পুলিশি হেফাজতে পালানোর ঘটনায় তদন্ত ও নতুন বিতর্ক
ঢাকার উত্তরা পূর্ব থানার সাবেক ওসি শাহ আলম পুলিশি হেফাজত থেকে পালানোর পর দেশত্যাগ করেছেন বলে ধারণা করছে ডিএমপি। ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, “আমাদের ধারণা, তিনি হয়তো দেশ ছেড়ে অন্য দেশে পালিয়ে গেছেন। ইন্ডিয়া বা অন্য কোথাও থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।”
গত ৯ জানুয়ারি দুপুরে শাহ আলম পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়ে যান। তার আগের দিন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময়ের একটি মামলায় কুষ্টিয়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
শাহ আলম পালানোর ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে এএসআই সাজ্জাদকে সেদিনই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরদিন উত্তরা পূর্ব থানার ওসি মহিবুল্লাহকে প্রত্যাহার করা হয়।
ডিএমপি কমিশনার জানিয়েছেন, শাহ আলমকে হাজতখানার পরিবর্তে সহানুভূতির কারণে একজন পুলিশ অফিসারের রুমে রাখা হয়েছিল। সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যের অসতর্কতার সুযোগে তিনি পালিয়ে যান। তিনি বলেন, “পুলিশ তাকে ধরার জন্য কুষ্টিয়া পর্যন্ত গিয়েছিল। ছেড়ে দেওয়ার জন্য তাকে ধরার প্রয়োজন ছিল না। যদি ছেড়েই দিতাম, তবে কুষ্টিয়া থেকেই ছেড়ে দেওয়া যেত।”
শাহ আলম গত বছর ১ আগস্ট উত্তরা পূর্ব থানায় ওসি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় তার ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। ২ সেপ্টেম্বর একটি হত্যা মামলায় তাকে আসামি করা হয়।
সরকার পরিবর্তনের পর তাকে কুষ্টিয়া প্রশিক্ষণকেন্দ্রে বদলি করা হয়েছিল। সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় আনা হয়েছিল।
মতবিনিময় সভায় ডিএমপি কমিশনার ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “ঢাকার পরিবহন ব্যবস্থার সক্ষমতা বিবেচনায় একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক রিকশার লাইসেন্স দেওয়া উচিত। লাইসেন্স ছাড়া কোনো রিকশা চলাচল করা যাবে না। ঢাকার বাইরের রিকশাও শহরে প্রবেশ করছে, যা নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।”
তিনি আরও জানান, রিকশার লাইসেন্স দেওয়ার দায়িত্ব ডিএমপিকে দেওয়া হলে তারা তা কার্যকর করতে প্রস্তুত।
ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নবনির্বাচিত কমিটি। মতবিনিময় সভায় ক্র্যাব সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল, সাধারণ সম্পাদক এম এম বাদশাহ্ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পুলিশের পক্ষে অতিরিক্ত কমিশনার এস এন মো. নজরুল ইসলাম ও অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শাহ আলমের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় পুলিশ হেফাজতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ডিএমপি জানিয়েছে, তাকে ধরতে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে তার অবস্থান চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।
সারাদেশ: যশোরে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
অপরাধ ও দুর্নীতি: লক্ষ্মীপুরে ঘরে ঢুকে বৃদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যা