চলমান কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার অভিযোগ তুলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ক্ষমা চাওয়াসহ পাঁচ দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা। সকাল থেকে তারা সড়ক অবরোধ করে অবস্থান করছেন।
বিএসসি ও ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের দাবির ‘যৌক্তিকতা’ যাচাইয়ে সরকারের গঠিত কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষার্থীরা ‘পুলিশের হামলায় আহত’ শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। অন্য দাবির মধ্যে রয়েছে হামলাকারী পুলিশ সদস্যদের আইনের আওতায় এনে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টায় শাহবাগের অদূরে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে ব্রিফিংয়ে আন্দোলনকারীরা এ দাবিসমূহ তুলে ধরেন। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ বলেন, “আমাদের দাবিগুলো মেনে নেওয়া না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দেব। দাবি মেনে নেওয়া পর্যন্ত ঢাকা ও ঢাকার বাইরের সব শিক্ষার্থী এখানে অবস্থান করব।”
গত কয়েকদিন ধরেই বুয়েটসহ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারীদের প্রকৌশলী (ইঞ্জিনিয়ার) লেখাসহ তিন দাবিতে কর্মসূচি পালন করছেন। মঙ্গলবার বিকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শাহবাগ মোড় অবরোধের পর ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে সড়ক ছাড়েন।
বুধবার বেলা ১১টায় দ্বিতীয় দিনের মত শিক্ষার্থীরা শাহবাগের প্রধান সড়কে অবস্থান নেন। এতে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যানজট ছড়িয়ে পড়ে। পরে দুপুর দেড়টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যুমনা অভিমুখে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদুনে গ্যাস ব্যবহার করে ছত্রভঙ্গ করে। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীদের দাবি, ৫০ থেকে ৬০ জন আহত হয়েছেন।
আন্দোলন শিক্ষার্থীরা পুলিশের উপর ‘আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’ স্লোগানও দেন। এদিন আন্দোলনের মধ্যেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রকৌশল পেশায় বিএসসি ডিগ্রিধারী ও ডিপ্লোমাধারীদের পেশাগত দাবিগুলোর যৌক্তিকতা পরীক্ষা করে সুপারিশ দিতে কমিটি গঠন করেছে। তবে শিক্ষার্থীরা ব্রিফিংয়ে কমিটিকে ‘অনুপযুক্ত’ দাবি করে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
বিকালের ব্রিফিংয়ে আন্দোলনকারীরা তুলে ধরা পাঁচ দফা দাবি হলো—
১. স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার কারণে ক্ষমা চাওয়ার ও জবাবদিহি করতে হবে।
২. বিএসসি ও ডিপ্লোমাধারীদের পেশাগত দাবির যৌক্তিকতা পরীক্ষা করতে গঠিত কমিটি ‘অনুপযুক্ত’; আন্দোলনকারীদের ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করে কমিটি সংস্কার করতে হবে। তিন উপদেষ্টা আন্দোলনকারীদের সামনে এসে নিশ্চয়তা দিতে হবে।
৩. হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং চিকিৎসার ব্যয়ভার সরকারের পক্ষ থেকে বহন করা; আন্দোলন চলাকালীন সব শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত ও আর পুলিশি হামলা না করার নিশ্চয়তা দেওয়া।
৪. আন্দোলনকারীদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় আনা।
৫. হামলাকারী পুলিশ সদস্যদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা।
এর আগে মঙ্গলবার শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবিতে শাহবাগ অবরোধ করেছিলেন—
নবম গ্রেড সহকারী প্রকৌশলী পদে কেবল পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ ও ন্যূনতম যোগ্যতা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার।
দশম গ্রেডে কেবল ডিপ্লোমাধারীদের জন্য আবেদন, উচ্চ ডিগ্রিধারীদেরও আবেদন করার সুযোগ।
শুধুমাত্র বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারীরা প্রকৌশলী (ইঞ্জিনিয়ার) হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন।
বুধবার, ২৭ আগস্ট ২০২৫
চলমান কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার অভিযোগ তুলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ক্ষমা চাওয়াসহ পাঁচ দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা। সকাল থেকে তারা সড়ক অবরোধ করে অবস্থান করছেন।
বিএসসি ও ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের দাবির ‘যৌক্তিকতা’ যাচাইয়ে সরকারের গঠিত কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষার্থীরা ‘পুলিশের হামলায় আহত’ শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। অন্য দাবির মধ্যে রয়েছে হামলাকারী পুলিশ সদস্যদের আইনের আওতায় এনে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টায় শাহবাগের অদূরে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে ব্রিফিংয়ে আন্দোলনকারীরা এ দাবিসমূহ তুলে ধরেন। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ বলেন, “আমাদের দাবিগুলো মেনে নেওয়া না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দেব। দাবি মেনে নেওয়া পর্যন্ত ঢাকা ও ঢাকার বাইরের সব শিক্ষার্থী এখানে অবস্থান করব।”
গত কয়েকদিন ধরেই বুয়েটসহ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারীদের প্রকৌশলী (ইঞ্জিনিয়ার) লেখাসহ তিন দাবিতে কর্মসূচি পালন করছেন। মঙ্গলবার বিকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শাহবাগ মোড় অবরোধের পর ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে সড়ক ছাড়েন।
বুধবার বেলা ১১টায় দ্বিতীয় দিনের মত শিক্ষার্থীরা শাহবাগের প্রধান সড়কে অবস্থান নেন। এতে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যানজট ছড়িয়ে পড়ে। পরে দুপুর দেড়টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যুমনা অভিমুখে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদুনে গ্যাস ব্যবহার করে ছত্রভঙ্গ করে। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীদের দাবি, ৫০ থেকে ৬০ জন আহত হয়েছেন।
আন্দোলন শিক্ষার্থীরা পুলিশের উপর ‘আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’ স্লোগানও দেন। এদিন আন্দোলনের মধ্যেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রকৌশল পেশায় বিএসসি ডিগ্রিধারী ও ডিপ্লোমাধারীদের পেশাগত দাবিগুলোর যৌক্তিকতা পরীক্ষা করে সুপারিশ দিতে কমিটি গঠন করেছে। তবে শিক্ষার্থীরা ব্রিফিংয়ে কমিটিকে ‘অনুপযুক্ত’ দাবি করে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
বিকালের ব্রিফিংয়ে আন্দোলনকারীরা তুলে ধরা পাঁচ দফা দাবি হলো—
১. স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার কারণে ক্ষমা চাওয়ার ও জবাবদিহি করতে হবে।
২. বিএসসি ও ডিপ্লোমাধারীদের পেশাগত দাবির যৌক্তিকতা পরীক্ষা করতে গঠিত কমিটি ‘অনুপযুক্ত’; আন্দোলনকারীদের ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করে কমিটি সংস্কার করতে হবে। তিন উপদেষ্টা আন্দোলনকারীদের সামনে এসে নিশ্চয়তা দিতে হবে।
৩. হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং চিকিৎসার ব্যয়ভার সরকারের পক্ষ থেকে বহন করা; আন্দোলন চলাকালীন সব শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত ও আর পুলিশি হামলা না করার নিশ্চয়তা দেওয়া।
৪. আন্দোলনকারীদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় আনা।
৫. হামলাকারী পুলিশ সদস্যদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা।
এর আগে মঙ্গলবার শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবিতে শাহবাগ অবরোধ করেছিলেন—
নবম গ্রেড সহকারী প্রকৌশলী পদে কেবল পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ ও ন্যূনতম যোগ্যতা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার।
দশম গ্রেডে কেবল ডিপ্লোমাধারীদের জন্য আবেদন, উচ্চ ডিগ্রিধারীদেরও আবেদন করার সুযোগ।
শুধুমাত্র বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারীরা প্রকৌশলী (ইঞ্জিনিয়ার) হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন।