ঈদের ছুটি শেষে আবারও আন্দোলনে নেমেছেন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ বাতিল না হলে মঙ্গলবার বাদামতলায় বড় জমায়েতের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম।
সোমবার জনপ্রশাসন ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নতুন ভবনের নিচে আয়োজিত এক সমাবেশে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন ঐক্য ফোরামের নেতারা।
ফোরামের কো-মহাসচিব মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, “মঙ্গলবার প্রতিটি মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা মিছিল নিয়ে আসবেন। উপদেষ্টা দপ্তর, সচিবের দপ্তর এবং প্রশাসন শাখা থেকেও মিছিল বের হবে। দরকার হলে টেনেহেঁচড়ে নিয়ে আসবেন। সকাল ১১টায় বাদামতলায় মিলিত হবেন।”
আইন উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “তিনি বললেন, আইন পাসের সময় দেশে ছিলেন না। যেন তিনি থাকলে এই আইন হতো না। এসব মন্তব্যে মানুষ বিভ্রান্ত হয়। আমাদের মনে আগুন লাগানোর অধিকার তাকে কে দিয়েছে?”
সেলিম আরও বলেন, “আমরা মাস্তান না, রাজপথে চিৎকার করার লোকও না। আমাদের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অশান্ত করলেন কেন? এই সরকারের ভেতরেও ফ্যাসিস্ট মানসিকতা আছে—আমরাও তা চিনি।”
চলতি বছরের ৭ জুন কোরবানির ঈদ উদযাপিত হয়। সরকার ৫ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত টানা ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করে। ছুটি শেষে রোববার কর্মদিবসে আন্দোলনের নেতা সেলিম বলেন, “আজ কোনো কর্মসূচি নেই, শুধু কোলাকুলি।”
২২ মে উপদেষ্টা পরিষদ সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের প্রস্তাবে সম্মতি দিলে, ২৫ মে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে অধ্যাদেশ জারি করা হয়। সেখানে নতুন ‘৩৭ক’ ধারা যোগ করে শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়।
এ ধারায় বলা হয়, কোনো কর্মকর্তা অনানুগত্যমূলক আচরণ করলে বা কর্মস্থলে ছুটির বাইরে অনুপস্থিত থাকলে কিংবা অন্যকে কাজে বাধা দিলে, তার বিরুদ্ধে পদাবনতি, চাকরিচ্যুতি বা বরখাস্তের ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
কো-চেয়ারম্যান বাদিউল কবীর বলেন, “সচিবালয়ের কর্মকর্তারা খুবই আনুগত্যপরায়ণ। তাদের অহেতুক উত্তেজিত করা হচ্ছে। সরকার যেন কোনো টালবাহানা না করে এই আইন বাতিল করে।”
আরেক কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, “আমরা মহার্ঘ ভাতা, পদবি পরিবর্তন ও সচিবালয় ভাতা চেয়েছিলাম। এর জবাবে সরকার অভিন্ন নিয়োগবিধি ও কালো অধ্যাদেশ নিয়ে এসেছে। এখন আর কোনো অধিকার তাদের নেই। এই প্রতারণা বন্ধ করতে হবে।”
এ সময় ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রত্যাখ্যান করে নুরুল বলেন, “এই সুবিধা আসলে প্রতারণা। আমরা বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশে যেতে বাধ্য হব।”
মিছিল শেষে গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের দপ্তরে স্মারকলিপি দেন কর্মচারীরা।
অধ্যাদেশ অনুযায়ী, অনানুগত্য সৃষ্টি বা অন্যকে কাজে বাধা দিলে তা দণ্ডনীয় অপরাধ। এসব অপরাধে সাত দিন সময় দিয়ে কারণ দর্শানোর সুযোগ থাকলেও, উত্তরে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না এলে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে। তবে রাষ্ট্রপতির কাছে আপিল করার সুযোগ রাখা হয়েছে।
এ অধ্যাদেশকে ‘নিবর্তনমূলক কালো আইন’ দাবি করে কর্মচারীরা এর সম্পূর্ণ বাতিল চান। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কয়েকজন সচিব। বিষয়টি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে তোলা হয়।
এর মাঝে একদিন আন্দোলন স্থগিত ছিল। পরে প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেন আন্দোলনকারীরা।
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
ঈদের ছুটি শেষে আবারও আন্দোলনে নেমেছেন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ বাতিল না হলে মঙ্গলবার বাদামতলায় বড় জমায়েতের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম।
সোমবার জনপ্রশাসন ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নতুন ভবনের নিচে আয়োজিত এক সমাবেশে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন ঐক্য ফোরামের নেতারা।
ফোরামের কো-মহাসচিব মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, “মঙ্গলবার প্রতিটি মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা মিছিল নিয়ে আসবেন। উপদেষ্টা দপ্তর, সচিবের দপ্তর এবং প্রশাসন শাখা থেকেও মিছিল বের হবে। দরকার হলে টেনেহেঁচড়ে নিয়ে আসবেন। সকাল ১১টায় বাদামতলায় মিলিত হবেন।”
আইন উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “তিনি বললেন, আইন পাসের সময় দেশে ছিলেন না। যেন তিনি থাকলে এই আইন হতো না। এসব মন্তব্যে মানুষ বিভ্রান্ত হয়। আমাদের মনে আগুন লাগানোর অধিকার তাকে কে দিয়েছে?”
সেলিম আরও বলেন, “আমরা মাস্তান না, রাজপথে চিৎকার করার লোকও না। আমাদের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অশান্ত করলেন কেন? এই সরকারের ভেতরেও ফ্যাসিস্ট মানসিকতা আছে—আমরাও তা চিনি।”
চলতি বছরের ৭ জুন কোরবানির ঈদ উদযাপিত হয়। সরকার ৫ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত টানা ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করে। ছুটি শেষে রোববার কর্মদিবসে আন্দোলনের নেতা সেলিম বলেন, “আজ কোনো কর্মসূচি নেই, শুধু কোলাকুলি।”
২২ মে উপদেষ্টা পরিষদ সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের প্রস্তাবে সম্মতি দিলে, ২৫ মে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে অধ্যাদেশ জারি করা হয়। সেখানে নতুন ‘৩৭ক’ ধারা যোগ করে শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়।
এ ধারায় বলা হয়, কোনো কর্মকর্তা অনানুগত্যমূলক আচরণ করলে বা কর্মস্থলে ছুটির বাইরে অনুপস্থিত থাকলে কিংবা অন্যকে কাজে বাধা দিলে, তার বিরুদ্ধে পদাবনতি, চাকরিচ্যুতি বা বরখাস্তের ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
কো-চেয়ারম্যান বাদিউল কবীর বলেন, “সচিবালয়ের কর্মকর্তারা খুবই আনুগত্যপরায়ণ। তাদের অহেতুক উত্তেজিত করা হচ্ছে। সরকার যেন কোনো টালবাহানা না করে এই আইন বাতিল করে।”
আরেক কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, “আমরা মহার্ঘ ভাতা, পদবি পরিবর্তন ও সচিবালয় ভাতা চেয়েছিলাম। এর জবাবে সরকার অভিন্ন নিয়োগবিধি ও কালো অধ্যাদেশ নিয়ে এসেছে। এখন আর কোনো অধিকার তাদের নেই। এই প্রতারণা বন্ধ করতে হবে।”
এ সময় ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রত্যাখ্যান করে নুরুল বলেন, “এই সুবিধা আসলে প্রতারণা। আমরা বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশে যেতে বাধ্য হব।”
মিছিল শেষে গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের দপ্তরে স্মারকলিপি দেন কর্মচারীরা।
অধ্যাদেশ অনুযায়ী, অনানুগত্য সৃষ্টি বা অন্যকে কাজে বাধা দিলে তা দণ্ডনীয় অপরাধ। এসব অপরাধে সাত দিন সময় দিয়ে কারণ দর্শানোর সুযোগ থাকলেও, উত্তরে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না এলে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে। তবে রাষ্ট্রপতির কাছে আপিল করার সুযোগ রাখা হয়েছে।
এ অধ্যাদেশকে ‘নিবর্তনমূলক কালো আইন’ দাবি করে কর্মচারীরা এর সম্পূর্ণ বাতিল চান। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কয়েকজন সচিব। বিষয়টি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে তোলা হয়।
এর মাঝে একদিন আন্দোলন স্থগিত ছিল। পরে প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেন আন্দোলনকারীরা।