বিচার বহির্ভূত হত্যা, গুম, খুন ও দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগে বিদেশে পালিয়ে থাকা বাংলাদেশের সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদকে ধরতে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল) রেড নোটিস জারি করেছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) এনামুল হক সাগর জানান, ১০ এপ্রিল এই রেড নোটিস জারি করে ইন্টারপোল। তবে ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে এখনো বেনজীর আহমেদের ছবি বা নাম দেখা যাচ্ছে না।
এআইজি এনামুল হক সাগর বলেন, “ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে অধিকাংশ রেড নোটিস নিয়ন্ত্রিত, শুধু আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা দেখতে পারে। কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলে বেনজীর আহমেদের নামও সেখানে দেখা যাবে।”
২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করেন বেনজীর আহমেদ। এর আগে তিনি ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত র্যাবের মহাপরিচালক ছিলেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো সাবেক পুলিশ প্রধানের বিরুদ্ধে রেড নোটিস জারি হলো।
তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আগে থেকেই আলোচিত ছিল। ২০২৪ সালের মার্চে সংবাদপত্রে তার বিপুল সম্পদের তথ্য প্রকাশিত হলে আদালত তদন্তের নির্দেশ দেয়। এরপর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বেনজীর ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে এক ডজনের বেশি মামলা করে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বিচার বহির্ভূত হত্যা, গুম, খুনে তার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ নিয়েও তদন্ত চলছে। দুদকের একাধিক তলবের পরও বেনজীর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উপস্থিত হননি। সরকার পরিবর্তনের পরপরই তিনি দেশত্যাগ করেন, যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে দেশের বাইরে থেকে ভার্চুয়াল বৈঠকের মাধ্যমে সমমনাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার খবর প্রকাশিত হলে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এর প্রতিবাদ জানায়।
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
বিচার বহির্ভূত হত্যা, গুম, খুন ও দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগে বিদেশে পালিয়ে থাকা বাংলাদেশের সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদকে ধরতে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল) রেড নোটিস জারি করেছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) এনামুল হক সাগর জানান, ১০ এপ্রিল এই রেড নোটিস জারি করে ইন্টারপোল। তবে ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে এখনো বেনজীর আহমেদের ছবি বা নাম দেখা যাচ্ছে না।
এআইজি এনামুল হক সাগর বলেন, “ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে অধিকাংশ রেড নোটিস নিয়ন্ত্রিত, শুধু আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা দেখতে পারে। কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলে বেনজীর আহমেদের নামও সেখানে দেখা যাবে।”
২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করেন বেনজীর আহমেদ। এর আগে তিনি ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত র্যাবের মহাপরিচালক ছিলেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো সাবেক পুলিশ প্রধানের বিরুদ্ধে রেড নোটিস জারি হলো।
তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আগে থেকেই আলোচিত ছিল। ২০২৪ সালের মার্চে সংবাদপত্রে তার বিপুল সম্পদের তথ্য প্রকাশিত হলে আদালত তদন্তের নির্দেশ দেয়। এরপর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বেনজীর ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে এক ডজনের বেশি মামলা করে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বিচার বহির্ভূত হত্যা, গুম, খুনে তার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ নিয়েও তদন্ত চলছে। দুদকের একাধিক তলবের পরও বেনজীর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উপস্থিত হননি। সরকার পরিবর্তনের পরপরই তিনি দেশত্যাগ করেন, যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে দেশের বাইরে থেকে ভার্চুয়াল বৈঠকের মাধ্যমে সমমনাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার খবর প্রকাশিত হলে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এর প্রতিবাদ জানায়।