ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফের সংঘর্ষের ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শিগগিরই দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুর থেকে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় এলাকায় দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
বিকাল ৪টার দিকে শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে সরে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে বলে জানান পুলিশের ধানমন্ডি জোনের সহকারী কমিশনার শাহ মোস্তফা তারিকুজ্জামান।
নিউ মার্কেট থানার ওসি মোহসিন উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি এবং বর্তমানে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সিটি কলেজের কাছে গিয়ে ইটপাটকেল ছুড়লে উত্তেজনা শুরু হয়। এর আগে সোমবার ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা মারধর করেছে বলে অভিযোগ ওঠে।
মঙ্গলবার সেই ঘটনার জেরে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সিটি কলেজের একজন শিক্ষার্থীকে মারধর করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সময় গড়ালে উভয় পক্ষ ইটপাটকেল ছুড়ে এবং লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নেয়।
সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে।
এই সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়ে ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখান থেকে ছয়জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানান পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক।
চিকিৎসা নিতে যাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন—আদিব, লিয়ন, ফজলে হাসান, রাজিন, নাজমুস সাকিব, আহসান ও শামীম।
সিটি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আহসান শামীম বলেন, “মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটের দিকে কলেজ বাস থেকে নামার সময় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।”
ঢাকা কলেজের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ফজলে হাসান জানান, “গতকাল আমাদের কলেজের ছোটভাইদের মারধর করে তাদের অশ্লীল ছবি ধারণ করা হয়েছে। সেই ঘটনার জেরেই আজ এই সংঘর্ষ হয়েছে।”
চলতি মাসের ১৫ তারিখেও দুই কলেজের মধ্যে এমন সংঘর্ষ ঘটে। সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ের এক কিলোমিটারের মধ্যে ঢাকা কলেজ, সিটি কলেজ ও আইডিয়াল কলেজ হওয়ায় প্রায় প্রতি বছরই এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারি সিটি কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ২০২৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর সংঘর্ষে আহত হয় ১৮ জন এবং আইডিয়াল কলেজের নামফলক খুলে নেয় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা।
পাঁচদিন পর সেই এলাকায় ঢাকা কলেজের একটি বাস ভাঙচুর করেন আইডিয়ালের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ২০ নভেম্বর ঢাকা কলেজের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা দুটি বাস ভাঙচুর করলে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।
তখন সংঘর্ষে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয় বলে দাবি করে ঢাকা কলেজ।
এই ধরনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ ও পাঁচটি কলেজের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়, যার কাজ ছিল ছোট ছোট সমস্যাগুলোকে বড় সংঘর্ষে রূপ নিতে না দেওয়া। তবু সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবারও সংঘর্ষে জড়াচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফের সংঘর্ষের ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শিগগিরই দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুর থেকে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় এলাকায় দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
বিকাল ৪টার দিকে শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে সরে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে বলে জানান পুলিশের ধানমন্ডি জোনের সহকারী কমিশনার শাহ মোস্তফা তারিকুজ্জামান।
নিউ মার্কেট থানার ওসি মোহসিন উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি এবং বর্তমানে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সিটি কলেজের কাছে গিয়ে ইটপাটকেল ছুড়লে উত্তেজনা শুরু হয়। এর আগে সোমবার ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা মারধর করেছে বলে অভিযোগ ওঠে।
মঙ্গলবার সেই ঘটনার জেরে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সিটি কলেজের একজন শিক্ষার্থীকে মারধর করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সময় গড়ালে উভয় পক্ষ ইটপাটকেল ছুড়ে এবং লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নেয়।
সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে।
এই সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়ে ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখান থেকে ছয়জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানান পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক।
চিকিৎসা নিতে যাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন—আদিব, লিয়ন, ফজলে হাসান, রাজিন, নাজমুস সাকিব, আহসান ও শামীম।
সিটি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আহসান শামীম বলেন, “মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটের দিকে কলেজ বাস থেকে নামার সময় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।”
ঢাকা কলেজের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ফজলে হাসান জানান, “গতকাল আমাদের কলেজের ছোটভাইদের মারধর করে তাদের অশ্লীল ছবি ধারণ করা হয়েছে। সেই ঘটনার জেরেই আজ এই সংঘর্ষ হয়েছে।”
চলতি মাসের ১৫ তারিখেও দুই কলেজের মধ্যে এমন সংঘর্ষ ঘটে। সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ের এক কিলোমিটারের মধ্যে ঢাকা কলেজ, সিটি কলেজ ও আইডিয়াল কলেজ হওয়ায় প্রায় প্রতি বছরই এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারি সিটি কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ২০২৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর সংঘর্ষে আহত হয় ১৮ জন এবং আইডিয়াল কলেজের নামফলক খুলে নেয় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা।
পাঁচদিন পর সেই এলাকায় ঢাকা কলেজের একটি বাস ভাঙচুর করেন আইডিয়ালের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ২০ নভেম্বর ঢাকা কলেজের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা দুটি বাস ভাঙচুর করলে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।
তখন সংঘর্ষে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয় বলে দাবি করে ঢাকা কলেজ।
এই ধরনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ ও পাঁচটি কলেজের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়, যার কাজ ছিল ছোট ছোট সমস্যাগুলোকে বড় সংঘর্ষে রূপ নিতে না দেওয়া। তবু সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবারও সংঘর্ষে জড়াচ্ছে শিক্ষার্থীরা।