হাজী সেলিমের সংসদ সদস্য পদ বহাল থাকবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবীর মতে, নৈতিক স্থলনের কারণে তার (হাজী সেলিম) সংসদ সদস্য পদে থাকার যোগ্যতা নেই। তার সংসদ পদ বাতিল হওয়ার কথা।
তবে হাজী সেলিমের আইনজীবীর মতামত, সর্বোচ্চ আদালত তথা আপিল বিভাগে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হওয়ার আগে সংসদ সদস্য পদে থাকতে পারবেন তিনি।
সংবিধান অনুযায়ী, কোন সংসদ সদস্য যদি নৈতিক স্খলনজনিত কোন ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বৎসরের কারাদন্ডে দন্ডিত হন, তাহলে তার সংসদ সদস্য পদ বাতিল হয়ে যাবে।
কুয়েতের ফৌজদারি আদলতে চার বছরের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত হওয়ায় গত বছর ফেব্রুয়ারিতে সংসদ সদস্য পদ হারিয়েছিলেন মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুল।
ওই সময় তার আসন (লক্ষ্মীপুর-২) শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়ের তৎকালীন সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কুয়েতের ফৌজদারি আদালতে গত ২৮ জানুয়ারি চার বছরের সশ্র্রম কারাদন্ডে দন্ডিত হওয়ায় লক্ষ্মীপুর-২ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম সংবিধানের ৬৬(২)(ঘ) অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী আর সংসদ সদস্য থাকার যোগ্য নন। সে কারণে সংবিধানের ৬৭(১)(ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রায় ঘোষণার তারিখ থেকে তার আসন শূন্য হয়েছে।
দুদকের মামলায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি মামলায় হাজী সেলিমের ১০ বছরের কারাদন্ড বহাল রেখে হাইকোর্টের দেয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। সে সময় দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি এটি তার (হাজী সেলিম) নৈতিক স্খলন। তিনি সংসদ সদস্য পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন স্পিকার। রায়ের অনুলিপি পাওয়ার পর দুদক আনুষ্ঠানিকভাবে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে রায়ের অনুলিপি পৌঁছে দেবে।’
সংবিধান ও সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী, রায়ের কপি সংসদ সচিবালয়ে পাঠানো হলে, স্পিকার এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পারবেন। এরপর তার আসনটি শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করবে সংসদ সচিবালয় এবং এর কপি নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হবে। নির্বাচন কমিশন আসন শূন্য হওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সেখানে উপ-নির্বাচনের ব্যবস্থা নেবে।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমকে রোববার (২২ মে) কারাগারে পাঠায় আদালত।
জেলে পাঠানোর নির্দেশের পর হাজী সেলিমের সংসদ সদস্য পদ থাকে কিনা, জানতে চাইলে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সংবাদকে বলেন, ‘আমি আগে যা বলেছি এখনও তাই বলছি। নৈতিক স্খলনের কারণে তার সংসদ সদস্য পদে থাকার যোগ্যতা নেই। তার সংসদ পদ বাতিল হওয়ার কথা। শুনেছি তিনি রায়ের বিরুদ্ধে আবারও আপিল করবেন। তবে আপিলে দন্ডিত আসামির দন্ড বাতিলের কোন সুযোগ নেই। আমরা অপেক্ষা আছি তিনি কী করেন।’
কোন সংসদ-সদস্যের আসন শূন্য হওয়ার বিষয়ে সংবিধানের ৬৭ অনুচ্ছেদের (১) দফায় বলা আছে, তিনি (বর্তমান সংসদের সদস্য) এই সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের (২) দফার অধীন অযোগ্য হন, তাহলে তার সংসদীয় আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হবে।
সংসদে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা ও অযোগ্যতার বিষয়ে সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের (২) দফায় বলা আছে, তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোন ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া অন্যূন দুই বৎসরের কারাদন্ডে দন্ডিত হন এবং তার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছর অতিবাহিত না হয়, তাহলে তিনি সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করতে পারবেন না।
সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী, নির্বাচনের পর কোন সদস্য সম্বন্ধে যদি এমন বিরোধ দেখা যায় যে, ৬৬ অনুচ্ছেদের (২) দফায় বর্ণিত অযোগ্যতাগুলোর কোন একটির কারণে তিনি অযোগ্য বিবেচিত হইবেন কিনা, তা হলে স্পিকার উক্ত বিষয়টি নির্বাচন কমিশনে প্রেরণ করবেন। যদি নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত এই হয় যে, উক্ত সদস্য অযোগ্য হয়েছেন অথবা তাহার আসন শূন্য করা উচিত, তাহলে তিনি আর সদস্য থাকবেন না।
রোববার, ২২ মে ২০২২
হাজী সেলিমের সংসদ সদস্য পদ বহাল থাকবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবীর মতে, নৈতিক স্থলনের কারণে তার (হাজী সেলিম) সংসদ সদস্য পদে থাকার যোগ্যতা নেই। তার সংসদ পদ বাতিল হওয়ার কথা।
তবে হাজী সেলিমের আইনজীবীর মতামত, সর্বোচ্চ আদালত তথা আপিল বিভাগে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হওয়ার আগে সংসদ সদস্য পদে থাকতে পারবেন তিনি।
সংবিধান অনুযায়ী, কোন সংসদ সদস্য যদি নৈতিক স্খলনজনিত কোন ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বৎসরের কারাদন্ডে দন্ডিত হন, তাহলে তার সংসদ সদস্য পদ বাতিল হয়ে যাবে।
কুয়েতের ফৌজদারি আদলতে চার বছরের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত হওয়ায় গত বছর ফেব্রুয়ারিতে সংসদ সদস্য পদ হারিয়েছিলেন মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুল।
ওই সময় তার আসন (লক্ষ্মীপুর-২) শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়ের তৎকালীন সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কুয়েতের ফৌজদারি আদালতে গত ২৮ জানুয়ারি চার বছরের সশ্র্রম কারাদন্ডে দন্ডিত হওয়ায় লক্ষ্মীপুর-২ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম সংবিধানের ৬৬(২)(ঘ) অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী আর সংসদ সদস্য থাকার যোগ্য নন। সে কারণে সংবিধানের ৬৭(১)(ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রায় ঘোষণার তারিখ থেকে তার আসন শূন্য হয়েছে।
দুদকের মামলায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি মামলায় হাজী সেলিমের ১০ বছরের কারাদন্ড বহাল রেখে হাইকোর্টের দেয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। সে সময় দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি এটি তার (হাজী সেলিম) নৈতিক স্খলন। তিনি সংসদ সদস্য পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন স্পিকার। রায়ের অনুলিপি পাওয়ার পর দুদক আনুষ্ঠানিকভাবে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে রায়ের অনুলিপি পৌঁছে দেবে।’
সংবিধান ও সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী, রায়ের কপি সংসদ সচিবালয়ে পাঠানো হলে, স্পিকার এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পারবেন। এরপর তার আসনটি শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করবে সংসদ সচিবালয় এবং এর কপি নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হবে। নির্বাচন কমিশন আসন শূন্য হওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সেখানে উপ-নির্বাচনের ব্যবস্থা নেবে।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমকে রোববার (২২ মে) কারাগারে পাঠায় আদালত।
জেলে পাঠানোর নির্দেশের পর হাজী সেলিমের সংসদ সদস্য পদ থাকে কিনা, জানতে চাইলে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সংবাদকে বলেন, ‘আমি আগে যা বলেছি এখনও তাই বলছি। নৈতিক স্খলনের কারণে তার সংসদ সদস্য পদে থাকার যোগ্যতা নেই। তার সংসদ পদ বাতিল হওয়ার কথা। শুনেছি তিনি রায়ের বিরুদ্ধে আবারও আপিল করবেন। তবে আপিলে দন্ডিত আসামির দন্ড বাতিলের কোন সুযোগ নেই। আমরা অপেক্ষা আছি তিনি কী করেন।’
কোন সংসদ-সদস্যের আসন শূন্য হওয়ার বিষয়ে সংবিধানের ৬৭ অনুচ্ছেদের (১) দফায় বলা আছে, তিনি (বর্তমান সংসদের সদস্য) এই সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের (২) দফার অধীন অযোগ্য হন, তাহলে তার সংসদীয় আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হবে।
সংসদে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা ও অযোগ্যতার বিষয়ে সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের (২) দফায় বলা আছে, তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোন ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া অন্যূন দুই বৎসরের কারাদন্ডে দন্ডিত হন এবং তার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছর অতিবাহিত না হয়, তাহলে তিনি সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করতে পারবেন না।
সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী, নির্বাচনের পর কোন সদস্য সম্বন্ধে যদি এমন বিরোধ দেখা যায় যে, ৬৬ অনুচ্ছেদের (২) দফায় বর্ণিত অযোগ্যতাগুলোর কোন একটির কারণে তিনি অযোগ্য বিবেচিত হইবেন কিনা, তা হলে স্পিকার উক্ত বিষয়টি নির্বাচন কমিশনে প্রেরণ করবেন। যদি নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত এই হয় যে, উক্ত সদস্য অযোগ্য হয়েছেন অথবা তাহার আসন শূন্য করা উচিত, তাহলে তিনি আর সদস্য থাকবেন না।