সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে স্বাধীনতা দিবসের সরকারি ছুটি মিলিয়ে গত তিন দিন অফিস-আদালত বন্ধ ছিল। টানা তিন দিনের ছুটিতে রাজধানীর সড়কও ছিল বেশ ফাঁকা। আজ সোমবার (২৭ মার্চ) রমজানের চতুর্থ দিনে পড়েছে প্রথম কার্যদিবস। এদিন রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজট দেখা গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামীরা। যানজটের কারণে সড়কে অপেক্ষা করতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে অফিসে ঢুকতে হয়েছে অনেককেই।
রাজধানীর মিরপুর, কল্যাণপুর, মোহাম্মদপুর, আসাদগেট, ধানমন্ডি, তেজগাঁও ও মহাখালী এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা রশিদ বলেন, ‘আমার অফিসে প্রবেশের সময় সকাল ৯টা। এখন সাড়ে ৯টার মতো বাজে, অথচ যানজটে বসে আছি। কখন পৌঁছাবো, তাও বলতে পারছি না। এমন চলতে থাকলে সেহরি খেয়েই অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হবে।’
বেসরকারি আরেক কর্মজীবী সামিয়া রহমান বলেন, ‘এক সিগনালে প্রায় ঘণ্টাখানেক হলো অপেক্ষায় আছি। কখন সিগনাল পার হবে বুঝতে পারছি না। দু-একটা করে গাড়ি পার হচ্ছে।’ যানজটের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও বেশি কার্যকর হওয়ার কথা বলেন তিনি।
রমজানের শুরুতেই এমন যানজট, শেষ দিকে এর মাত্রা আরও বাড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অফিসগামী যাত্রীরা। নাদিম নামে উত্তরার এক বাসিন্দা বলেন, ‘রমজানের শুরুতে সাধারণত মানুষ খুব একটা শপিংয়ে বের হন না। কিন্তু আর কিছুদিন গেলেই অনেকেই বের হবেন শপিং করতে। এরপর রাজধানীর অবস্থা আরও নাজুক হয়ে পড়বে।’
আজ রাজধানীতে ঢোকার সময় শুধু বনানীতেই দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘যানজট শুরু হয়েছে কাওলা এলাকা থেকে। সেখান থেকেই গাড়ি আস্তে আস্তে দীর্ঘ অপেক্ষার পর সামনের দিকে আসতে পেরেছে। রমজানের প্রথম কর্ম দিবসে যদি এমন হয় তাহলে বাকি দিনগুলো কি হবে আল্লাই জানে। সব ধরনের ভোগান্তি নিয়েই আমাদের সামনের দিকে এগুতে হচ্ছে।’
একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা তো ভোগান্তির মধ্যেই রয়েছি। ভোগান্তি আমাদের নিত্যদিনের। এটা নিয়েই আমাদের চলতে হচ্ছে। এটা নিয়েই আমাদের চলতে হবে। সকালে এবং অফিস ছুটির পর যানজটটা বেশি থাকে।’
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ তেজগাঁওয়ের উপ-পুলিশ কমিশনার সাহেদ আল মাসুদ বলেন, ‘রমজানের প্রথম কর্ম দিবস আজ সড়কে গাড়ির চাপ রয়েছে বেশি। বিভিন্ন সিগনালে একটু বেশি সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে গাড়িগুলোকে। তবে সড়কে যান চলাচল গতিশীলতা রাখতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩
সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে স্বাধীনতা দিবসের সরকারি ছুটি মিলিয়ে গত তিন দিন অফিস-আদালত বন্ধ ছিল। টানা তিন দিনের ছুটিতে রাজধানীর সড়কও ছিল বেশ ফাঁকা। আজ সোমবার (২৭ মার্চ) রমজানের চতুর্থ দিনে পড়েছে প্রথম কার্যদিবস। এদিন রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজট দেখা গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামীরা। যানজটের কারণে সড়কে অপেক্ষা করতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে অফিসে ঢুকতে হয়েছে অনেককেই।
রাজধানীর মিরপুর, কল্যাণপুর, মোহাম্মদপুর, আসাদগেট, ধানমন্ডি, তেজগাঁও ও মহাখালী এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা রশিদ বলেন, ‘আমার অফিসে প্রবেশের সময় সকাল ৯টা। এখন সাড়ে ৯টার মতো বাজে, অথচ যানজটে বসে আছি। কখন পৌঁছাবো, তাও বলতে পারছি না। এমন চলতে থাকলে সেহরি খেয়েই অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হবে।’
বেসরকারি আরেক কর্মজীবী সামিয়া রহমান বলেন, ‘এক সিগনালে প্রায় ঘণ্টাখানেক হলো অপেক্ষায় আছি। কখন সিগনাল পার হবে বুঝতে পারছি না। দু-একটা করে গাড়ি পার হচ্ছে।’ যানজটের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও বেশি কার্যকর হওয়ার কথা বলেন তিনি।
রমজানের শুরুতেই এমন যানজট, শেষ দিকে এর মাত্রা আরও বাড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অফিসগামী যাত্রীরা। নাদিম নামে উত্তরার এক বাসিন্দা বলেন, ‘রমজানের শুরুতে সাধারণত মানুষ খুব একটা শপিংয়ে বের হন না। কিন্তু আর কিছুদিন গেলেই অনেকেই বের হবেন শপিং করতে। এরপর রাজধানীর অবস্থা আরও নাজুক হয়ে পড়বে।’
আজ রাজধানীতে ঢোকার সময় শুধু বনানীতেই দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘যানজট শুরু হয়েছে কাওলা এলাকা থেকে। সেখান থেকেই গাড়ি আস্তে আস্তে দীর্ঘ অপেক্ষার পর সামনের দিকে আসতে পেরেছে। রমজানের প্রথম কর্ম দিবসে যদি এমন হয় তাহলে বাকি দিনগুলো কি হবে আল্লাই জানে। সব ধরনের ভোগান্তি নিয়েই আমাদের সামনের দিকে এগুতে হচ্ছে।’
একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা তো ভোগান্তির মধ্যেই রয়েছি। ভোগান্তি আমাদের নিত্যদিনের। এটা নিয়েই আমাদের চলতে হচ্ছে। এটা নিয়েই আমাদের চলতে হবে। সকালে এবং অফিস ছুটির পর যানজটটা বেশি থাকে।’
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ তেজগাঁওয়ের উপ-পুলিশ কমিশনার সাহেদ আল মাসুদ বলেন, ‘রমজানের প্রথম কর্ম দিবস আজ সড়কে গাড়ির চাপ রয়েছে বেশি। বিভিন্ন সিগনালে একটু বেশি সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে গাড়িগুলোকে। তবে সড়কে যান চলাচল গতিশীলতা রাখতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’