বর্তমানে সাহিত্যে দুর্দশা প্রযুক্তির কারণে নয়, পুঁজিবাদের কারণে তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, বর্তমানে সাহিত্যের একটা দুর্দশা চলছে, যা অস্বীকার করা যাবে না। লোকে বই পড়তে চায় না এবং বলে যে এর জন্য প্রযুক্তি দায়ী। তবে আমি বলব, প্রযুক্তি এর জন্য দায়ী নয়। প্রযুক্তির উপর পুঁজিবাদের যে আধিপত্য সেটার কারণে এ দুর্দশা সৃষ্টি হয়েছে।”
শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের মিলনায়নে বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘের চতুর্থ জাতীয় সম্মেলনে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এ কথা বলেন।
‘ভয়ের মাঝে অভয় বাজাও, সাহসী প্রাণে চিত্ত জাগাও’ স্লোগানকে সামনে রেখে চতুর্থ জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি । সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন এমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
এবারের সম্মেলন থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ মুক্তচিন্তা ও মুক্তবুদ্ধি চর্চাবিরোধী সকল কালাকানুন বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে।
উদ্বোধন ঘোষণা শেষে সম্মেলনের একটি র্যালি স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বর থেকে শুরু করে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর ঘুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে এসে শেষ হয়। এরপর সেখানে আলোচনা সভায় অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, অতীতে তাকালে আমরা দেখব যে, প্রযুক্তি সব সময় সাহিত্যকে সহযোগিতা করেছে। যখন কাগজ বা ছাপাখানা ছিল না, তখন প্রযুক্তিই কাগজ ও ছাপাখানা এনেছে। এরপরে যখন রেডিও এলো তখন ধারণা করা হলো সাহিত্যের বদলে এবার মানুষ রেডিও শুনবে, সাহিত্য পড়বে না। কিন্তু দেখা গেল রেডিও সাহিত্যকে ব্যবহার করছে।
“ঠিক একইরকমভাবে টেলিভিশনও সাহিত্যকে শেষ করতে পারেনি। কিন্তু, আজকের চলমান সাজিত্যের এই বিপদ প্রযুক্তির কারণে সৃষ্টি হয়নি বরং প্রযুক্তির উপর পুঁজিবাদের যে আধিপত্য সেটার কারণে সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, পুঁজিবাদ মুনাফা, মানুষে মানুষে বিচ্ছিন্নতা ও ভোগ বিলাসিতায় মানুষকে উৎসাহিত করে। প্রযুক্তি বা বিজ্ঞানের বিকাশের কারণে নয় কারণে আজকের পৃথিবী বিপন্ন হয়নি বরং তা হয়েছে পুঁজিবাদ বিকাশের কারণে নয়।
পরিবেশ না থাকলে লেখক তৈরি হয় না উল্লেখ করে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের এই অধ্যাপক বলেন, ৪০০ বছর পূর্বের ইংরেজি সাহিত্যের সাথে আমরা পরিচিত। ইংরেজি সাহিত্যের দুজন শেক্সপিয়র ও ফ্রান্সিস বেকন তারা উঠে এসেছেন যদিও তখন সভ্যতা এতটা অগ্রসর ছিল না। “কেন পারলেন তারা? শেক্সপিয়ার লেখাপড়া জানতেন না, স্কুল থেকে পাশ করেননি, ল্যাটিন কম জানতেন, গ্রিক আরও কম জানতেন। তাহলে তিনি কেমন করে তার অসামান্য রচনাগুলো লিখেছিলেন?পরিবেশ তাদেরকে লেখক হিসেবে গড়ে তুলেছে।
শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২
বর্তমানে সাহিত্যে দুর্দশা প্রযুক্তির কারণে নয়, পুঁজিবাদের কারণে তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, বর্তমানে সাহিত্যের একটা দুর্দশা চলছে, যা অস্বীকার করা যাবে না। লোকে বই পড়তে চায় না এবং বলে যে এর জন্য প্রযুক্তি দায়ী। তবে আমি বলব, প্রযুক্তি এর জন্য দায়ী নয়। প্রযুক্তির উপর পুঁজিবাদের যে আধিপত্য সেটার কারণে এ দুর্দশা সৃষ্টি হয়েছে।”
শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের মিলনায়নে বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘের চতুর্থ জাতীয় সম্মেলনে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এ কথা বলেন।
‘ভয়ের মাঝে অভয় বাজাও, সাহসী প্রাণে চিত্ত জাগাও’ স্লোগানকে সামনে রেখে চতুর্থ জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি । সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন এমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
এবারের সম্মেলন থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ মুক্তচিন্তা ও মুক্তবুদ্ধি চর্চাবিরোধী সকল কালাকানুন বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে।
উদ্বোধন ঘোষণা শেষে সম্মেলনের একটি র্যালি স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বর থেকে শুরু করে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর ঘুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে এসে শেষ হয়। এরপর সেখানে আলোচনা সভায় অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, অতীতে তাকালে আমরা দেখব যে, প্রযুক্তি সব সময় সাহিত্যকে সহযোগিতা করেছে। যখন কাগজ বা ছাপাখানা ছিল না, তখন প্রযুক্তিই কাগজ ও ছাপাখানা এনেছে। এরপরে যখন রেডিও এলো তখন ধারণা করা হলো সাহিত্যের বদলে এবার মানুষ রেডিও শুনবে, সাহিত্য পড়বে না। কিন্তু দেখা গেল রেডিও সাহিত্যকে ব্যবহার করছে।
“ঠিক একইরকমভাবে টেলিভিশনও সাহিত্যকে শেষ করতে পারেনি। কিন্তু, আজকের চলমান সাজিত্যের এই বিপদ প্রযুক্তির কারণে সৃষ্টি হয়নি বরং প্রযুক্তির উপর পুঁজিবাদের যে আধিপত্য সেটার কারণে সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, পুঁজিবাদ মুনাফা, মানুষে মানুষে বিচ্ছিন্নতা ও ভোগ বিলাসিতায় মানুষকে উৎসাহিত করে। প্রযুক্তি বা বিজ্ঞানের বিকাশের কারণে নয় কারণে আজকের পৃথিবী বিপন্ন হয়নি বরং তা হয়েছে পুঁজিবাদ বিকাশের কারণে নয়।
পরিবেশ না থাকলে লেখক তৈরি হয় না উল্লেখ করে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের এই অধ্যাপক বলেন, ৪০০ বছর পূর্বের ইংরেজি সাহিত্যের সাথে আমরা পরিচিত। ইংরেজি সাহিত্যের দুজন শেক্সপিয়র ও ফ্রান্সিস বেকন তারা উঠে এসেছেন যদিও তখন সভ্যতা এতটা অগ্রসর ছিল না। “কেন পারলেন তারা? শেক্সপিয়ার লেখাপড়া জানতেন না, স্কুল থেকে পাশ করেননি, ল্যাটিন কম জানতেন, গ্রিক আরও কম জানতেন। তাহলে তিনি কেমন করে তার অসামান্য রচনাগুলো লিখেছিলেন?পরিবেশ তাদেরকে লেখক হিসেবে গড়ে তুলেছে।