এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন স্টিল মিল, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও ভোজ্যতেল কারখানাসহ ১ হাজার ১৪৯ শতাংশ জমি নিলামে তুলেছে ইসলামী ব্যাংক। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ করপোরেট শাখার আওতায় এসব প্রকল্পের বিপরীতে গ্রুপটির কাছে ব্যাংকের পাওনা রয়েছে ২ হাজার ১৮০ কোটি টাকা।
আজ রোববার রাজধানী ও চট্টগ্রামের স্থানীয় দুটি পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, খাতুনগঞ্জ করপোরেট শাখার গ্রাহক এস আলম কোল্ড রোলড স্টিল লিমিটেড, এস আলম পাওয়ার জেনারেশন ও এস আলম ভেজিটেবল অয়েল প্রকল্পগুলোর বিরুদ্ধে এ নিলামের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এস আলম কোল্ড রোলড স্টিল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওসমান গনি, চেয়ারম্যান আবদুস সামাদ, পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল আলম (এস আলম) ও হালিমা বেগম এবং স্বতন্ত্র পরিচালক সম্পদ কুমার বসাক ও হাসান ইকবাল এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত। এস আলম পাওয়ার জেনারেশনের এমডি মোহাম্মদ শহীদুল আলম, চেয়ারম্যান তৌহিদুল আলম, পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ হাছান ও এখলাসুর রহমান এবং এস আলম ভেজিটেবল অয়েলের এমডি মোহাম্মদ শহীদুল আলম ও চেয়ারম্যান ফারজানা পারভীনও এই তালিকায় রয়েছেন।
২০২৫ সালের ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সুদসহ (ইসলামী ব্যাংকের ভাষায় লভ্যাংশ) এস আলম গ্রুপের কাছে ব্যাংকের পাওনার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। এই পাওনা আদায়ের জন্য অর্থঋণ আদালত আইন ২০০৩–এর ১২ (৩) ধারা অনুযায়ী বন্ধকী সম্পত্তি নিলামে বিক্রির জন্য আগ্রহী ক্রেতাদের কাছ থেকে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
এর আগে ২০ এপ্রিল ইসলামী ব্যাংকের পক্ষ থেকে ৯ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা পাওনা আদায়ের লক্ষ্যে এস আলম গ্রুপের চিনিকলসহ প্রায় ১১ একর সম্পত্তির নিলামের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
২০১৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে ইসলামী ব্যাংক দখল করে নেয় এস আলম গ্রুপ। এরপর গ্রুপটি ব্যাংকটি থেকে নামে-বেনামে এক লাখ কোটি টাকার বেশি তুলে নেয়। তবে বর্তমান সরকার পরিবর্তনের পর গ্রুপটি ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং একের পর এক ঋণ খেলাপি হতে শুরু করে। এর ফলে ব্যাংকটি বড় ধরনের সংকটে পড়ে এবং আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পত্তি নিলামের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। ইসলামী ব্যাংক দখলের পর গ্রুপটি সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকসহ মোট আটটি ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এসব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন এনে গ্রুপটি বিপুল পরিমাণ টাকা তুলে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। সব মিলিয়ে গ্রুপটির হাতিয়ে নেওয়া টাকার পরিমাণ ২ লাখ কোটি টাকার বেশি।
বর্তমানে এসব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন পর্ষদ গঠন করেছে এবং ব্যাংকগুলোর ওপর বিশেষ নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে। নিরীক্ষার পর নির্ধারিত হবে ব্যাংকগুলোর ভবিষ্যৎ।
রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন স্টিল মিল, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও ভোজ্যতেল কারখানাসহ ১ হাজার ১৪৯ শতাংশ জমি নিলামে তুলেছে ইসলামী ব্যাংক। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ করপোরেট শাখার আওতায় এসব প্রকল্পের বিপরীতে গ্রুপটির কাছে ব্যাংকের পাওনা রয়েছে ২ হাজার ১৮০ কোটি টাকা।
আজ রোববার রাজধানী ও চট্টগ্রামের স্থানীয় দুটি পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, খাতুনগঞ্জ করপোরেট শাখার গ্রাহক এস আলম কোল্ড রোলড স্টিল লিমিটেড, এস আলম পাওয়ার জেনারেশন ও এস আলম ভেজিটেবল অয়েল প্রকল্পগুলোর বিরুদ্ধে এ নিলামের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এস আলম কোল্ড রোলড স্টিল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওসমান গনি, চেয়ারম্যান আবদুস সামাদ, পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল আলম (এস আলম) ও হালিমা বেগম এবং স্বতন্ত্র পরিচালক সম্পদ কুমার বসাক ও হাসান ইকবাল এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত। এস আলম পাওয়ার জেনারেশনের এমডি মোহাম্মদ শহীদুল আলম, চেয়ারম্যান তৌহিদুল আলম, পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ হাছান ও এখলাসুর রহমান এবং এস আলম ভেজিটেবল অয়েলের এমডি মোহাম্মদ শহীদুল আলম ও চেয়ারম্যান ফারজানা পারভীনও এই তালিকায় রয়েছেন।
২০২৫ সালের ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সুদসহ (ইসলামী ব্যাংকের ভাষায় লভ্যাংশ) এস আলম গ্রুপের কাছে ব্যাংকের পাওনার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। এই পাওনা আদায়ের জন্য অর্থঋণ আদালত আইন ২০০৩–এর ১২ (৩) ধারা অনুযায়ী বন্ধকী সম্পত্তি নিলামে বিক্রির জন্য আগ্রহী ক্রেতাদের কাছ থেকে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
এর আগে ২০ এপ্রিল ইসলামী ব্যাংকের পক্ষ থেকে ৯ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা পাওনা আদায়ের লক্ষ্যে এস আলম গ্রুপের চিনিকলসহ প্রায় ১১ একর সম্পত্তির নিলামের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
২০১৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে ইসলামী ব্যাংক দখল করে নেয় এস আলম গ্রুপ। এরপর গ্রুপটি ব্যাংকটি থেকে নামে-বেনামে এক লাখ কোটি টাকার বেশি তুলে নেয়। তবে বর্তমান সরকার পরিবর্তনের পর গ্রুপটি ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং একের পর এক ঋণ খেলাপি হতে শুরু করে। এর ফলে ব্যাংকটি বড় ধরনের সংকটে পড়ে এবং আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পত্তি নিলামের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। ইসলামী ব্যাংক দখলের পর গ্রুপটি সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকসহ মোট আটটি ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এসব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন এনে গ্রুপটি বিপুল পরিমাণ টাকা তুলে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। সব মিলিয়ে গ্রুপটির হাতিয়ে নেওয়া টাকার পরিমাণ ২ লাখ কোটি টাকার বেশি।
বর্তমানে এসব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন পর্ষদ গঠন করেছে এবং ব্যাংকগুলোর ওপর বিশেষ নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে। নিরীক্ষার পর নির্ধারিত হবে ব্যাংকগুলোর ভবিষ্যৎ।