ঢাকার মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ ভেঙে ফেলা হচ্ছে—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন যে তথ্য ছড়িয়েছে, তা সঠিক নয়।
স্মৃতিসৌধের রক্ষণাবেক্ষণকারী গণপূর্ত অধিদপ্তর জানিয়েছে, একটি প্রকল্পের আওতায় স্মৃতিসৌধটির আধুনিকায়ন কাজ চলছে।
গত দুই দিন ধরে ফেইসবুকে কিছু পোস্টে দেখা যায়, স্মৃতিসৌধ ‘ভেঙে ফেলা’ হচ্ছে। কেউ কেউ স্মৃতিসৌধের সামনে দাঁড়িয়ে লাইভও দেন। এসব পোস্টের পর বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়।
মিরপুরে গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদ আহসান জানান, এ বিষয়ে তার কাছেও অনেকে ফোন করে জানতে চেয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ঢাকাস্থ মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের আধুনিকায়ন’ নামের একটি প্রকল্পের আওতায় একটি দুই তলা মাল্টিপারপাস ভবন, নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন, মূল স্মৃতিসৌধের জরাজীর্ণ ইটের গাঁথুনি পরিবর্তন এবং সামনের প্লাজার জরাজীর্ণ পেভমেন্টের ইট ও টাইলস পরিবর্তনের কাজ করা হচ্ছে।
“এতে স্মৃতিসৌধের মূল নকশার কোনো পরিবর্তন হবে না। বর্তমান যে নকশা আছে, তাতেই আধুনিকায়ন করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “বিষয়টি নিয়ে একটা ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে, মানুষকে ভুল ধারণা দেওয়া হয়েছে। মূলত ব্যবহারজনিত কারণে স্মৃতিসৌধ এবং সামনের প্লাজার সিরামিকের ইট নষ্ট হয়ে গেছে। তাই সেগুলো পরিবর্তন করা হচ্ছে।
“কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির সময় পানি জমে যায়। এজন্য চারপাশে ড্রেন তৈরি করা হবে এবং প্লাজা কিছুটা উঁচু করা হবে। মাল্টিপারপাস ভবনটি নির্মিত হচ্ছে, যেখানে একটি লাইব্রেরি কাম রেস্ট রুম থাকবে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানকালে এই ভবনে রেস্ট নিতে পারবেন।”
তিনি জানান, এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে এবং ২০২৫ সালের জুন মাসে কাজ শেষ হবে। ১১ কোটি ৭৩ লাখ টাকার এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে কুশলী নির্মাতা লিমিটেড।
সরকারের তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ ভেঙে ফেলার বিষয়টিকে গুজব এবং অসত্য বলে উল্লেখ করেছে।
পিআইডির এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, স্মৃতিসৌধে গণপূর্ত অধিদপ্তরের সংস্কার কাজ চলছে এবং এটি ভাঙার কোনো পরিকল্পনা নেই।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর আল বদর বাহিনীর হাতে নিহত বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে মিরপুরে এই স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। ১৯৭২ সালের ২২ ডিসেম্বর স্মৃতিসৌধের ফলক উন্মোচন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান। স্থপতি ছিলেন মোস্তফা হারুন কুদ্দুস হিলি।
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
ঢাকার মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ ভেঙে ফেলা হচ্ছে—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন যে তথ্য ছড়িয়েছে, তা সঠিক নয়।
স্মৃতিসৌধের রক্ষণাবেক্ষণকারী গণপূর্ত অধিদপ্তর জানিয়েছে, একটি প্রকল্পের আওতায় স্মৃতিসৌধটির আধুনিকায়ন কাজ চলছে।
গত দুই দিন ধরে ফেইসবুকে কিছু পোস্টে দেখা যায়, স্মৃতিসৌধ ‘ভেঙে ফেলা’ হচ্ছে। কেউ কেউ স্মৃতিসৌধের সামনে দাঁড়িয়ে লাইভও দেন। এসব পোস্টের পর বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়।
মিরপুরে গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদ আহসান জানান, এ বিষয়ে তার কাছেও অনেকে ফোন করে জানতে চেয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ঢাকাস্থ মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের আধুনিকায়ন’ নামের একটি প্রকল্পের আওতায় একটি দুই তলা মাল্টিপারপাস ভবন, নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন, মূল স্মৃতিসৌধের জরাজীর্ণ ইটের গাঁথুনি পরিবর্তন এবং সামনের প্লাজার জরাজীর্ণ পেভমেন্টের ইট ও টাইলস পরিবর্তনের কাজ করা হচ্ছে।
“এতে স্মৃতিসৌধের মূল নকশার কোনো পরিবর্তন হবে না। বর্তমান যে নকশা আছে, তাতেই আধুনিকায়ন করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “বিষয়টি নিয়ে একটা ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে, মানুষকে ভুল ধারণা দেওয়া হয়েছে। মূলত ব্যবহারজনিত কারণে স্মৃতিসৌধ এবং সামনের প্লাজার সিরামিকের ইট নষ্ট হয়ে গেছে। তাই সেগুলো পরিবর্তন করা হচ্ছে।
“কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির সময় পানি জমে যায়। এজন্য চারপাশে ড্রেন তৈরি করা হবে এবং প্লাজা কিছুটা উঁচু করা হবে। মাল্টিপারপাস ভবনটি নির্মিত হচ্ছে, যেখানে একটি লাইব্রেরি কাম রেস্ট রুম থাকবে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানকালে এই ভবনে রেস্ট নিতে পারবেন।”
তিনি জানান, এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে এবং ২০২৫ সালের জুন মাসে কাজ শেষ হবে। ১১ কোটি ৭৩ লাখ টাকার এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে কুশলী নির্মাতা লিমিটেড।
সরকারের তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ ভেঙে ফেলার বিষয়টিকে গুজব এবং অসত্য বলে উল্লেখ করেছে।
পিআইডির এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, স্মৃতিসৌধে গণপূর্ত অধিদপ্তরের সংস্কার কাজ চলছে এবং এটি ভাঙার কোনো পরিকল্পনা নেই।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর আল বদর বাহিনীর হাতে নিহত বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে মিরপুরে এই স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। ১৯৭২ সালের ২২ ডিসেম্বর স্মৃতিসৌধের ফলক উন্মোচন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান। স্থপতি ছিলেন মোস্তফা হারুন কুদ্দুস হিলি।