মিরপুরে হত্যা মামলা ও মোহাম্মদপুরে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আদালতের নির্দেশ
ঢাকার মিরপুর থানার পৃথক দুই হত্যা মামলায় সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারকে নতুন করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এছাড়া মোহাম্মদপুর থানার একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান এবং সাবেক ২৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সলিমুল্লাহ সলুকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার সকালে কামাল আহমেদ মজুমদারসহ সাবেক বেশ কয়েকজন এমপি-মন্ত্রীকে কারাগার থেকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। তাদের হাতকড়া পরিয়ে, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট এবং হেলমেট পরিয়ে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে আদালতে আনা হয়। শুনানির সময় কামাল আহমেদ মজুমদারকে মিরপুর থানার দুইটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন জানানো হয়। শুনানি শেষে মহানগর হাকিম জি এম ফারহান ইসতিয়াক আবেদন মঞ্জুর করেন।
শুনানির এক ফাঁকে কাঠগড়ায় দাঁড়ানো কামাল আহমেদ মজুমদার তার এক আইনজীবীর কাছে চকলেট খেতে চান। কিছুক্ষণ পর আইনজীবী একটি সাদা কাগজের ব্যাগে চকলেট আনলেও নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের কারণে কাঠগড়ায় তা পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। পরে হাজতখানায় ফেরত নেওয়ার সময় তাকে চকলেট দেওয়া হয়।
কামাল মজুমদারের আইনজীবী আল ইমরান (মুকুল) বলেন, “চকলেট তার খুব পছন্দ এবং তার সুগার লেভেল লো হয়ে যায়। এজন্য তিনি চকলেট চেয়েছিলেন। তবে আদালতের নিয়ম অনুযায়ী সরাসরি চকলেট দেওয়া যায়নি, পরে আইনজীবীর মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হয়।”
এ বিষয়ে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, “আসামিকে বাইরে থেকে কিছু দেওয়া বেআইনি। চকলেট বা অন্য খাবার খাওয়ার পর কোনো সমস্যা হলে তার দায় সরকারের ওপর পড়বে। এমন বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।”
মোহাম্মদপুর থানার একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাদেক খান এবং সলিমুল্লাহ সলুকে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানির সময় পলকের আইনজীবী ফারাজানা ইয়াসমিন রাখি বলেন, “পলক ইতোমধ্যে ৩৪ দিন রিমান্ডে ছিলেন। তাকে বারবার রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে, যা অত্যন্ত অযৌক্তিক।”
রাষ্ট্রপক্ষের পিপি ওমর ফারুক ফারুকী আদালতকে জানান, “আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে। তারা হামলার নির্দেশ দিয়েছেন এবং ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তদন্তের স্বার্থে তাদের রিমান্ড প্রয়োজন।”
শুনানি শেষে বিচারক পলকসহ তিনজনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড শুনানির পরে পলককে কড়া নিরাপত্তায় হাজতখানায় নেওয়া হয়। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পলক রিমান্ড বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে দেওয়া হয় কি না জানতে চাইলে তিনি ‘না’ বলেন।
এর আগে আদালতে পলক গণমাধ্যমকে বলেন, “আমি বৈষম্যের শিকার। কারাগারে আমাকে পরিবারের সাথে ফোনে কথা বলতে দেওয়া হয় না।”
শুনানির দিন নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কঠোরতা লক্ষ্য করা গেছে। সংশ্লিষ্ট মামলাগুলোতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তাধীন।
মিরপুরে হত্যা মামলা ও মোহাম্মদপুরে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আদালতের নির্দেশ
বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
ঢাকার মিরপুর থানার পৃথক দুই হত্যা মামলায় সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারকে নতুন করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এছাড়া মোহাম্মদপুর থানার একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান এবং সাবেক ২৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সলিমুল্লাহ সলুকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার সকালে কামাল আহমেদ মজুমদারসহ সাবেক বেশ কয়েকজন এমপি-মন্ত্রীকে কারাগার থেকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। তাদের হাতকড়া পরিয়ে, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট এবং হেলমেট পরিয়ে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে আদালতে আনা হয়। শুনানির সময় কামাল আহমেদ মজুমদারকে মিরপুর থানার দুইটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন জানানো হয়। শুনানি শেষে মহানগর হাকিম জি এম ফারহান ইসতিয়াক আবেদন মঞ্জুর করেন।
শুনানির এক ফাঁকে কাঠগড়ায় দাঁড়ানো কামাল আহমেদ মজুমদার তার এক আইনজীবীর কাছে চকলেট খেতে চান। কিছুক্ষণ পর আইনজীবী একটি সাদা কাগজের ব্যাগে চকলেট আনলেও নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের কারণে কাঠগড়ায় তা পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। পরে হাজতখানায় ফেরত নেওয়ার সময় তাকে চকলেট দেওয়া হয়।
কামাল মজুমদারের আইনজীবী আল ইমরান (মুকুল) বলেন, “চকলেট তার খুব পছন্দ এবং তার সুগার লেভেল লো হয়ে যায়। এজন্য তিনি চকলেট চেয়েছিলেন। তবে আদালতের নিয়ম অনুযায়ী সরাসরি চকলেট দেওয়া যায়নি, পরে আইনজীবীর মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হয়।”
এ বিষয়ে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, “আসামিকে বাইরে থেকে কিছু দেওয়া বেআইনি। চকলেট বা অন্য খাবার খাওয়ার পর কোনো সমস্যা হলে তার দায় সরকারের ওপর পড়বে। এমন বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।”
মোহাম্মদপুর থানার একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাদেক খান এবং সলিমুল্লাহ সলুকে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানির সময় পলকের আইনজীবী ফারাজানা ইয়াসমিন রাখি বলেন, “পলক ইতোমধ্যে ৩৪ দিন রিমান্ডে ছিলেন। তাকে বারবার রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে, যা অত্যন্ত অযৌক্তিক।”
রাষ্ট্রপক্ষের পিপি ওমর ফারুক ফারুকী আদালতকে জানান, “আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে। তারা হামলার নির্দেশ দিয়েছেন এবং ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তদন্তের স্বার্থে তাদের রিমান্ড প্রয়োজন।”
শুনানি শেষে বিচারক পলকসহ তিনজনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড শুনানির পরে পলককে কড়া নিরাপত্তায় হাজতখানায় নেওয়া হয়। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পলক রিমান্ড বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে দেওয়া হয় কি না জানতে চাইলে তিনি ‘না’ বলেন।
এর আগে আদালতে পলক গণমাধ্যমকে বলেন, “আমি বৈষম্যের শিকার। কারাগারে আমাকে পরিবারের সাথে ফোনে কথা বলতে দেওয়া হয় না।”
শুনানির দিন নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কঠোরতা লক্ষ্য করা গেছে। সংশ্লিষ্ট মামলাগুলোতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তাধীন।