রাজধানীর চকবাজারের দেবীদাস লেনের প্লাস্টিক কারখানা ও গোডাউনে লাগা আগুনে অগ্নিদগ্ধ যে ছয়জন অঙ্গার হয়েছেন তাদের একজন স্বপন সরকার। কাজ করতেন হোটেলে। দুদিন পরই তার মেডিকেল চেকআপ করার কথা ছিল। এরপরই ভিসা নিয়ে ওমান যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আর ওমান যেতে পারলো না। আগুনে পুড়ে তার মৃত্যুতে এখন বাড়ি ফিরবে স্বপনের পোড়া দেহ।
আগুনে ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে মিটফোর্ড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অন্যদের মতো ছুটে আসেন বড় দুই ভাই সজল সরকার ও কাজল সরকার। মর্গের সামনে দুই ভাইয়ের আহাজারিতে যেন চারিদিক ভারি হয়ে উঠে। এখন অপেক্ষায় আছেন ভাইয়ের পোড়া দেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
সজল ও কাজল সরকার জানান, স্বপন আগুন লাগা ভবনের নিচতলায় বরিশাল হোটেলের কর্মচারী ছিল। ওমান যাওয়ার কথা ছিল তার। এজন্য দু’দিন পরেই তার ভিসার জন্য মেডিকেল চেকআপ করার কথা ছিল কিন্তু সেই স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি। আগুনে পুড়ে ভাইয়ের মৃত্যুতে সব শেষ হয়ে গেছে।
স্বপন সরকার সিলেটের হবিগঞ্জের বাসিন্দা। পরিবারের সচ্ছলতার জন্য ঢাকায় হোটেলে চাকরি ছেড়ে ওমান যাবে বলে প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। দুদিন পর বাড়িতে গিয়ে মেডিকেল চেকআপ করে রিপোর্ট জমা দেয়ার কথা ছিল ভিসার জন্য। ভিসা হাতে পেলেই ওমান চলে যেতো।
চকবাজারের ঘটনায় দুই হোটেলকর্মী নিখোঁজ
চকবাজারের কামালবাগে লাগা আগুনের ঘটনায় দুই হোটেলকর্মী নিখোঁজ রয়েছেন। আগুন লাগা ভবনের নিচে থাকা বরিশাল হোটেলের মো. ওসমান (২৫) ও মো. বিল্লল নামে দুজন এখনও নিখোঁজ বলে দাবি করেছেন তাদের স্বজনরা।
নিখোঁজ ওসমানের খালাতো ভাই মো. রুবেল বলেন, যে ভবনে আগুন লেগেছে সেটির নিচ তলায় বরিশাল হোটেলে কাজ করত ওসমান। রাতে কাজ করে ওই ভবনের দোতলায় ঘুমিয়েছিল। কিন্তু আগুন লাগার পর তার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। একাধিকবার তার ফোনে ফোন করলেও ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। ‘ভবনটির দোতলায় আমি গিয়েছিলাম। সেখানে আমরা মানুষের হাড়ের মতো কিছু জিনিস দেখতে পেয়েছি।
মো. আবদুল্লাহ নামের আরেকজন জানান, বরিশাল হোটেলে কাজ করতো তার ভগ্নিপতি মো. বিল্লাল। রাতে নাইট ডিউটি করে দিনে ওই ভবনের দ্বিতীয় তলায় ঘুমাচ্ছিলেন তিনি। আগুন লাগার পর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা ধারণা করছে, ভবনের ভেতরে একাধিক মরদেহ থাকতে পারে। তারা তল্লাশি চালাচ্ছেন।
সোমবার, ১৫ আগস্ট ২০২২
রাজধানীর চকবাজারের দেবীদাস লেনের প্লাস্টিক কারখানা ও গোডাউনে লাগা আগুনে অগ্নিদগ্ধ যে ছয়জন অঙ্গার হয়েছেন তাদের একজন স্বপন সরকার। কাজ করতেন হোটেলে। দুদিন পরই তার মেডিকেল চেকআপ করার কথা ছিল। এরপরই ভিসা নিয়ে ওমান যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আর ওমান যেতে পারলো না। আগুনে পুড়ে তার মৃত্যুতে এখন বাড়ি ফিরবে স্বপনের পোড়া দেহ।
আগুনে ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে মিটফোর্ড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অন্যদের মতো ছুটে আসেন বড় দুই ভাই সজল সরকার ও কাজল সরকার। মর্গের সামনে দুই ভাইয়ের আহাজারিতে যেন চারিদিক ভারি হয়ে উঠে। এখন অপেক্ষায় আছেন ভাইয়ের পোড়া দেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
সজল ও কাজল সরকার জানান, স্বপন আগুন লাগা ভবনের নিচতলায় বরিশাল হোটেলের কর্মচারী ছিল। ওমান যাওয়ার কথা ছিল তার। এজন্য দু’দিন পরেই তার ভিসার জন্য মেডিকেল চেকআপ করার কথা ছিল কিন্তু সেই স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি। আগুনে পুড়ে ভাইয়ের মৃত্যুতে সব শেষ হয়ে গেছে।
স্বপন সরকার সিলেটের হবিগঞ্জের বাসিন্দা। পরিবারের সচ্ছলতার জন্য ঢাকায় হোটেলে চাকরি ছেড়ে ওমান যাবে বলে প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। দুদিন পর বাড়িতে গিয়ে মেডিকেল চেকআপ করে রিপোর্ট জমা দেয়ার কথা ছিল ভিসার জন্য। ভিসা হাতে পেলেই ওমান চলে যেতো।
চকবাজারের ঘটনায় দুই হোটেলকর্মী নিখোঁজ
চকবাজারের কামালবাগে লাগা আগুনের ঘটনায় দুই হোটেলকর্মী নিখোঁজ রয়েছেন। আগুন লাগা ভবনের নিচে থাকা বরিশাল হোটেলের মো. ওসমান (২৫) ও মো. বিল্লল নামে দুজন এখনও নিখোঁজ বলে দাবি করেছেন তাদের স্বজনরা।
নিখোঁজ ওসমানের খালাতো ভাই মো. রুবেল বলেন, যে ভবনে আগুন লেগেছে সেটির নিচ তলায় বরিশাল হোটেলে কাজ করত ওসমান। রাতে কাজ করে ওই ভবনের দোতলায় ঘুমিয়েছিল। কিন্তু আগুন লাগার পর তার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। একাধিকবার তার ফোনে ফোন করলেও ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। ‘ভবনটির দোতলায় আমি গিয়েছিলাম। সেখানে আমরা মানুষের হাড়ের মতো কিছু জিনিস দেখতে পেয়েছি।
মো. আবদুল্লাহ নামের আরেকজন জানান, বরিশাল হোটেলে কাজ করতো তার ভগ্নিপতি মো. বিল্লাল। রাতে নাইট ডিউটি করে দিনে ওই ভবনের দ্বিতীয় তলায় ঘুমাচ্ছিলেন তিনি। আগুন লাগার পর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা ধারণা করছে, ভবনের ভেতরে একাধিক মরদেহ থাকতে পারে। তারা তল্লাশি চালাচ্ছেন।