বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ১ মিনিটে শাহবাগ মোড় থেকে মানিক মিয়া এভিনিউ অভিমুখে বাসস্থান, কর্মক্ষেত্র ও গণপরিবহনসহ সব জায়গায় নারীর জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতের দাবিতে রাজধানীতে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছেন নারীরা।
‘শেকল ভাঙার পদযাত্রা’ নামে এই কর্মসূচি থেকে সাক্ষ্য আইনের ১৫৫ (৪) ধারাকে যৌন নিপীড়ন এবং ধর্ষণবান্ধব উল্লেখ করে এটি বাতিলের দাবিও জানিয়েছেন তারা।
এতে সংহতি জানান বিভিন্ন পেশাজীবী, শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও শিল্পীরা। পদযাত্রাটি রাত ১টা ৪৫ মিনিটে মানিক মিয়া এভিনিউতে পৌঁছায়। পরে সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন নারীরা। এছাড়া সাক্ষ্য আইন (১৮৭২) এর ১৫৫ (৪) ধারা বাতিলের দাবিতে গণস্বাক্ষরও সংগ্রহ করা হয়।
‘শেকল ভাঙার পদযাত্রা’র অন্যতম সংগঠক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী প্রাপ্তি তাপসী বলেন, ‘জাতি-ধর্ম-বর্ণ-রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে শুধুমাত্র লৈঙ্গিক পরিচয়ের কারণে নারীদের জুলুম-অত্যাচার-বৈষম্য সহ্য করতে হয়। প্রতিনিয়ত নিপীড়নের বিচার চাইতে গেলে ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট খুলে দেখাতে বলে এই রাষ্ট্র। এর বিরুদ্ধে আমাদের এই প্রতিবাদ। অবিলম্বে স্বাক্ষ্য আইন (১৮৭২) এর ১৫৫ (৪) ধারাটি বাতিল করার সুস্পষ্ট দাবি নিয়ে নারীদের এই পদযাত্রা।’
ব্রিটিশ আমলে প্রণীত সাক্ষ্য আইনের ১৫৫(৪) ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোন ব্যক্তি যখন বলাৎকার বা শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে ফৌজদারি মামলার মুখোমুখি হন, তখন দেখানো যেতে পারে যে, অভিযোগকারিণী সাধারণভাবে দুশ্চরিত্র নারী।’
শুক্রবার, ১২ নভেম্বর ২০২১
বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ১ মিনিটে শাহবাগ মোড় থেকে মানিক মিয়া এভিনিউ অভিমুখে বাসস্থান, কর্মক্ষেত্র ও গণপরিবহনসহ সব জায়গায় নারীর জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতের দাবিতে রাজধানীতে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছেন নারীরা।
‘শেকল ভাঙার পদযাত্রা’ নামে এই কর্মসূচি থেকে সাক্ষ্য আইনের ১৫৫ (৪) ধারাকে যৌন নিপীড়ন এবং ধর্ষণবান্ধব উল্লেখ করে এটি বাতিলের দাবিও জানিয়েছেন তারা।
এতে সংহতি জানান বিভিন্ন পেশাজীবী, শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও শিল্পীরা। পদযাত্রাটি রাত ১টা ৪৫ মিনিটে মানিক মিয়া এভিনিউতে পৌঁছায়। পরে সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন নারীরা। এছাড়া সাক্ষ্য আইন (১৮৭২) এর ১৫৫ (৪) ধারা বাতিলের দাবিতে গণস্বাক্ষরও সংগ্রহ করা হয়।
‘শেকল ভাঙার পদযাত্রা’র অন্যতম সংগঠক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী প্রাপ্তি তাপসী বলেন, ‘জাতি-ধর্ম-বর্ণ-রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে শুধুমাত্র লৈঙ্গিক পরিচয়ের কারণে নারীদের জুলুম-অত্যাচার-বৈষম্য সহ্য করতে হয়। প্রতিনিয়ত নিপীড়নের বিচার চাইতে গেলে ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট খুলে দেখাতে বলে এই রাষ্ট্র। এর বিরুদ্ধে আমাদের এই প্রতিবাদ। অবিলম্বে স্বাক্ষ্য আইন (১৮৭২) এর ১৫৫ (৪) ধারাটি বাতিল করার সুস্পষ্ট দাবি নিয়ে নারীদের এই পদযাত্রা।’
ব্রিটিশ আমলে প্রণীত সাক্ষ্য আইনের ১৫৫(৪) ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোন ব্যক্তি যখন বলাৎকার বা শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে ফৌজদারি মামলার মুখোমুখি হন, তখন দেখানো যেতে পারে যে, অভিযোগকারিণী সাধারণভাবে দুশ্চরিত্র নারী।’