ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত চার শিশু ও তরুণের মৃত্যু হয়েছে। এতে এ বছর মশাবাহিত এ রোগে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১১৪ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া চারজনই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছে ৪ ও ৭ বছর বয়সী দুই মেয়ে। মুগদা মেডিকেলে মারা গেছেন ২৬ বছর বয়সী এক তরুণী, আর ঢাকা মেডিকেলে মারা গেছে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোর।
ডেঙ্গুতে এ বছর সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে জুলাই মাসে—৪১ জন। অগাস্টের ২৩ তারিখ পর্যন্ত মারা গেছেন ৩১ জন, জুনে ১৯ জন, জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিন জন, এপ্রিলে সাত জন এবং মে মাসে তিন জন। মার্চ মাসে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।
গত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২৪৭ জন। এতে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৮ হাজার ২০২ জনে। তবে অনেক রোগী হাসপাতালে ভর্তি না হওয়ায় আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা জানা সম্ভব হয় না।
এ বছর জুলাই মাসে হাসপাতালে ভর্তি রোগী ছিলেন সর্বাধিক—১০ হাজার ৬৮৪ জন। জুনে ভর্তি হন ৫৯৫১ জন, জানুয়ারিতে ১১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জন, মার্চে ৩৩৬ জন, এপ্রিলে ৭০১ জন এবং মে মাসে ১৭৭৩ জন। অগাস্টের ২৩ দিনে হাসপাতালে গেছেন ৭২২২ জন রোগী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শনিবারের বুলেটিনে বলা হয়েছে, নতুন ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ১০০ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ৩১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে তিন জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৭ জন এবং বরিশাল বিভাগে ৫৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১৩০৭ জন রোগী। এর মধ্যে ঢাকায় ৪৪০ জন এবং ঢাকার বাইরে ৮৬৭ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ২০০০ সাল থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য সংরক্ষণ করে আসছে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে সর্বাধিক ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এবং মৃত্যুও হয়েছিল সর্বোচ্চ ১৭০৫ জনের।
শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫
ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত চার শিশু ও তরুণের মৃত্যু হয়েছে। এতে এ বছর মশাবাহিত এ রোগে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১১৪ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া চারজনই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছে ৪ ও ৭ বছর বয়সী দুই মেয়ে। মুগদা মেডিকেলে মারা গেছেন ২৬ বছর বয়সী এক তরুণী, আর ঢাকা মেডিকেলে মারা গেছে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোর।
ডেঙ্গুতে এ বছর সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে জুলাই মাসে—৪১ জন। অগাস্টের ২৩ তারিখ পর্যন্ত মারা গেছেন ৩১ জন, জুনে ১৯ জন, জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিন জন, এপ্রিলে সাত জন এবং মে মাসে তিন জন। মার্চ মাসে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।
গত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২৪৭ জন। এতে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৮ হাজার ২০২ জনে। তবে অনেক রোগী হাসপাতালে ভর্তি না হওয়ায় আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা জানা সম্ভব হয় না।
এ বছর জুলাই মাসে হাসপাতালে ভর্তি রোগী ছিলেন সর্বাধিক—১০ হাজার ৬৮৪ জন। জুনে ভর্তি হন ৫৯৫১ জন, জানুয়ারিতে ১১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জন, মার্চে ৩৩৬ জন, এপ্রিলে ৭০১ জন এবং মে মাসে ১৭৭৩ জন। অগাস্টের ২৩ দিনে হাসপাতালে গেছেন ৭২২২ জন রোগী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শনিবারের বুলেটিনে বলা হয়েছে, নতুন ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ১০০ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ৩১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে তিন জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৭ জন এবং বরিশাল বিভাগে ৫৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১৩০৭ জন রোগী। এর মধ্যে ঢাকায় ৪৪০ জন এবং ঢাকার বাইরে ৮৬৭ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ২০০০ সাল থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য সংরক্ষণ করে আসছে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে সর্বাধিক ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এবং মৃত্যুও হয়েছিল সর্বোচ্চ ১৭০৫ জনের।