেন যে, লাশগুলো এখনো হিমাগারে সংরক্ষিত আছে। পরবর্তী তদন্তের জন্য ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।”
বিশেষ সেলের অনুসন্ধানে জানা গেছে, লাশগুলোর মধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও একজন নারী রয়েছেন। তাদের বয়স যথাক্রমে ২০, ২২, ২৫, ৩০ এবং ৩২ বছর। একজনের নাম এনামুল পাওয়া গেলেও তার বিস্তারিত পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এনামুলের বয়স ২৫ বছর।
হাসান ইনাম বলেন, “আমরা ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মর্গে গিয়ে মৃতদেহগুলো সরাসরি দেখেছি। লাশগুলোর মধ্যে পাঁচটির চেহারা বোঝা গেলেও একটি লাশ আঘাতজনিত কারণে বিকৃত হয়েছে। নিহতদের পরিহিত পোশাক ও অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে, যেখানে পাঁচজনের মৃত্যুর কারণ হিসেবে আঘাতজনিত কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। আর এনামুলের মৃত্যু হয়েছে উপর থেকে নিচে পড়ে।”
শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মনসুর জানান, “লাশগুলো কয়েকদিন ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে সংরক্ষিত আছে। এখনো কোনো স্বজন এসে তাদের শনাক্ত করতে পারেননি। তবে প্রতিদিন কেউ না কেউ মর্গে এসে লাশগুলো দেখছেন। এ কারণেই আমরা এখনো এগুলো আঞ্জুমান মফিদুলকে হস্তান্তর করিনি।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা সুরতহাল রিপোর্ট এবং ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছি। ছয়টি লাশের মধ্যে পাঁচটির চেহারা বোঝা গেলেও একটি লাশের চেহারা কিছুটা বিকৃত। এগুলো নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশে একটি বিশেষ কমিটি করবে। তারপর এগুলো নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
ওসি নিশ্চিত করেছেন, নিহতদের শরীরে কোনো গুলির আঘাত পাওয়া যায়নি।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মৃতদেহগুলোর ডিএনএ নমুনা সংরক্ষণ করা হয়েছে। শহীদদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য দ্রুততম সময়ে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সেল দাবি করেছে, আন্দোলনে প্রাণ হারানো এই শহীদদের স্মৃতি সংরক্ষণের পাশাপাশি তাদের স্বজনদের কাছে যথাযথ মর্যাদায় দেহ হস্তান্তরের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
অশনাক্ত থাকা ছয় শহীদের পরিচয় উদঘাটনে দেরি হওয়ায় তাদের পরিবারের অনিশ্চয়তা ও কষ্ট বাড়ছে। এর মধ্যেই সুশীল সমাজ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটনের দাবি জানিয়েছে।
আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতিকে সম্মান জানিয়ে তাদের পরিচয় শনাক্ত ও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে কর্তৃপক্ষের দ্রুত উদ্যোগের দাবি জানিয়েছে বিশেষ সেল।