মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’ বিপুল পরিমাণ অতিরিক্ত ই-মানি তৈরি করে বিদেশি কোম্পানির মাধ্যমে অর্থ পাচার করেছে বলে অভিযোগ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে দুদকের উপপরিচালক রুহুল হকের নেতৃত্বে একটি দল বুধবার দুপুরে ‘নগদ’-এর প্রধান কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, অভিযানের সময় সংশ্লিষ্ট নথি ও বক্তব্য পর্যালোচনা করে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।
৯৭ হাজার এনআইডি ছাড়া হিসাব খোলার অভিযোগ
দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘নগদ’ ৬০০ কোটি টাকার বেশি অনিয়মিত ই-ওয়ালেট লেনদেন করেছে। এছাড়া ট্রাস্ট হিসাবের সঙ্গে মূল হিসাবের গরমিল ধরা পড়েছে। অভিযানের সময় দুদকের দল প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করে, যা পর্যালোচনা করে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
এছাড়া, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ছাড়াই ৯৭ হাজার হিসাব খোলার অভিযোগও পাওয়া গেছে।
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা
২০১৯ সালে ডাক বিভাগের ডিজিটাল লেনদেন সেবা দিতে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস হিসেবে যাত্রা শুরু করে ‘নগদ’। চলতি বছরের জুনে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিষ্ঠানটিকে ডিজিটাল ব্যাংক হিসেবে চূড়ান্ত লাইসেন্স দেয়। তবে, গত আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২১ আগস্ট ‘নগদ’-এর পর্ষদ ভেঙে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক বদিউজ্জামান দিদারকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
বুধবার দুদকের অভিযানের পর বদিউজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, ‘নগদ’-এর বিরুদ্ধে ১,৭০০ কোটি টাকা পাচার এবং ৬৪৫ কোটি টাকার ই-মানি অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে বিকেলে গুলশানের দিকে যাওয়ার পথে তিনি হামলার শিকার হন।
এদিকে, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে মতিঝিল থানায় ‘নগদ’-এর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলায় প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ মিশুকসহ ২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘পেমেন্ট সিস্টেমস’ বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ আমীর খসরুর দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ২১ থেকে ২৫ এপ্রিল বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে ‘নগদ’-এর ট্রাস্ট কাম সেটেলমেন্ট হিসাব থেকে ১০১ কোটি টাকার বেশি ঘাটতি ধরা পড়ে।
বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’ বিপুল পরিমাণ অতিরিক্ত ই-মানি তৈরি করে বিদেশি কোম্পানির মাধ্যমে অর্থ পাচার করেছে বলে অভিযোগ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে দুদকের উপপরিচালক রুহুল হকের নেতৃত্বে একটি দল বুধবার দুপুরে ‘নগদ’-এর প্রধান কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, অভিযানের সময় সংশ্লিষ্ট নথি ও বক্তব্য পর্যালোচনা করে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।
৯৭ হাজার এনআইডি ছাড়া হিসাব খোলার অভিযোগ
দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘নগদ’ ৬০০ কোটি টাকার বেশি অনিয়মিত ই-ওয়ালেট লেনদেন করেছে। এছাড়া ট্রাস্ট হিসাবের সঙ্গে মূল হিসাবের গরমিল ধরা পড়েছে। অভিযানের সময় দুদকের দল প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করে, যা পর্যালোচনা করে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
এছাড়া, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ছাড়াই ৯৭ হাজার হিসাব খোলার অভিযোগও পাওয়া গেছে।
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা
২০১৯ সালে ডাক বিভাগের ডিজিটাল লেনদেন সেবা দিতে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস হিসেবে যাত্রা শুরু করে ‘নগদ’। চলতি বছরের জুনে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিষ্ঠানটিকে ডিজিটাল ব্যাংক হিসেবে চূড়ান্ত লাইসেন্স দেয়। তবে, গত আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২১ আগস্ট ‘নগদ’-এর পর্ষদ ভেঙে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক বদিউজ্জামান দিদারকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
বুধবার দুদকের অভিযানের পর বদিউজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, ‘নগদ’-এর বিরুদ্ধে ১,৭০০ কোটি টাকা পাচার এবং ৬৪৫ কোটি টাকার ই-মানি অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে বিকেলে গুলশানের দিকে যাওয়ার পথে তিনি হামলার শিকার হন।
এদিকে, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে মতিঝিল থানায় ‘নগদ’-এর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলায় প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ মিশুকসহ ২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘পেমেন্ট সিস্টেমস’ বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ আমীর খসরুর দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ২১ থেকে ২৫ এপ্রিল বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে ‘নগদ’-এর ট্রাস্ট কাম সেটেলমেন্ট হিসাব থেকে ১০১ কোটি টাকার বেশি ঘাটতি ধরা পড়ে।