অর্ধেক ভাড়া মনে করিয়ে দিতে হয় অভিযোগ শিক্ষার্থীদের
রাজধানীর গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এখনো বন্ধ হয়নি। মনে করিয়ে না দিলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেও অর্ধেক ভাড়া নেয় না বাস স্টাফরা। তাই অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের জন্য অর্ধেক ভাড়া কার্যকরে তদারকি কমিটি গঠন করেছে পরিবহন মালিক সমিতি ও সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি)।
মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) বিআরটিসি’র কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে সংস্থার চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সারা দেশেই বিআরটিসির বাসে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া কার্যকর করা হয়েছে। হাফ ভাড়া আদায়ে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য প্রতিদিন বিভিন্ন বাস ডিপোর ম্যানেজার ও ইউনিট প্রধান তদারকি করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকায় প্রতিদিন ১০টি বাস পরিদর্শন করছেন। এ কারণে বিআরটিসির বাসে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নিয়ে সমস্যা হচ্ছে না। হাফ ভাড়ার বিষয়টি বিআরটিসি প্রধান কার্যালয় থেকে তদারকি করা হচ্ছে, প্রতিদিন তদারকির পর পরিস্থিতি বুঝে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘গত ১ ডিসেম্বর থেকে এই হাফ ভাড়া কার্যকর হয়েছে। যখন শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া আন্দোলন শুরু হয়েছিল- তখন মন্ত্রী ও সচিব মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক দেশে অনানুষ্ঠানিকভাবে আমরা হাফ ভাড়া চালু করি। আমরা আমাদের সংশ্লিষ্ট সব ডিপো ম্যানেজারসহ অংশীজনদের বলে দিয়েছি-বিআরটিসির বাসে কোনো শিক্ষার্থী যদি উঠে, তারা যদি হাফ ভাড়া দিতে চায়-কোনো বাক-বিতন্ডায় জড়ানো যাবে না। তারা যে পরিমাণ ভাড়া দিতে চাইবে তা নিতে বাধ্য থাকবে।’
বিআরটিসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিআরটিসির প্রধান কার্যালয় থেকে মনিটরিং করছি আমরা। ঢাকার বিষয়ে আমরা অত্যন্ত সতর্ক। ঢাকায় প্রতিনিয়ত আমাদের প্রধান কার্যালয় থেকে প্রত্যেক দিন কমপক্ষে তিনটি টিম বের হচ্ছে। প্রত্যেক ডিপো ম্যানেজার প্রত্যেক দিন ১০টি বাস পরিদর্শন করছেন, প্রতিবেদন দিচ্ছেন। সেগুলো আমরা বিআরটিসি প্রধান কার্যালয় থেকে সমন্বয় করি। আমরা অফিসের সময় শেষে রাত ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করি-পরিস্থিতি বুঝে কঠোর নির্দেশনা দেই। এ কারণে এখন পর্যন্ত হাফ ভাড়া নিয়ে বিআরটিসির বাসে সমস্যা দেখা যায়নি।’
মঙ্গলবার সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘ঢাকা মহানগরীতে বাসে চার্ট অনুযায়ী ভাড়া আদায় ও শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়া কার্যকর তদারকির জন্য মালিক-শ্রমিকদের সমন্বয়ে ৯টি ভিজিল্যান্স টিম গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে পর্যবেক্ষণ করছে। এরপর অনেক পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়া না নেয়া অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তাই সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)’র তালিকা অনুযায়ী ভাড়া আদায় ও শিক্ষার্ধীদের জন্য অর্ধেক ভাড়ার আদায়ের কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আজমল উদ্দীন আহমেদ সবুর ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।
সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, ‘গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়া কার্যকর হওয়ায় বাসে ছাত্র-ছাত্রীদের কম উঠাতে দেখা গেছে। ছাত্র-ছাত্রী দেখলেই বাসে জায়গা নেই বলে হেলপাররা তাদের সরিয়ে দিতে দেখা গেছে। অনেক শিক্ষার্থীদের অভিযোগ করেন দাঁড়িয়ে ও গাদাগাদি যাত্রী পরিবহনের কারণে অনেকেই বাসে উঠতে পারে না। গত ১ ডিসেম্বর পর হাফ ভাড়া ঘোষণা করা হয়। কিন্তু মনে না করি দিলে অর্ধেক ভাড়া নেয় না বলে শিক্ষার্থীরা জানান।
অর্ধেক ভাড়া মনে করিয়ে দিতে হয় অভিযোগ শিক্ষার্থীদের
মঙ্গলবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২১
রাজধানীর গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এখনো বন্ধ হয়নি। মনে করিয়ে না দিলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেও অর্ধেক ভাড়া নেয় না বাস স্টাফরা। তাই অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের জন্য অর্ধেক ভাড়া কার্যকরে তদারকি কমিটি গঠন করেছে পরিবহন মালিক সমিতি ও সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি)।
মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) বিআরটিসি’র কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে সংস্থার চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সারা দেশেই বিআরটিসির বাসে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া কার্যকর করা হয়েছে। হাফ ভাড়া আদায়ে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য প্রতিদিন বিভিন্ন বাস ডিপোর ম্যানেজার ও ইউনিট প্রধান তদারকি করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকায় প্রতিদিন ১০টি বাস পরিদর্শন করছেন। এ কারণে বিআরটিসির বাসে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নিয়ে সমস্যা হচ্ছে না। হাফ ভাড়ার বিষয়টি বিআরটিসি প্রধান কার্যালয় থেকে তদারকি করা হচ্ছে, প্রতিদিন তদারকির পর পরিস্থিতি বুঝে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘গত ১ ডিসেম্বর থেকে এই হাফ ভাড়া কার্যকর হয়েছে। যখন শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া আন্দোলন শুরু হয়েছিল- তখন মন্ত্রী ও সচিব মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক দেশে অনানুষ্ঠানিকভাবে আমরা হাফ ভাড়া চালু করি। আমরা আমাদের সংশ্লিষ্ট সব ডিপো ম্যানেজারসহ অংশীজনদের বলে দিয়েছি-বিআরটিসির বাসে কোনো শিক্ষার্থী যদি উঠে, তারা যদি হাফ ভাড়া দিতে চায়-কোনো বাক-বিতন্ডায় জড়ানো যাবে না। তারা যে পরিমাণ ভাড়া দিতে চাইবে তা নিতে বাধ্য থাকবে।’
বিআরটিসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিআরটিসির প্রধান কার্যালয় থেকে মনিটরিং করছি আমরা। ঢাকার বিষয়ে আমরা অত্যন্ত সতর্ক। ঢাকায় প্রতিনিয়ত আমাদের প্রধান কার্যালয় থেকে প্রত্যেক দিন কমপক্ষে তিনটি টিম বের হচ্ছে। প্রত্যেক ডিপো ম্যানেজার প্রত্যেক দিন ১০টি বাস পরিদর্শন করছেন, প্রতিবেদন দিচ্ছেন। সেগুলো আমরা বিআরটিসি প্রধান কার্যালয় থেকে সমন্বয় করি। আমরা অফিসের সময় শেষে রাত ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করি-পরিস্থিতি বুঝে কঠোর নির্দেশনা দেই। এ কারণে এখন পর্যন্ত হাফ ভাড়া নিয়ে বিআরটিসির বাসে সমস্যা দেখা যায়নি।’
মঙ্গলবার সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘ঢাকা মহানগরীতে বাসে চার্ট অনুযায়ী ভাড়া আদায় ও শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়া কার্যকর তদারকির জন্য মালিক-শ্রমিকদের সমন্বয়ে ৯টি ভিজিল্যান্স টিম গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে পর্যবেক্ষণ করছে। এরপর অনেক পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়া না নেয়া অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তাই সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)’র তালিকা অনুযায়ী ভাড়া আদায় ও শিক্ষার্ধীদের জন্য অর্ধেক ভাড়ার আদায়ের কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আজমল উদ্দীন আহমেদ সবুর ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।
সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, ‘গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়া কার্যকর হওয়ায় বাসে ছাত্র-ছাত্রীদের কম উঠাতে দেখা গেছে। ছাত্র-ছাত্রী দেখলেই বাসে জায়গা নেই বলে হেলপাররা তাদের সরিয়ে দিতে দেখা গেছে। অনেক শিক্ষার্থীদের অভিযোগ করেন দাঁড়িয়ে ও গাদাগাদি যাত্রী পরিবহনের কারণে অনেকেই বাসে উঠতে পারে না। গত ১ ডিসেম্বর পর হাফ ভাড়া ঘোষণা করা হয়। কিন্তু মনে না করি দিলে অর্ধেক ভাড়া নেয় না বলে শিক্ষার্থীরা জানান।