শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংলাপের চেষ্টা, তবে অবরোধ চলমান
তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে আন্দোলনে নামা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করতে চায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এজন্য সোমবার সন্ধ্যায় মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা কলেজ ক্যাম্পাসে উপস্থিত ছিলেন।
কর্মকর্তারা যখন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব নিয়ে ক্যাম্পাসে যান, তখন আন্দোলনকারীরা মহাখালী রেলক্রসিংয়ে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে অবস্থান করছিলেন। পাশাপাশি, কলেজ ফটকের সামনে ‘আমরণ অনশন’ চলছিল।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের (কলেজ শাখা) যুগ্মসচিব নুরুজ্জামান বলেন, “আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থান করছি। বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্ত। তবে অন্যান্য দাবির বিষয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “সরকার আগেই জানিয়েছে, তিতুমীরকে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের সুযোগ এই মুহূর্তে নেই। তবে শিক্ষার্থীরা তা মানতে চাইছেন না। সড়ক অবরোধ করে দাবি আদায়ের পরিস্থিতি এখন নেই।”
তিতুমীর কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জুলকারনাইন বলেন, “মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আমাদের সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানাচ্ছেন, তবে আমরা সড়ক ও রেলপথ ছেড়ে সেখানে যাব না। তারা মহাখালী রেলক্রসিংয়ে এসে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করুক।”
বিকাল ৪টার দিকে মহাখালী রেলক্রসিংয়ে জাহাঙ্গীরগেটের দিকে যাওয়ার সড়কের দুই পাশ ও রেলপথ অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। বনানী থানার ওসি রাসেল সারোয়ার জানান, “আমরা মহাখালী রেলক্রসিংয়ে শিক্ষার্থীদের ঘিরে অবস্থান করছি। উচ্চপর্যায় থেকে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।”
এর আগে দুপুরে আন্দোলনকারীরা কলেজ ফটকের সামনে বাঁশ ফেলে সড়ক অবরোধ করেন।
গত ২৭ জানুয়ারি রাতে ‘তিতুমীর ঐক্য’ নামের প্ল্যাটফর্ম থেকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। দাবি মানা না হলে বৃহস্পতিবার থেকে অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়। একই রাতে ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে আমরণ অনশন’ ব্যানার টাঙিয়ে মূল ফটকের সামনে অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
‘তিতুমীর ঐক্য’র সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ, প্রশাসনিক কাঠামো গঠন করে ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা এবং শিক্ষার্থীদের জন্য শতভাগ আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা বা তাদের আবাসন খরচ বহন করা।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংলাপের চেষ্টা, তবে অবরোধ চলমান
সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে আন্দোলনে নামা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করতে চায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এজন্য সোমবার সন্ধ্যায় মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা কলেজ ক্যাম্পাসে উপস্থিত ছিলেন।
কর্মকর্তারা যখন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব নিয়ে ক্যাম্পাসে যান, তখন আন্দোলনকারীরা মহাখালী রেলক্রসিংয়ে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে অবস্থান করছিলেন। পাশাপাশি, কলেজ ফটকের সামনে ‘আমরণ অনশন’ চলছিল।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের (কলেজ শাখা) যুগ্মসচিব নুরুজ্জামান বলেন, “আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থান করছি। বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্ত। তবে অন্যান্য দাবির বিষয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “সরকার আগেই জানিয়েছে, তিতুমীরকে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের সুযোগ এই মুহূর্তে নেই। তবে শিক্ষার্থীরা তা মানতে চাইছেন না। সড়ক অবরোধ করে দাবি আদায়ের পরিস্থিতি এখন নেই।”
তিতুমীর কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জুলকারনাইন বলেন, “মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আমাদের সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানাচ্ছেন, তবে আমরা সড়ক ও রেলপথ ছেড়ে সেখানে যাব না। তারা মহাখালী রেলক্রসিংয়ে এসে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করুক।”
বিকাল ৪টার দিকে মহাখালী রেলক্রসিংয়ে জাহাঙ্গীরগেটের দিকে যাওয়ার সড়কের দুই পাশ ও রেলপথ অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। বনানী থানার ওসি রাসেল সারোয়ার জানান, “আমরা মহাখালী রেলক্রসিংয়ে শিক্ষার্থীদের ঘিরে অবস্থান করছি। উচ্চপর্যায় থেকে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।”
এর আগে দুপুরে আন্দোলনকারীরা কলেজ ফটকের সামনে বাঁশ ফেলে সড়ক অবরোধ করেন।
গত ২৭ জানুয়ারি রাতে ‘তিতুমীর ঐক্য’ নামের প্ল্যাটফর্ম থেকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। দাবি মানা না হলে বৃহস্পতিবার থেকে অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়। একই রাতে ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে আমরণ অনশন’ ব্যানার টাঙিয়ে মূল ফটকের সামনে অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
‘তিতুমীর ঐক্য’র সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ, প্রশাসনিক কাঠামো গঠন করে ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা এবং শিক্ষার্থীদের জন্য শতভাগ আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা বা তাদের আবাসন খরচ বহন করা।